Lachesis Muta |
পরিচয়ঃ ল্যাকেসিস-ট্রিগোকেফেলাস বা লেন্স-হেডেড ভাইপার (সুরুকুকু নামের সাপের বিষ)।আমেরিকার এক প্রকার সর্পের বিষ।
ইহার পূর্ণ নাম: Lachesis Muta.
ধাতুগত বৈশিষ্ট্যঃ শীর্নকায়, চঞ্চল,বাক্যবাগীশ ও হিংসুকপ্রকৃতির রোগী।ইহার রোগী সাধারণত:অসৎ প্রকৃতির হইয়া থাকে।
কাতরতাঃ মধ্যম শ্রেণির গরমকাতর।নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া পছন্দ।
মায়াজমেটিক অবস্থাঃ (মায়াজমের দোষ নষ্ট করার শক্তি) অতি গভীর এন্টিসোরিক,অতি গভীর এন্টিসাইকোটিক,গভীর এন্টিসিফিলিটিক গভীর এন্টিটিউবারকুলার।
মূল কথাঃবিনোদন (একশন সহ) (Amusement) কামনা করে।খেলাধুলা প্রিয়।পাঠ করা/ পড়া/অধ্যয়ন করার প্রতি উদাসীন।ভ্রমণ আকাঙ্খা করে।আরোগ্যের ব্যাপারে হতাশা। হিংসাবশে অপরের অনিষ্ট করিবার জন্য সর্বদা প্রবৃত্তি হয়; চিত্ত প্রফুল্লতাবিশিষ্ট নহে।স্বার্থপরতা,অহমিকা,অহংকার,হিংসা, ঈর্ষাপরায়নতা এবংসন্দিগ্ধ প্রকৃতির। রোগী মনে করে কোন দেবতা তাহার মধ্যে বাসা বাধিয়াছে।খুব বেশি বাচাল।অতিশয় স্পর্শকাতর,ফলে গলাবন্ধনী ও কোমরের বস্ত্র কষিয়া পড়িতে পারে না।বসন্ত ও শরৎকালে পীড়ার বৃদ্ধি।নিদ্রার মধ্যে, নিদ্রার পর বৃদ্ধি। ভোরে এবং প্রাতঃকালে বৃদ্ধি; জিহবাটি বার বার বাহির করে, জিহবা কম্পমান।শরীরে কিছু বিদ্ধ হইলে বা সামান্য একটু কাটিয়া গেলে ঐ স্থান সমূহে রক্ত সহজে জমাট বাধিতে চাহে না।রোগাক্রমণ শরীরের বাম দিকেই বেশি হয়।শরীর হইতে যে কোন নিঃসরন বাহির হইলে উপশম।
ব্যবহার স্থলঃ রক্তস্রাব হইবার প্রবণতা এই ঔষধের একটি প্রকৃষ্ট গুন।স্ত্রীলোকদিগের বয়োসন্ধিকালে যে সকল রোগ জন্মে; স্নায়ুমন্ডলীর অবসাদ, ডিফথেরিয়া, স্ত্রীলোকদিগের পয্যার্য়ক্রমে কোষ্ঠকাঠিন্য ও উদারাময়, ধমনীর অর্বুদ, জরায়ু ও ডিম্বকোষের অর্বুদ, ক্ষীণদৃষ্টি, বাগী, বিসর্প,দুষ্টব্রণ,ক্যান্সার, হুপিং কাশি, টন্সিল প্রদাহ, শ্বাস কাশি,পৃষ্ঠাঘাত, শয্যাক্ষত,শোথ, জরায়ু হইতে রক্তস্রাব, ডিম্বাশয়ের কাঠিন্য ও তথায় পুজোঁৎপত্তি অর্শ,কর্ণ ও নাসিকার ভিতর পলিপাস বা বহুপাদ মাঢ়ী হইতে রক্তস্রাব,গ্যাংগ্রীন,লিভারের পীড়া,সাংঘাতিক জাতীয় সান্নিপাতিক জ্বর,অর্দ্ধাঙ্গ পক্ষাঘাত,অন্ত্রচুত্যি,মুখক্ষত,কুষ্ঠ,গর্ভাবস্থায় নানাবিধ পীড়া,প্লেগ,বসন্ত,ফুসফুসপ্রদাহ,সূতিকাক্ষেপ,আঙ্গুলহাড়া,আরক্ত জ্বর প্রভৃতি রোগের উত্তম ঔষধ।
ক্রিয়াস্থলঃপৃষ্ঠবংশীয় স্নায়ুমন্ডল, গলমধ্য,স্বরযন্ত্র,চর্ম,বায়ুনলী,হৃদপিন্ড,রক্তসঞ্চালন বিধান,বাম পার্শ্বপ্রভৃতিই ইহার ক্রিয়াস্থল।এই ঔষধ বার বার প্রয়োগ করা বিধেয় নহে।যদি যথাযথভাবে নির্দেশিত হয়,তাহা হইলে একটি মাত্র মাত্রায় ক্রিয়া যতক্ষণ না শেষ হয়, ততক্ষণ পযর্ন্ত ইহাকে কাজ করিতে দেওয়া উচিত।ল্যাকেসিস ব্যবহারকালে সর্ববিধ টকদ্রব্য খাওয়া/ব্যবহার নিষিদ্ধ,কেননা টকদ্রব্যমাত্রেই বিষের ক্রিয়া নষ্ট করে।উপশম/হ্রাসঃ স্রাব আরম্ভ হইলে উপশম, উত্তাপ প্রয়োগে উপশম,গরম সেঁক দিলে উপশম,খোলাহাওয়ায়,শুইলে (মাথার যন্ত্রণা),ডান পাশে শুইলে (ডান কানের ব্যথা),সামনে ঝুকিয়া বসিলে,গায়ের কাপড় আলগা করিলে উপশম।
বৃদ্ধিঃ নিদ্রার মধ্যে বৃদ্ধি; ঘুমের পর বৃদ্ধি,চক্ষু বন্ধ করিলে বৃদ্ধি,বসন্তকালে বৃদ্ধি ১১দিন অন্তরবৃদ্ধি,গরমপানীয়ে,স্পর্শে, খুব গরমে,খুব ঠান্ডায়,রোদ্রে বৃদ্ধি।
ক্রিয়া স্থিতিকালঃ ৩০-৪০ দিন।
ক্রিয়ানাশকঃ আর্সেনিক,মার্কসল,বেল,ক্যালকে,ক্যামোমিলা,ককু,কার্ব্বো,কফিয়া,হিপার, লিডম,এসি- নাই,নক্স, ওপি,এসিড ফস।
কমপ্লিম্যান্ট বা পরিপূরকঃ (একটি ঔষধ অন্যটির কাজ সমাপ্ত করে) আরোগ্যের পথে ল্যাকেসিসের অসম্পূর্ণ কাজ ক্রোটেলাস সমাপন করে।
ইহার পূর্ণ নাম: Lachesis Muta.
ধাতুগত বৈশিষ্ট্যঃ শীর্নকায়, চঞ্চল,বাক্যবাগীশ ও হিংসুকপ্রকৃতির রোগী।ইহার রোগী সাধারণত:অসৎ প্রকৃতির হইয়া থাকে।
কাতরতাঃ মধ্যম শ্রেণির গরমকাতর।নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া পছন্দ।
মায়াজমেটিক অবস্থাঃ (মায়াজমের দোষ নষ্ট করার শক্তি) অতি গভীর এন্টিসোরিক,অতি গভীর এন্টিসাইকোটিক,গভীর এন্টিসিফিলিটিক গভীর এন্টিটিউবারকুলার।
মূল কথাঃবিনোদন (একশন সহ) (Amusement) কামনা করে।খেলাধুলা প্রিয়।পাঠ করা/ পড়া/অধ্যয়ন করার প্রতি উদাসীন।ভ্রমণ আকাঙ্খা করে।আরোগ্যের ব্যাপারে হতাশা। হিংসাবশে অপরের অনিষ্ট করিবার জন্য সর্বদা প্রবৃত্তি হয়; চিত্ত প্রফুল্লতাবিশিষ্ট নহে।স্বার্থপরতা,অহমিকা,অহংকার,হিংসা, ঈর্ষাপরায়নতা এবংসন্দিগ্ধ প্রকৃতির। রোগী মনে করে কোন দেবতা তাহার মধ্যে বাসা বাধিয়াছে।খুব বেশি বাচাল।অতিশয় স্পর্শকাতর,ফলে গলাবন্ধনী ও কোমরের বস্ত্র কষিয়া পড়িতে পারে না।বসন্ত ও শরৎকালে পীড়ার বৃদ্ধি।নিদ্রার মধ্যে, নিদ্রার পর বৃদ্ধি। ভোরে এবং প্রাতঃকালে বৃদ্ধি; জিহবাটি বার বার বাহির করে, জিহবা কম্পমান।শরীরে কিছু বিদ্ধ হইলে বা সামান্য একটু কাটিয়া গেলে ঐ স্থান সমূহে রক্ত সহজে জমাট বাধিতে চাহে না।রোগাক্রমণ শরীরের বাম দিকেই বেশি হয়।শরীর হইতে যে কোন নিঃসরন বাহির হইলে উপশম।
ব্যবহার স্থলঃ রক্তস্রাব হইবার প্রবণতা এই ঔষধের একটি প্রকৃষ্ট গুন।স্ত্রীলোকদিগের বয়োসন্ধিকালে যে সকল রোগ জন্মে; স্নায়ুমন্ডলীর অবসাদ, ডিফথেরিয়া, স্ত্রীলোকদিগের পয্যার্য়ক্রমে কোষ্ঠকাঠিন্য ও উদারাময়, ধমনীর অর্বুদ, জরায়ু ও ডিম্বকোষের অর্বুদ, ক্ষীণদৃষ্টি, বাগী, বিসর্প,দুষ্টব্রণ,ক্যান্সার, হুপিং কাশি, টন্সিল প্রদাহ, শ্বাস কাশি,পৃষ্ঠাঘাত, শয্যাক্ষত,শোথ, জরায়ু হইতে রক্তস্রাব, ডিম্বাশয়ের কাঠিন্য ও তথায় পুজোঁৎপত্তি অর্শ,কর্ণ ও নাসিকার ভিতর পলিপাস বা বহুপাদ মাঢ়ী হইতে রক্তস্রাব,গ্যাংগ্রীন,লিভারের পীড়া,সাংঘাতিক জাতীয় সান্নিপাতিক জ্বর,অর্দ্ধাঙ্গ পক্ষাঘাত,অন্ত্রচুত্যি,মুখক্ষত,কুষ্ঠ,গর্ভাবস্থায় নানাবিধ পীড়া,প্লেগ,বসন্ত,ফুসফুসপ্রদাহ,সূতিকাক্ষেপ,আঙ্গুলহাড়া,আরক্ত জ্বর প্রভৃতি রোগের উত্তম ঔষধ।
ক্রিয়াস্থলঃপৃষ্ঠবংশীয় স্নায়ুমন্ডল, গলমধ্য,স্বরযন্ত্র,চর্ম,বায়ুনলী,হৃদপিন্ড,রক্তসঞ্চালন বিধান,বাম পার্শ্বপ্রভৃতিই ইহার ক্রিয়াস্থল।এই ঔষধ বার বার প্রয়োগ করা বিধেয় নহে।যদি যথাযথভাবে নির্দেশিত হয়,তাহা হইলে একটি মাত্র মাত্রায় ক্রিয়া যতক্ষণ না শেষ হয়, ততক্ষণ পযর্ন্ত ইহাকে কাজ করিতে দেওয়া উচিত।ল্যাকেসিস ব্যবহারকালে সর্ববিধ টকদ্রব্য খাওয়া/ব্যবহার নিষিদ্ধ,কেননা টকদ্রব্যমাত্রেই বিষের ক্রিয়া নষ্ট করে।উপশম/হ্রাসঃ স্রাব আরম্ভ হইলে উপশম, উত্তাপ প্রয়োগে উপশম,গরম সেঁক দিলে উপশম,খোলাহাওয়ায়,শুইলে (মাথার যন্ত্রণা),ডান পাশে শুইলে (ডান কানের ব্যথা),সামনে ঝুকিয়া বসিলে,গায়ের কাপড় আলগা করিলে উপশম।
বৃদ্ধিঃ নিদ্রার মধ্যে বৃদ্ধি; ঘুমের পর বৃদ্ধি,চক্ষু বন্ধ করিলে বৃদ্ধি,বসন্তকালে বৃদ্ধি ১১দিন অন্তরবৃদ্ধি,গরমপানীয়ে,স্পর্শে, খুব গরমে,খুব ঠান্ডায়,রোদ্রে বৃদ্ধি।
ক্রিয়া স্থিতিকালঃ ৩০-৪০ দিন।
ক্রিয়ানাশকঃ আর্সেনিক,মার্কসল,বেল,ক্যালকে,ক্যামোমিলা,ককু,কার্ব্বো,কফিয়া,হিপার, লিডম,এসি- নাই,নক্স, ওপি,এসিড ফস।
কমপ্লিম্যান্ট বা পরিপূরকঃ (একটি ঔষধ অন্যটির কাজ সমাপ্ত করে) আরোগ্যের পথে ল্যাকেসিসের অসম্পূর্ণ কাজ ক্রোটেলাস সমাপন করে।
সর্তকতা:নাইট্রিক এসিডের পর ল্যাকেসিস বিষবৎ ক্রিয়া করে,কিন্ত ল্যাকেসিসের পর নাইট্রিকএসিড অনুপূরকের কাজ করে।ল্যাকেসিস একটি দীর্ঘক্রিয় ঔষধ, ইহারঅপব্যবহার হলে কুফল সারাটা জীবন থেকে যায় ? ডাঃ কেন্ট *** তরুণ রোগে ল্যাকেসিস দেওয়ার আগে দু্বার ভাবুন।
অনিষ্টকর খাদ্য: উষ্ণখাদ্য,শীতলখাদ্য,চা,অম্ল,দুগ্ধ,স্যালাড,ভিনিগার,তামাক, মদ্য,ফল, পঁচা মাংস।
ডাঃ রবিন বর্মন স্যারের উপস্হানায় ল্যাকেসিসের রোগী চিত্র তুলে ধরা হলো।
আমি শ্রীমতী ল্যাকেসিস
নমস্কার, আমার মা হচ্ছেন সরীসৃপ কূলের এক ভীষণ বিষধর সাপ, নাম তার -- সুরুকুকু। আমার মা দক্ষিন আমেরিকার ব্রাজিলের গহন অরণ্যে বাস করতেন।
আমার মধ্যে তোমরা অনেক দোষ পাও, অনেক দোষ খোঁজো। কিন্তু আমার কি করার আছে বলো? আমি ত জিনগত ভাবে আমার মায়ের অনেক কিছুর ধারক ও বাহক।
তোমাদের হেরিং সাহেব আমার মায়ের বিষ নিয়ে আমাকে জন্ম দিয়েছেন। কিন্তু আমি আমার মায়ের চরিত্র, ভূমিকা, কি বেমালুম ভুলে যেতে পারি?
না,পারি না।
যেমন ধরো---
★ আমার মা বামদিক থেকে ডানদিক, আবার ডানদিক থেকে বামদিক---- এমনিভাবে এঁকেবেঁকে চলতো । আমি তাই অনুভব করি । প্রথমে শরীরের বামদিকে পরে ডানদিকে অসুবিধাগুলি বুঝি ।
★ আমার মা যখন চুপটি করে ঘুমাতো, তখন তার মধ্যে একটা উত্তেজনা বা বিরক্ত ভাব প্রকাশ পেতো। আমারও সেই দশা হয়েছে। যাবতীয় সমস্যা হয় ঘুমের মধ্যে, না হয় ঘুমের পরে ।
তাই যে ঘুম মানুষকে শোকে সান্ত্বনা দেয়, দুঃখকে বিস্মৃতি করে, পরিশ্রান্তকে আরাম দেয়, শঙ্কাকে নির্ভয় প্রদান করে, আমি তা পেলাম না, আমি তা পাই না।
★ আমার মাকে দেখেছি খুবই স্পর্শকাতর --- সামান্য শব্দ, সামান্য স্পর্শে সে তিড়িং করে লাফিয়ে উঠতো। আমারও তাই হয়েছে ---
আমি সামান্য স্পর্শে লাফিয়ে উঠি, ব্যথার জায়গায় সামান্য স্পর্শ আমার কাছে অসহ্য লাগে, কাপড় চোপড় সামান্যতম টাইটও আমি সহ্য করতে পারি না।
★ আমার মা গরম পড়তেই অসহ্য অবস্থায় পড়তো, কারন সে কোন রকম গরম সহ্য করতে পারতো না। সে নরম মাটি বা ঠান্ডা জায়গায় কুন্ডলী পাকিয়ে শুয়ে থাকতো। আমিও সেই স্বভাব পেয়েছি। আমার গরম খুবই বেশী। গরমে সারা শরীর, হাত, পা, ব্রম্মতালু সব জ্বালা করতে থাকে। তবে সবরকম ঠান্ডাতে আমি স্বাচছন্দ্য বোধ করি, সব রকম ঠান্ডাতে আমি আরাম বোধ করি। শরীরের সব জায়গার কষ্টে তাই আমি ঠান্ডা সেঁকে ভাল বোধ করি।
আর তাই গরম পড়ার সাথে সাথে অর্থাৎ বসন্তকালে এবং গ্রীষ্মকালে আমার সব রোগ বা কষ্ট বাড়ে। আমার জেনারেল এ্যাগরাভেশন তোমরা বলতে পারো বসন্তকালে বা গরমকালে।
★ আমার মাকে যারা দেখেছো ফচকে চ্যাংড়া সাপদের মতন লিকলিক করে সবসময় জিভ বের করতো না। ভারিক্কি চেহারার জন্য আর শরীরটা দূর্বল হওয়ার জন্য জিভ বের করতে তার খুব কষ্ট হতো, আর অতি কষ্টে বের করলে তার জিভটা কাঁপতো। আমারও একই অবস্থা। জিভ বের করতে একটা আড়ষ্টতা আর কাঁপুনি ।
★ আমার মাকে যারা দেখেছো তারা নিশ্চয়ই জানো কিরকম সন্দেহ তার মনে, কাউকে সে বিশ্বাস করতে চাইতো না। যে কোন ব্যাপারে অবিশ্বাসের সুরে আগে তিড়িং করে লাফ দিয়ে কামড়াবে। পাশের লোকটি ভাল না মন্দ সে বিচার আগে করবে না। জেনেটিকালি আমি তাই পেয়েছি। সবাইকে বড্ড সন্দেহ করি, হিংসা করি। বলতে পারো অতিশয় সন্দিগ্ধ আমি। কাউকে কোন ব্যাপারে চট করে বিশ্বাস করতে পারি না। অন্যের ভাল কিছু দেখলে হিংসায় আমার বুক জ্বলে যায়। হিংসা থেকে আমার ---মৃগী, তড়কা, হার্টের রোগ, মানসিক রোগ কত কিছু হচ্ছে, কিন্তু তবুও কিছুতেই নিজেকে আমি সংযত করতে পারি না।
আসলে এক্ষেত্রে আমি কয়লার মতন, নিজে দগ্ধ হয়ে অন্যকে দগ্ধ করি।
★ আমার মাকে দেখতাম সবসময় গলা পরিষ্কার করার জন্য কি রকম করতো, কারন জিজ্ঞাসা করলে বলতো--- ঐ ব্যাঙ ট্যাঙ গিলেছিলাম তো, তাই মনে হচ্ছে গলার মধ্যে কিছু একটা গোল বলের মতন আটকে আছে।
ব্যাস, আমারও তাই হলো,
সব সময় মনে হয় গলার মধ্যে বা শরীরের অন্য কোথাও গোল বলের মতন কিছু আটকে আছে। কি বিশ্রী ব্যাপার বলুন ত?
★ আমার মায়ের রক্ত কোনদিনও জমাট বাঁধতে দেখি নি। সব সময় দেখেছি তার রক্ত পাতলা, জমাটহীন, অর্থাৎ Non coagulable, আমারও তাই। আমার শরীর থেকে যখন যেখানে রক্ত বেরুক না কেন তা জমাট বাঁধে না, পাতলা, জলের মতন রক্ত ।
★ আমার মাকে তোমরা দেখনি কেমন একা একা চুপচাপ কোন এক ঝোপের কোনে চুপ করে শুয়ে থাকতো। আমিও সেই স্বভাবটা পেয়েছি, অর্থাৎ আমি অন্তর্মনা বা ভীষণ ইন্ট্রোভার্টেড।
একা একা নিজের মনে চুপচাপ থাকতে ভালবাসি।
তবে কতক্ষন এভাবে একা একা থাকা যায় বলতো ?
তাই কখনও মনের মতন একজন সাথী পেলে বেশ চুটিয়ে যত রাজ্যের গল্প করি। তার জন্য অনেকে আমাকে বাচাল বলে। তা বললে আর কি করবো? সিনেমার গানের লাইনে ওদের জবাব দিতে পারি---
" যা খুশী ওরা বলে বলুক, ওদের কথায় কি এসে যায়।"
★ ঐ যে বলছিলাম --- আমার শরীরের রক্ত পাতলা, জমাট বাঁধে না, শুধু তাই নয় ---- আমার শরীরের যে কোন জায়গা দিয়ে অতি সহজেই রক্তপাত হয়, হোমিওপ্যাথরা ডাক্তারি ভাষায় যাকে বলে --- হেমোরেজিক ডায়াথেসিস। যেমন--- আমার অন্য যে সব বন্ধুদের মধ্যে এই সিমপটমসটি আছে, তারা হলো--- ক্রোটেলাস হরিডাস, এরিজেরন, ফেরাম মেট, হ্যামামেলিস, মিলিফোলিয়াম, নাইট্রিক এ্যাসিড, ফসফরাস, স্যাবাইনা, ইত্যাদি।
যাইহোক, আমার নাক দিয়ে, মুখ দিয়ে, গোপনাঙ্গ দিয়ে, প্রস্রাবদ্বার দিয়ে, মলদ্বার দিয়ে যখন তখন রক্তপাত হয়। আর সেই রক্ত পাতলা, তার মধ্যে কোন জমাট বাঁধা ভাব থাকে না যা আমি আগেই বলেছি।
তবে কোন জায়গা দিয়ে রক্ত বেরুলে আমার কষ্ট কমে, আমি আরামবোধ করি। এইটা কিন্তু আমার একটা বিশেষ লক্ষন।
তবে আমার এক বান্ধবী মেলিলোটাসের মাথার যন্ত্রনা কিন্তু নাক দিয়ে একটু রক্ত বেরুলে কমে, আমার অবশ্য তেমন ব্যাপার নেই।
আর একটা কথা মনে রাখতে হবে -- আমার রক্ত কিন্তু ফসফরাস, ইপিকাক, মিলিফোলিয়াম, এরিজেরন -- এদের মতন টকটকে লাল নয়। বরং তোমরা বলতে পারো--- আমার শরীর থেকে যে রক্ত বেরোয় তা কার্বো ভেজ, হ্যামামেলিস এদের মতন একটু কালচে বা নীলচে।
কারন দেখেছি -- আমার মা কাউকে কামড়ালে তার শরীর থেকে ঠিক এইরকম পাতলা, কালচে, জমাটহীন রক্ত বেরুতো। সেই বিষ থেকেই ত আমার জন্ম।
★ আর একটা জেনে রাখো আমার বেশীরভাগ কষ্ট বা রোগ আমার মাসিক চিরতরে বন্ধ হওয়ার সময় দেখা দেয়। মাসিক চিরতরে বন্ধ হলে মহিলারা প্রত্যেক মাসের এক অবাঞ্ছিত জ্বালা যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পায়, অথচ আমার কি কপাল দেখো---- মাসিক বন্ধ হওয়ার সময় বা তার অব্যবহিত পরে, ভাল বাংলায় তোমরা যেটা বলো রজোনিবৃত্তিকালীন সময়---- সেই সময়টায় আমার যাবতীয় রোগের প্রাদুর্ভাব হয় বা কষ্ট এসে হাজির হয়। তোমাদের ডাক্তারী ভাষায় যাকে বলে Climacteric Ailments, বা Menopause, বা Menopausal Syndrome, বা Change of life, সেই সময়।
এই সময় আমার মাথার মাঝখানটা ব্যথা হয়, বুক ধড়ফড় করে, শরীরের উপরদিকে যেন আগুনের ঝলক উঠতে থাকে, মাঝেমধ্যে অজ্ঞানও হয়ে যাই, অর্শ দেখা দেয়, ইত্যাদি।
★ আমার মাকে দেখতাম সাপুড়েরা বাঁশী বাজালে বাঁশীর তালে তালে দুলতো, নাচার ভঙ্গীমা করতো ---- তার মানে বুঝছো আমার মা একটু আনন্দ বা আমোদ প্রমোদ ভালবাসতো। তা আমি সেই স্বভাব কিছুটা পেয়েছি।
আমি যদিও অন্তর্মনা কিন্তু একটু হাসিখুশী থাকতে চাই। সবার সাথে একটু আমোদ আহলাদে কাটাতে চাই। ইংরাজীতে যাকে বলে Amativeness, তাই ত তোমাদের কেন্ট সাহেব তার রেপার্টরীতে Mind র দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় Amusenent desire এ আমাকে 2nd grade এ স্থান দিয়েছেন।
★ আমার মা ঠান্ডা শীতল জায়গায় কেন কুন্ডলী পাকিয়ে শুয়ে থাকতো? বলেছি না তার শরীরে খুব গরম আর জ্বালা থাকতো তাই।
আমিও তাই পেয়েছি। আমার সারা শরীরে গরমের সাথে সাথে সাথে জ্বালা করে। আমার হাত পা জ্বালা করে, মাথার তালু জ্বালা করে, শরীরে কোন ব্যথার জায়গা, ফোঁড়া, কার্বাঙকল, আলসার -- সর্বত্র জ্বালা করতে থাকে।
আর আগেই বলেছি আমার সব জায়গার জ্বালা ঠান্ডা সেঁকে বা ঠান্ডা প্রলেপে কমে বা আরামবোধ হয় ----- সালফার, সিকেলি কর, মেডোরিনাম, ফসফরাস এদের মতন।
আগেই বলেছি মাসিক বন্ধের সময় আমার হাত,পা, ব্রক্ষ্মতালুর জ্বালা ত অবধারিত। থাকেই।
★ আমার আর একটা কমপ্লেইন ছিলো---- প্রত্যেকবার মাসিকের আগে নানারকম কষ্ট পেতাম। যাকে ডাক্তারি ভাষায় বলা হয়--Premenstrual Syndrome, ঐ সময়ে আমার রাগ বেড়ে যেতো, মন খারাপ থাকতো, মাথার যন্ত্রনা হতো, শরীরে উত্তাপবোধ হতো, ইত্যাদি।
কিন্তু মাসিক হয়ে গেলেই আমার সব কষ্টের লাঘব হতো। সব দুঃখের অবসান হতো। এইক্ষেত্রে আমার সাথে আমার বান্ধবী জিঙকাম মেটের বেশ মিল ছিলো, কারন তারও মাসিক হয়ে গেলে সব দিক দিয়ে সে আরাম বা স্বাচছন্দ্যবোধ করতো।
রোগ লক্ষণ :
মাসিক নিয়মিত হলেও ১ দিন থাকে এবং পরিমানে সামান্য হয়। মহিলাদের মাসিক বন্ধের বয়সে মাসিক বন্ধ হলে মাথা গরম হয়, গরম সহ্য করতে পারেনা। হাত-পা জ্বালা করে। ঋতুস্রাব বন্ধ হলে শরীরে আগুনের ঝলকা অনুভত হয়। কারণ তখন রক্তের সঞ্চালন শরীরের উপর দিকে বেশী হয়।নিদ্রাকালে রােগ বৃদ্ধির ফলে ঘুম ভেঙ্গে যায়।নিদ্রার পরেও রােগের বৃদ্ধি বজায় থাকে।
যে কোন স্রাব নিঃসরণে কষ্ট বা রােগ উপশম হয় : (জিঙ্কাম, নাক্স)। এমন কি ভুক্তদ্রব্য বমি হলে ব্যথা কমে। প্রস্রাব পায়খানা হলেও এর রােগ কমে : (নাক্স-ভোম)।
হৃৎপিন্ড শরীরের সর্বত্রই রক্ত সঞ্চালন করে তাই রজস্রাবসহ যে কোন স্রাব নিঃসরণে
হৃৎপিন্ডের ব্যথা উপশম হয়। যেমন সাপে দংশিত স্থান থেকে বিষাক্ত বা কালােরক্ত বের করলে কষ্ট কমে যায়। রক্তস্রাব কালাে হয়। হৃৎপিন্ডের দ্রুত স্পন্দন ও শ্বাসকষ্ট ঘুমের সময় বৃদ্ধি পায়। ঘুমের মধ্যে নানান কষ্ট হয়। ঘুমের মধ্যে চমকে উঠে।
প্রাহিত স্থান স্পর্শকাতর ও হালকা নীলবর্ণ থাকে। হার্ট, লিভার, প্লীহার অসুখে শরীর ফুলে যায়। রােদ লেগে মাথা ব্যথা। ঘুমের মধ্যে রােগ বৃদ্ধি তাই সে ভয়ে ঘুম যেতে চায় না।
ফিজিক্যাল জেনারেল :
বার বার জিহ্বা বের করে ঠোঁট ভিজায়। জ্বিহ্বা কাঁপে :(জেলস)। হাত পা বরফের মত ঠান্ডা থাকে। খােলা বাতাস ভাল লাগলেও ফ্যানের বাতাস অপছন্দ।
ল্যাকেসিস মাথায় বাতাশ পছন্দ করে কিন্তু মুখের কাছে নয়। কার্বভেজ মুখের কাছে বাতাশ চায়। শ্বাসকষ্টে বাতাস পছন্দ করে কিন্তু মুখের কাছে বাতাস পছন্দ করে না।
গরমপানিতে গোসল করলে কিংবা প্রবাহিত স্থানে গৱম প্রয়োগে রোগ বৃদ্ধি, এপিস, এ্যাসিড-ফ্লোর, লিডাম।
বদ্ধ ঘরে রােগ বৃদ্ধি, এপিস, ক্যালি-সালফ। সে বাইরের মুক্ত বাতাশ পছন্দ করে।
খুব গরম, খুব শীত কোনটাই সহ্য করতে পারে না। নাতিশীতষ্ণ আবহাওয়া পছন্দ :(মার্ক-সল, সালফার, ফাইটোলক্কা, কষ্টিকাম, ক্যাল-সেরা, টিউবারকুলিনাম)।
বালিকারা গরম জলে স্নান করলে অনেক সময় খিঁচুনি হয় : (এপিস) এবং হৃৎপিন্ডের ধড়ফড়ানি বেড়ে যায়। মনে হয় মাথা ফেটে যাবে।
সাপকে স্পর্শ করলে যেমন চমকে ওঠে তেমনি ল্যাকেসিসের রােগীর চামড়া স্পর্শকাতর : (ক্যালি-কার্ব)। শক্তকরে চাপলে ব্যথা উপশম হয় : (ক্যালি-কার্ব)।
এর কোন জায়গা কেটে গিয়ে বা ফেটে গিয়ে রক্ত বের হলে সহজে রক্ত জমাট বাধতে চায় না : (ফসফরাস, ক্রিয়ােজোট, ক্রোটেলাস, চায়না, কার্বোভেজ)।
রােগে বামদিক আক্রান্ত হয় : (থুজা, লিলিয়াম-টিগ, স্পাইজেলিয়া, স্যাবাডিলা)।
এর হৃৎপিন্ড বড়ই দুর্বল। মাঝে মাঝে সারারাত ঘুমিয়ে সকালে উঠে মন বিষন্ন থাকে।
শারীরিক সাধারণ লক্ষণ ও গলায় টাই পরতে পারে না। টাইট করে শার্টের বােতাম লাগাতে পারে। শরীরের কোন অংশে টাইট করে কাপড় পড়তে পারে না।
ডিপথেরিয়া ও টনসিলে রোগে বার বার দিক পরিবর্তন করে তবে বামপাশে বেশি হয়।
অভিজ্ঞান :
** হিংসা প্রবৃত্তির সময় তাকে তােষামােদ করে বড় বলে প্রচার করলে মানসিক অবস্থা শান্ত হয়।
** প্রেমে ব্যর্থ হলে, বিয়েতে অনীহা হতে পারে। তখন বাচালতা নাও থাকতে পারে।
** যারা ক্যান্সার বা হার্টের অসুখে ভূগেন তাঁরা কম কথা বলতে চান এবং কাউকে আঘাত করতে চান না।
** প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ব্যর্থ হলে আধ্যাত্মিক হয়ে যায়।
** মৃত্যু নিকটে ভেবে ধ্যান করে, কেউ আবার নাস্তিক হয়ে যায়।
** প্রেমিক যদি তার প্রেমিকাকে বাদ দিয়ে অন্য কারো সাথে প্রেম করে সে ক্ষেত্রে প্রেমিকা তার প্রেমিককে ফিরানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে বিয়েতে অনীহা চলে আসে।
** পাগল অবস্থায় বেশি কথা বলা বিশেষ লক্ষণ। বেশী কথা বলায় ও কাউকে বিশ্বাস না করায় স্বজনেরা অনেক সময় বিরক্ত হয়ে তাকে আশ্রমে রেখে আসতে চায়।
** ধর্ম সংক্রান্ত পাগলামীভাব স্ত্রী লােকদের মধ্যে খুব বেশী পাওয়া যায়।
** মাসিক বন্ধের বয়সেও বাচালতা দেখা যায়।
** বাচালতা সাধারণত টাইফয়েড, প্রলাপবকা, ডিপথেরিয়া, সন্তান প্রসবের পর পাগল রোগে দেখা দেয়।
** এর রোগ আক্রমণ বামদিকে আর হৃৎপিণ্ড বাম দিকে বলেই হয়তো এর রোগীদের হৃৎপিন্ডে এতো সমস্যা করে।
** হৃৎপিন্ডের সাথে প্রায়ই মাথা ব্যথা হয়ে থাকে।
** বায়ু নিঃসরণ হলে হৃৎপিন্ডের ব্যথা কমে।
** এর চামড়ায় সামান্য স্পর্শ করলে রােগ বেড়ে যায় : (ক্যালি-কার্ব)। বিশেষ করে ঝিল্লি প্রদাহ, জরায়ুর প্রদাহ ডিম্বকোষের প্রদাহের ক্ষেত্রে।
** চামড়ার স্পর্শকাতরতা গলায়, ঘাড়ে, পেটের উপর ও কোমরের উপর, যে কারনেই এসব জায়গায় টাইট করে কাপড় পরতে পারে না।
** টাইফয়েড জ্বরের একটি বড় ঔষধ। ডা. ন্যাশ।
** ব্যর্থ প্রেমের কুফলে ইহা প্রসিদ্ধ (ইগ্নেসিয়া)।
খাদ্য অসহ্য : গরম খাবার +++ ঠান্ডা খাবার +++ মাংস +++
ঘাম : ব্যথা থেকে ঘাম হয় +++
ঘামের হলুদ, লাল, রক্তাক্ত দাগ কাপড়ে
লাগে +++
ঘুম : নিদ্রাহীনতা +++
ঘুম ঘুম ভাব +++
অতৃপ্তিকর ঘুম +++
গভীর ঘুম ++
বাম পাশে কাত হয়ে শোয়া অসম্ভব ++
স্বপ্ন : ঘুমের মধ্যে নানা ধরনের ভীতিপূর্ণ
স্বপ্ন দেখে আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়ে।
স্বপ্ন : প্রেম +++
মৃত্যু +++
অবাস্তব স্বপ্ন +++
মল : শক্ত +++
দুর্গন্ধ +++
কুন্থন ও মলত্যাগের নিষ্ফল চেষ্টা +++
মুত্র : হালকা হলুদ +++
যে সব রোগে ইহা ১ম শ্রেণীর ওষুধ :
অর্শ, শুষ্ক কাশি, কোষ্ঠবদ্ধতা, জন্ডিস, মাথাব্যথা।
বৃদ্ধি : ল্যাকেসিসের রোগীর আক্রান্ত স্থানে গরম প্রয়ােগে রােগ বাড়ে। যে পাশ আক্রান্ত সে পাশে চেপে শু'লে যন্ত্রণা বৃদ্ধি পায়।
আক্রান্ত স্থান হালকা ভাবে চাপলে বৃদ্ধি পায়। নড়াচড়া, ভ্রমনকালে, বসে থাকলে, স্পর্শে বৃদ্ধি।
শীতের শেষে বসন্ত, গ্রীষ্ম, বর্ষা, শৰক্কালে অর্থাৎ বছরে যে সময়ে সাপের উৎপাত বেশি হয়।
কখনো কখনো ঘুম যত বেশি হয় রােগ তত বৃদ্ধি হয়। তখন অনুসূচনা করে কেন এত ঘুমালাম। ঘুমের মধ্যে কষ্ট বা রােগ বৃদ্ধি পায় ফলে রােগী ঘুম যেতে ভয় পায়।
উপশম : যে কোন স্রাব নিঃস্বণে ব্রোগ
ঘুমের মধ্যে রোগলক্ষণ বৃদ্ধি, তাই ঘুম ভালো হয় না।
ডাঃ ইয়াকুব আলী সরকার
ইভা হোমিও হল।
বাইপাইল,সাভারঢাকা।
মোবাইল নং ০১৭১৬৬৫১৪৮৮।
গোঃ রেজিঃ নং ২৩৮৭৬।
অনিষ্টকর খাদ্য: উষ্ণখাদ্য,শীতলখাদ্য,চা,অম্ল,দুগ্ধ,স্যালাড,ভিনিগার,তামাক, মদ্য,ফল, পঁচা মাংস।
ডাঃ রবিন বর্মন স্যারের উপস্হানায় ল্যাকেসিসের রোগী চিত্র তুলে ধরা হলো।
আমি শ্রীমতী ল্যাকেসিস
নমস্কার, আমার মা হচ্ছেন সরীসৃপ কূলের এক ভীষণ বিষধর সাপ, নাম তার -- সুরুকুকু। আমার মা দক্ষিন আমেরিকার ব্রাজিলের গহন অরণ্যে বাস করতেন।
আমার মধ্যে তোমরা অনেক দোষ পাও, অনেক দোষ খোঁজো। কিন্তু আমার কি করার আছে বলো? আমি ত জিনগত ভাবে আমার মায়ের অনেক কিছুর ধারক ও বাহক।
তোমাদের হেরিং সাহেব আমার মায়ের বিষ নিয়ে আমাকে জন্ম দিয়েছেন। কিন্তু আমি আমার মায়ের চরিত্র, ভূমিকা, কি বেমালুম ভুলে যেতে পারি?
না,পারি না।
যেমন ধরো---
★ আমার মা বামদিক থেকে ডানদিক, আবার ডানদিক থেকে বামদিক---- এমনিভাবে এঁকেবেঁকে চলতো । আমি তাই অনুভব করি । প্রথমে শরীরের বামদিকে পরে ডানদিকে অসুবিধাগুলি বুঝি ।
★ আমার মা যখন চুপটি করে ঘুমাতো, তখন তার মধ্যে একটা উত্তেজনা বা বিরক্ত ভাব প্রকাশ পেতো। আমারও সেই দশা হয়েছে। যাবতীয় সমস্যা হয় ঘুমের মধ্যে, না হয় ঘুমের পরে ।
তাই যে ঘুম মানুষকে শোকে সান্ত্বনা দেয়, দুঃখকে বিস্মৃতি করে, পরিশ্রান্তকে আরাম দেয়, শঙ্কাকে নির্ভয় প্রদান করে, আমি তা পেলাম না, আমি তা পাই না।
★ আমার মাকে দেখেছি খুবই স্পর্শকাতর --- সামান্য শব্দ, সামান্য স্পর্শে সে তিড়িং করে লাফিয়ে উঠতো। আমারও তাই হয়েছে ---
আমি সামান্য স্পর্শে লাফিয়ে উঠি, ব্যথার জায়গায় সামান্য স্পর্শ আমার কাছে অসহ্য লাগে, কাপড় চোপড় সামান্যতম টাইটও আমি সহ্য করতে পারি না।
★ আমার মা গরম পড়তেই অসহ্য অবস্থায় পড়তো, কারন সে কোন রকম গরম সহ্য করতে পারতো না। সে নরম মাটি বা ঠান্ডা জায়গায় কুন্ডলী পাকিয়ে শুয়ে থাকতো। আমিও সেই স্বভাব পেয়েছি। আমার গরম খুবই বেশী। গরমে সারা শরীর, হাত, পা, ব্রম্মতালু সব জ্বালা করতে থাকে। তবে সবরকম ঠান্ডাতে আমি স্বাচছন্দ্য বোধ করি, সব রকম ঠান্ডাতে আমি আরাম বোধ করি। শরীরের সব জায়গার কষ্টে তাই আমি ঠান্ডা সেঁকে ভাল বোধ করি।
আর তাই গরম পড়ার সাথে সাথে অর্থাৎ বসন্তকালে এবং গ্রীষ্মকালে আমার সব রোগ বা কষ্ট বাড়ে। আমার জেনারেল এ্যাগরাভেশন তোমরা বলতে পারো বসন্তকালে বা গরমকালে।
★ আমার মাকে যারা দেখেছো ফচকে চ্যাংড়া সাপদের মতন লিকলিক করে সবসময় জিভ বের করতো না। ভারিক্কি চেহারার জন্য আর শরীরটা দূর্বল হওয়ার জন্য জিভ বের করতে তার খুব কষ্ট হতো, আর অতি কষ্টে বের করলে তার জিভটা কাঁপতো। আমারও একই অবস্থা। জিভ বের করতে একটা আড়ষ্টতা আর কাঁপুনি ।
★ আমার মাকে যারা দেখেছো তারা নিশ্চয়ই জানো কিরকম সন্দেহ তার মনে, কাউকে সে বিশ্বাস করতে চাইতো না। যে কোন ব্যাপারে অবিশ্বাসের সুরে আগে তিড়িং করে লাফ দিয়ে কামড়াবে। পাশের লোকটি ভাল না মন্দ সে বিচার আগে করবে না। জেনেটিকালি আমি তাই পেয়েছি। সবাইকে বড্ড সন্দেহ করি, হিংসা করি। বলতে পারো অতিশয় সন্দিগ্ধ আমি। কাউকে কোন ব্যাপারে চট করে বিশ্বাস করতে পারি না। অন্যের ভাল কিছু দেখলে হিংসায় আমার বুক জ্বলে যায়। হিংসা থেকে আমার ---মৃগী, তড়কা, হার্টের রোগ, মানসিক রোগ কত কিছু হচ্ছে, কিন্তু তবুও কিছুতেই নিজেকে আমি সংযত করতে পারি না।
আসলে এক্ষেত্রে আমি কয়লার মতন, নিজে দগ্ধ হয়ে অন্যকে দগ্ধ করি।
★ আমার মাকে দেখতাম সবসময় গলা পরিষ্কার করার জন্য কি রকম করতো, কারন জিজ্ঞাসা করলে বলতো--- ঐ ব্যাঙ ট্যাঙ গিলেছিলাম তো, তাই মনে হচ্ছে গলার মধ্যে কিছু একটা গোল বলের মতন আটকে আছে।
ব্যাস, আমারও তাই হলো,
সব সময় মনে হয় গলার মধ্যে বা শরীরের অন্য কোথাও গোল বলের মতন কিছু আটকে আছে। কি বিশ্রী ব্যাপার বলুন ত?
★ আমার মায়ের রক্ত কোনদিনও জমাট বাঁধতে দেখি নি। সব সময় দেখেছি তার রক্ত পাতলা, জমাটহীন, অর্থাৎ Non coagulable, আমারও তাই। আমার শরীর থেকে যখন যেখানে রক্ত বেরুক না কেন তা জমাট বাঁধে না, পাতলা, জলের মতন রক্ত ।
★ আমার মাকে তোমরা দেখনি কেমন একা একা চুপচাপ কোন এক ঝোপের কোনে চুপ করে শুয়ে থাকতো। আমিও সেই স্বভাবটা পেয়েছি, অর্থাৎ আমি অন্তর্মনা বা ভীষণ ইন্ট্রোভার্টেড।
একা একা নিজের মনে চুপচাপ থাকতে ভালবাসি।
তবে কতক্ষন এভাবে একা একা থাকা যায় বলতো ?
তাই কখনও মনের মতন একজন সাথী পেলে বেশ চুটিয়ে যত রাজ্যের গল্প করি। তার জন্য অনেকে আমাকে বাচাল বলে। তা বললে আর কি করবো? সিনেমার গানের লাইনে ওদের জবাব দিতে পারি---
" যা খুশী ওরা বলে বলুক, ওদের কথায় কি এসে যায়।"
★ ঐ যে বলছিলাম --- আমার শরীরের রক্ত পাতলা, জমাট বাঁধে না, শুধু তাই নয় ---- আমার শরীরের যে কোন জায়গা দিয়ে অতি সহজেই রক্তপাত হয়, হোমিওপ্যাথরা ডাক্তারি ভাষায় যাকে বলে --- হেমোরেজিক ডায়াথেসিস। যেমন--- আমার অন্য যে সব বন্ধুদের মধ্যে এই সিমপটমসটি আছে, তারা হলো--- ক্রোটেলাস হরিডাস, এরিজেরন, ফেরাম মেট, হ্যামামেলিস, মিলিফোলিয়াম, নাইট্রিক এ্যাসিড, ফসফরাস, স্যাবাইনা, ইত্যাদি।
যাইহোক, আমার নাক দিয়ে, মুখ দিয়ে, গোপনাঙ্গ দিয়ে, প্রস্রাবদ্বার দিয়ে, মলদ্বার দিয়ে যখন তখন রক্তপাত হয়। আর সেই রক্ত পাতলা, তার মধ্যে কোন জমাট বাঁধা ভাব থাকে না যা আমি আগেই বলেছি।
তবে কোন জায়গা দিয়ে রক্ত বেরুলে আমার কষ্ট কমে, আমি আরামবোধ করি। এইটা কিন্তু আমার একটা বিশেষ লক্ষন।
তবে আমার এক বান্ধবী মেলিলোটাসের মাথার যন্ত্রনা কিন্তু নাক দিয়ে একটু রক্ত বেরুলে কমে, আমার অবশ্য তেমন ব্যাপার নেই।
আর একটা কথা মনে রাখতে হবে -- আমার রক্ত কিন্তু ফসফরাস, ইপিকাক, মিলিফোলিয়াম, এরিজেরন -- এদের মতন টকটকে লাল নয়। বরং তোমরা বলতে পারো--- আমার শরীর থেকে যে রক্ত বেরোয় তা কার্বো ভেজ, হ্যামামেলিস এদের মতন একটু কালচে বা নীলচে।
কারন দেখেছি -- আমার মা কাউকে কামড়ালে তার শরীর থেকে ঠিক এইরকম পাতলা, কালচে, জমাটহীন রক্ত বেরুতো। সেই বিষ থেকেই ত আমার জন্ম।
★ আর একটা জেনে রাখো আমার বেশীরভাগ কষ্ট বা রোগ আমার মাসিক চিরতরে বন্ধ হওয়ার সময় দেখা দেয়। মাসিক চিরতরে বন্ধ হলে মহিলারা প্রত্যেক মাসের এক অবাঞ্ছিত জ্বালা যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পায়, অথচ আমার কি কপাল দেখো---- মাসিক বন্ধ হওয়ার সময় বা তার অব্যবহিত পরে, ভাল বাংলায় তোমরা যেটা বলো রজোনিবৃত্তিকালীন সময়---- সেই সময়টায় আমার যাবতীয় রোগের প্রাদুর্ভাব হয় বা কষ্ট এসে হাজির হয়। তোমাদের ডাক্তারী ভাষায় যাকে বলে Climacteric Ailments, বা Menopause, বা Menopausal Syndrome, বা Change of life, সেই সময়।
এই সময় আমার মাথার মাঝখানটা ব্যথা হয়, বুক ধড়ফড় করে, শরীরের উপরদিকে যেন আগুনের ঝলক উঠতে থাকে, মাঝেমধ্যে অজ্ঞানও হয়ে যাই, অর্শ দেখা দেয়, ইত্যাদি।
★ আমার মাকে দেখতাম সাপুড়েরা বাঁশী বাজালে বাঁশীর তালে তালে দুলতো, নাচার ভঙ্গীমা করতো ---- তার মানে বুঝছো আমার মা একটু আনন্দ বা আমোদ প্রমোদ ভালবাসতো। তা আমি সেই স্বভাব কিছুটা পেয়েছি।
আমি যদিও অন্তর্মনা কিন্তু একটু হাসিখুশী থাকতে চাই। সবার সাথে একটু আমোদ আহলাদে কাটাতে চাই। ইংরাজীতে যাকে বলে Amativeness, তাই ত তোমাদের কেন্ট সাহেব তার রেপার্টরীতে Mind র দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় Amusenent desire এ আমাকে 2nd grade এ স্থান দিয়েছেন।
★ আমার মা ঠান্ডা শীতল জায়গায় কেন কুন্ডলী পাকিয়ে শুয়ে থাকতো? বলেছি না তার শরীরে খুব গরম আর জ্বালা থাকতো তাই।
আমিও তাই পেয়েছি। আমার সারা শরীরে গরমের সাথে সাথে সাথে জ্বালা করে। আমার হাত পা জ্বালা করে, মাথার তালু জ্বালা করে, শরীরে কোন ব্যথার জায়গা, ফোঁড়া, কার্বাঙকল, আলসার -- সর্বত্র জ্বালা করতে থাকে।
আর আগেই বলেছি আমার সব জায়গার জ্বালা ঠান্ডা সেঁকে বা ঠান্ডা প্রলেপে কমে বা আরামবোধ হয় ----- সালফার, সিকেলি কর, মেডোরিনাম, ফসফরাস এদের মতন।
আগেই বলেছি মাসিক বন্ধের সময় আমার হাত,পা, ব্রক্ষ্মতালুর জ্বালা ত অবধারিত। থাকেই।
★ আমার আর একটা কমপ্লেইন ছিলো---- প্রত্যেকবার মাসিকের আগে নানারকম কষ্ট পেতাম। যাকে ডাক্তারি ভাষায় বলা হয়--Premenstrual Syndrome, ঐ সময়ে আমার রাগ বেড়ে যেতো, মন খারাপ থাকতো, মাথার যন্ত্রনা হতো, শরীরে উত্তাপবোধ হতো, ইত্যাদি।
কিন্তু মাসিক হয়ে গেলেই আমার সব কষ্টের লাঘব হতো। সব দুঃখের অবসান হতো। এইক্ষেত্রে আমার সাথে আমার বান্ধবী জিঙকাম মেটের বেশ মিল ছিলো, কারন তারও মাসিক হয়ে গেলে সব দিক দিয়ে সে আরাম বা স্বাচছন্দ্যবোধ করতো।
রোগ লক্ষণ :
মাসিক নিয়মিত হলেও ১ দিন থাকে এবং পরিমানে সামান্য হয়। মহিলাদের মাসিক বন্ধের বয়সে মাসিক বন্ধ হলে মাথা গরম হয়, গরম সহ্য করতে পারেনা। হাত-পা জ্বালা করে। ঋতুস্রাব বন্ধ হলে শরীরে আগুনের ঝলকা অনুভত হয়। কারণ তখন রক্তের সঞ্চালন শরীরের উপর দিকে বেশী হয়।নিদ্রাকালে রােগ বৃদ্ধির ফলে ঘুম ভেঙ্গে যায়।নিদ্রার পরেও রােগের বৃদ্ধি বজায় থাকে।
যে কোন স্রাব নিঃসরণে কষ্ট বা রােগ উপশম হয় : (জিঙ্কাম, নাক্স)। এমন কি ভুক্তদ্রব্য বমি হলে ব্যথা কমে। প্রস্রাব পায়খানা হলেও এর রােগ কমে : (নাক্স-ভোম)।
হৃৎপিন্ড শরীরের সর্বত্রই রক্ত সঞ্চালন করে তাই রজস্রাবসহ যে কোন স্রাব নিঃসরণে
হৃৎপিন্ডের ব্যথা উপশম হয়। যেমন সাপে দংশিত স্থান থেকে বিষাক্ত বা কালােরক্ত বের করলে কষ্ট কমে যায়। রক্তস্রাব কালাে হয়। হৃৎপিন্ডের দ্রুত স্পন্দন ও শ্বাসকষ্ট ঘুমের সময় বৃদ্ধি পায়। ঘুমের মধ্যে নানান কষ্ট হয়। ঘুমের মধ্যে চমকে উঠে।
প্রাহিত স্থান স্পর্শকাতর ও হালকা নীলবর্ণ থাকে। হার্ট, লিভার, প্লীহার অসুখে শরীর ফুলে যায়। রােদ লেগে মাথা ব্যথা। ঘুমের মধ্যে রােগ বৃদ্ধি তাই সে ভয়ে ঘুম যেতে চায় না।
ফিজিক্যাল জেনারেল :
বার বার জিহ্বা বের করে ঠোঁট ভিজায়। জ্বিহ্বা কাঁপে :(জেলস)। হাত পা বরফের মত ঠান্ডা থাকে। খােলা বাতাস ভাল লাগলেও ফ্যানের বাতাস অপছন্দ।
ল্যাকেসিস মাথায় বাতাশ পছন্দ করে কিন্তু মুখের কাছে নয়। কার্বভেজ মুখের কাছে বাতাশ চায়। শ্বাসকষ্টে বাতাস পছন্দ করে কিন্তু মুখের কাছে বাতাস পছন্দ করে না।
গরমপানিতে গোসল করলে কিংবা প্রবাহিত স্থানে গৱম প্রয়োগে রোগ বৃদ্ধি, এপিস, এ্যাসিড-ফ্লোর, লিডাম।
বদ্ধ ঘরে রােগ বৃদ্ধি, এপিস, ক্যালি-সালফ। সে বাইরের মুক্ত বাতাশ পছন্দ করে।
খুব গরম, খুব শীত কোনটাই সহ্য করতে পারে না। নাতিশীতষ্ণ আবহাওয়া পছন্দ :(মার্ক-সল, সালফার, ফাইটোলক্কা, কষ্টিকাম, ক্যাল-সেরা, টিউবারকুলিনাম)।
বালিকারা গরম জলে স্নান করলে অনেক সময় খিঁচুনি হয় : (এপিস) এবং হৃৎপিন্ডের ধড়ফড়ানি বেড়ে যায়। মনে হয় মাথা ফেটে যাবে।
সাপকে স্পর্শ করলে যেমন চমকে ওঠে তেমনি ল্যাকেসিসের রােগীর চামড়া স্পর্শকাতর : (ক্যালি-কার্ব)। শক্তকরে চাপলে ব্যথা উপশম হয় : (ক্যালি-কার্ব)।
এর কোন জায়গা কেটে গিয়ে বা ফেটে গিয়ে রক্ত বের হলে সহজে রক্ত জমাট বাধতে চায় না : (ফসফরাস, ক্রিয়ােজোট, ক্রোটেলাস, চায়না, কার্বোভেজ)।
রােগে বামদিক আক্রান্ত হয় : (থুজা, লিলিয়াম-টিগ, স্পাইজেলিয়া, স্যাবাডিলা)।
এর হৃৎপিন্ড বড়ই দুর্বল। মাঝে মাঝে সারারাত ঘুমিয়ে সকালে উঠে মন বিষন্ন থাকে।
শারীরিক সাধারণ লক্ষণ ও গলায় টাই পরতে পারে না। টাইট করে শার্টের বােতাম লাগাতে পারে। শরীরের কোন অংশে টাইট করে কাপড় পড়তে পারে না।
ডিপথেরিয়া ও টনসিলে রোগে বার বার দিক পরিবর্তন করে তবে বামপাশে বেশি হয়।
অভিজ্ঞান :
** হিংসা প্রবৃত্তির সময় তাকে তােষামােদ করে বড় বলে প্রচার করলে মানসিক অবস্থা শান্ত হয়।
** প্রেমে ব্যর্থ হলে, বিয়েতে অনীহা হতে পারে। তখন বাচালতা নাও থাকতে পারে।
** যারা ক্যান্সার বা হার্টের অসুখে ভূগেন তাঁরা কম কথা বলতে চান এবং কাউকে আঘাত করতে চান না।
** প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ব্যর্থ হলে আধ্যাত্মিক হয়ে যায়।
** মৃত্যু নিকটে ভেবে ধ্যান করে, কেউ আবার নাস্তিক হয়ে যায়।
** প্রেমিক যদি তার প্রেমিকাকে বাদ দিয়ে অন্য কারো সাথে প্রেম করে সে ক্ষেত্রে প্রেমিকা তার প্রেমিককে ফিরানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে বিয়েতে অনীহা চলে আসে।
** পাগল অবস্থায় বেশি কথা বলা বিশেষ লক্ষণ। বেশী কথা বলায় ও কাউকে বিশ্বাস না করায় স্বজনেরা অনেক সময় বিরক্ত হয়ে তাকে আশ্রমে রেখে আসতে চায়।
** ধর্ম সংক্রান্ত পাগলামীভাব স্ত্রী লােকদের মধ্যে খুব বেশী পাওয়া যায়।
** মাসিক বন্ধের বয়সেও বাচালতা দেখা যায়।
** বাচালতা সাধারণত টাইফয়েড, প্রলাপবকা, ডিপথেরিয়া, সন্তান প্রসবের পর পাগল রোগে দেখা দেয়।
** এর রোগ আক্রমণ বামদিকে আর হৃৎপিণ্ড বাম দিকে বলেই হয়তো এর রোগীদের হৃৎপিন্ডে এতো সমস্যা করে।
** হৃৎপিন্ডের সাথে প্রায়ই মাথা ব্যথা হয়ে থাকে।
** বায়ু নিঃসরণ হলে হৃৎপিন্ডের ব্যথা কমে।
** এর চামড়ায় সামান্য স্পর্শ করলে রােগ বেড়ে যায় : (ক্যালি-কার্ব)। বিশেষ করে ঝিল্লি প্রদাহ, জরায়ুর প্রদাহ ডিম্বকোষের প্রদাহের ক্ষেত্রে।
** চামড়ার স্পর্শকাতরতা গলায়, ঘাড়ে, পেটের উপর ও কোমরের উপর, যে কারনেই এসব জায়গায় টাইট করে কাপড় পরতে পারে না।
** টাইফয়েড জ্বরের একটি বড় ঔষধ। ডা. ন্যাশ।
** ব্যর্থ প্রেমের কুফলে ইহা প্রসিদ্ধ (ইগ্নেসিয়া)।
খাদ্য অসহ্য : গরম খাবার +++ ঠান্ডা খাবার +++ মাংস +++
ঘাম : ব্যথা থেকে ঘাম হয় +++
ঘামের হলুদ, লাল, রক্তাক্ত দাগ কাপড়ে
লাগে +++
ঘুম : নিদ্রাহীনতা +++
ঘুম ঘুম ভাব +++
অতৃপ্তিকর ঘুম +++
গভীর ঘুম ++
বাম পাশে কাত হয়ে শোয়া অসম্ভব ++
স্বপ্ন : ঘুমের মধ্যে নানা ধরনের ভীতিপূর্ণ
স্বপ্ন দেখে আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়ে।
স্বপ্ন : প্রেম +++
মৃত্যু +++
অবাস্তব স্বপ্ন +++
মল : শক্ত +++
দুর্গন্ধ +++
কুন্থন ও মলত্যাগের নিষ্ফল চেষ্টা +++
মুত্র : হালকা হলুদ +++
যে সব রোগে ইহা ১ম শ্রেণীর ওষুধ :
অর্শ, শুষ্ক কাশি, কোষ্ঠবদ্ধতা, জন্ডিস, মাথাব্যথা।
বৃদ্ধি : ল্যাকেসিসের রোগীর আক্রান্ত স্থানে গরম প্রয়ােগে রােগ বাড়ে। যে পাশ আক্রান্ত সে পাশে চেপে শু'লে যন্ত্রণা বৃদ্ধি পায়।
আক্রান্ত স্থান হালকা ভাবে চাপলে বৃদ্ধি পায়। নড়াচড়া, ভ্রমনকালে, বসে থাকলে, স্পর্শে বৃদ্ধি।
শীতের শেষে বসন্ত, গ্রীষ্ম, বর্ষা, শৰক্কালে অর্থাৎ বছরে যে সময়ে সাপের উৎপাত বেশি হয়।
কখনো কখনো ঘুম যত বেশি হয় রােগ তত বৃদ্ধি হয়। তখন অনুসূচনা করে কেন এত ঘুমালাম। ঘুমের মধ্যে কষ্ট বা রােগ বৃদ্ধি পায় ফলে রােগী ঘুম যেতে ভয় পায়।
উপশম : যে কোন স্রাব নিঃস্বণে ব্রোগ
ঘুমের মধ্যে রোগলক্ষণ বৃদ্ধি, তাই ঘুম ভালো হয় না।
ডাঃ ইয়াকুব আলী সরকার
ইভা হোমিও হল।
বাইপাইল,সাভারঢাকা।
মোবাইল নং ০১৭১৬৬৫১৪৮৮।
গোঃ রেজিঃ নং ২৩৮৭৬।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন