মঙ্গলবার, ২২ মে, ২০১৮

হোমিওপ্যাথিক মতে রোগ নির্ণয় কৌশল।

                                    রোগ সনাক্তকরণ রোগ আরোগ্যের প্রধান শর্ত।


রোগ আরোগ্যের জন্য একজন চিকিৎসকের প্রথম ও প্রধান কাজ রোগ-সনাক্তকরণ বা DIAGNOSIS।

রোগীর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুবান্ধবের নিকট থেকে যত্নসহকারে রোগের বিবরণ সংগ্রহ এবং রোগীর ব্যক্তিগত শারীরিক ও মানসিক পরীক্ষা দ্বারা ডায়াগনোসিস করা যেতে পারে।জটিল রোগ সমুহ চিকিৎসার ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয়ে বিলম্ব রোগ চিকিৎসার ক্ষেত্রে একটি বড় সমস্যা।রোগ দ্রুত সনাক্তকরণেই স্ত্রীরোগী পরীক্ষার ক্ষেত্রে তাহার ঋতুস্রাব উপযুক্ত সময় প্রকাশ পায় কিনা অথবা কতদিন থাকে কি পরিমান স্রাব হয়,ঋতু কালে বেদনা করে কিনা,বেদনার প্রকৃতি ও ঋতুর আগে পরে কখন হয়।ঋতুর শেষে পরবর্তি ঋতুর মাঝে কখনও রক্তস্রাব হয় কি না।রোগীর প্রদর স্রাব আছে কিনা থাকলে তাপর বিস্তারিত অবস্হা কি?প্রাপ্ত বয়স্কদের নিকট হতে জানতে হবে তার কোন যৌণ রোগ আছে কিনা,গর্ভপাত হয়েছিল কিনা,সন্তান আছে কিনা ,সন্তান প্রসবে কোন জটিলতা হয়েছিল কিনা ইত্যাদি বিষযে সবকিছু জানা থাকা প্রয়োজন।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় রোগ যাহাই হোক না কেন,তৎপ্রকৃতি গুরুত্ব অর্পণ না করিয়া রোগের লক্ষণ সমুহের উপর দৃষ্টি রাখিয়া চিকিৎসা পরিচালনা নির্দেশ থাকিলেও তাহাতে চিকিৎসকের যে অভিজ্ঞতা ও দুরদৃষ্টি থাকা প্রয়োজন।কিন্তু নতুন এ ধারা কখনও কখনও বিভ্রান্তিও দেয়।কোন রোগীর সামান্য অবস্হাকে জটিল করে।ধরুন কোন মহিলার স্তনে সামান্য বেদনা আছে টেস্ট করে বলে দিল তার স্তন ক্যান্সার সেই রোগীর কি অবস্হা হবে।লক্ষণ বিবেচনায় ঐ রোগীর জন্য সামান্য একফোটা হোমিওপ্যাথিক ঔষধই যথেষ্ট।
তাই কোন রোগ সম্পর্কে উপরোক্ত তথ্যাবলি অবগত হওয়া সম্ভব হলে রোগ আরোগ্যের পথ সহজ হয়।সঠিক রোগ চিত্র রোগ আরোগ্যের পুর্বশর্ত।রোগের বাহ্য ও আভ্যন্তরিক লক্ষণনাদি সম্বন্ধে জানা আবশ্যক।
রোগীর তাপমাত্রা,নাড়ী,রক্তচাপ,শ্বাসপ্রশ্বাস,মুখেরভাব,চক্ষু,কর্ণ,জিহ্বা,ক্ষুধা,পিপাসা ইত্যাদির সঠিক চিত্র ডাক্তারের চোখে ফুটে উঠলে রোগ আরোগ্যের ক্ষেত্রে সফলতা নিশ্চিত করা যায়।
***************************************************************
একজন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তাকে প্রথম যে কাজটি করতে হয়,তা হলো রোগী চিত্র অংকন করা।এই রোগী চিত্র আকতে দক্ষতা যার যাত বেশি সে তত সফল ভাবে সঠিক সদৃশ ঔষধ নির্বাচন করতে সক্ষম ও রোগ আরোগ্যে সে তত দক্ষতার প্রমাণ রাখতে পারেন।
ডাঃ কেন্ট এর মতে “হোমিওপ্যাথিতে কোন নির্দিষ্ট রোগের জন্য নির্দিষ্ট ঔসধ নেই কিন্তু এতে প্রতিটি রোগের জন্যই নির্দিষ্ট চিকিৎসা আছে।”
অর্গানন অব মেডিসিনের অনুচ্ছেদ ৮৩-১০৩ অনুযায়ী পুর্নাঙ্গ রোগীলিপি করা প্রয়োজন।আর রোগীলিপির সময় রোগীর মধ্যে যা কিছু অস্বাভাবিক পাওয়া যাবে তাই লক্ষন হিসাবে রেকর্ড করতে হবে।সংগৃহীত লক্ষন এর মধ্যে একক,অদ্ভুত বিরল,অস্বাভাবিক, বিশেষ বিশিষ্ট পূর্ণ বা নির্দেশক লক্ষন খুজে বের করার চেষ্টা করতে হবে ।
রোগী লিপি ঃ
সিরিয়াল নং : নাম – বয়স – পেশা – তারিখ -
১। রোগের বিবরণ -
২। রোগের অবস্থা বেশী খারাপ হয়-
বর্ষাকালে /গ্রীষ্মকালে /শীতকালে/মধ্যরাতের পরে/সন্ধ্যায়/বিকেলে/দুপুরে/সকালে/বিশ্রামের সময়/নড়াচড়া করলে/রাতের বেলা/দিনের বেলা/আগুনের কাছে গেলে/ভোর ৩ টা থেকে ৫ টার সময়/বিকেল ৪টা থেকে ৮টার সময়/অন্ধকারে/আলোতে/চাপ দিলে/গরম ঘরে/ম্যাসেজ করলে/ঘুমাইলে/ভিজলে/ঘামলে/কথা বললে/টেনশন করলে/উত্তেজিত হলে/মানসিক শ্রমে/পরিশ্রম করলে/দাঁড়াইলে/হাঁটলে/রোগের কথা চিন্তা করলে/নীচে নামার সময়/ভরাপেটে/খালিপেটে/বিছানায় শুইলে/বদ্ধ ঘরে/ঠান্ডা খাবারে/ঠান্ডা বাতাসে/ভেজা বাতাসে/শুকনো বাতাসে/খোলা বাতাসে গেলে ইত্যাদি।
৩। রোগ হওয়ার আনুমানিক কারণ ?
মাত্রাতিরিক্ত আর্থিক ক্ষতি/পচাঁ/বাসি খাবার খাওয়ায়/রাগ চেপে রাখা/আঘাত পাওয়া/ভয় পাওয়া/মানসিক আঘাত/কোন ধরনের নিঃস্রাব (ঘাম/সর্দি/মাসিক) হঠাৎ বন্ধ হওয়ায়/পারদের বিষক্রিয়া/ঠান্ডা বাতাস/প্রেমে ব্যর্থতা/আপনজনের মৃত্যু/কারখানায় কাজ করা/প্রচণ্ড গরমের সময় ঠান্ডা খাবার খাওয়া/যৌনকর্ম/রক্তক্ষরণ/বেশী পরিশ্রম/বেশী পড়াশুনা/ঠান্ডা পানিতে গোসল করা/গর্ভধারন/বিষন্নতা/ভারী কিছু উঠানো/ঠান্ডা পানিতে পা ভিজানো/টিকা / ভ্যাকসিন নেওয়া/মাথায় আঘাত ইত্যাদি।
৪। অতীতে কোন কোন রোগ হয়েছিল ?
টিকা নিয়েছি (বিসিজি,ডিপিটি,হাম,পোলিও,এটিএস, হেপাটাইটিস). অপারেশন / গর্ভপাত /চর্মরোগ /কোষ্টকাঠিন্য / গলগন্ড/কোমরে বাত /ক্যান্সার / গনোরিয়া /সিফিলিস /টিবি/যক্ষ্ম।
৫। তাপমাত্রা সম্পর্কিত অনুভূতি ?
বরফের মতো ঠান্ডা পানি খাই,ঠান্ডা বাতাস খুবই পছন্দ,গরমকাল সহ্য করতে পারি না,শীতকাল সহ্য করতে পারি না।
৬। শারীরিক আকৃতি কেমন ?
প্রচুর খেয়েও শুকিয়ে যাচিছ,শরীরে পানির পরিমাণ বেশী ,বয়সের চাইতেও বেশী বয়ষ্ক মনে হয়,মোটা,স্বাভাবিক পাতলা।
৭। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভ্যাস কেমন ?
বেশী বেশী হাত ধোয়ার অভ্যাস/অভ্যাস নাই,কোন কিছু এলোমেলো দেখলে ভীষণ রাগ লাগে/রাগ লাগে না,পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে খুবই সিরিয়াস /সিরিয়াস না,শীতকালে নিয়মিত গোসল করি/করি না, গরম এ নিয়মিত গোসল করি / নিয়মিত গোসল করি না।
৮। যে-সব খাবার/ পানীয় খুব বেশী পছন্দ ?
বরফের মতো ঠান্ডা পানি খেতে ভালো লাগে,দুধ হজম হয় না,গরম পানি,গরম ভাত, গরম খাবার পছন্দ,ঠান্ডা পানি,ঠান্ডা বাতাস,ঠাণ্ডা ভাত, ঠান্ডা সব খাবার পছন্দ,এতো গরম চা/ কফি খাই যা অন্য কেউ খেলে মুখ পুড়ে যাবে,লবন বেশী খাওয়ার অভ্যাস,মিষ্টি খাবারের প্রতি ভীষণ লোভ / ঝাল খাবারের প্রতি ভীষণ লোভ,ঠান্ডা খাবার,তেল-ঘি জাত, গোল আলু,কাবাব,চকলেট, আপেল ,আইসক্রিম,মাংস,মাছ,ডিম, দুধ,ঝাল,টক।
৯. ক্ষুধার অবস্থা কেমন ?
পানি খাওয়ার কিছু পরেই বমি হয়ে যায়,হজমশক্তি দুর্বল,যা খাই সব ঠেলে উপরের দিকে উঠতে থাকে,খাওয়ার পর পেট ভার ভার লাগে, পিপাসা কম,পিপাসা বেশী,খোলা বাতাস খুবই পছন্দ,চক,কয়লা, পোড়ামাটি, চুনা প্রভৃতি অখাদ্য খাওয়ার ইচ্ছা,প্রচুর খেয়েও ক্ষুধা মিটে না , পানি ছাড়া সবই তিতা লাগে , খাওয়ার একটু পরেই আবর ক্ষুধা লাগে,যা খাই তাতেই পেটে গ্যাস হয়,অল্পকিছু খেলেই পেট ভরে যায় , মুখ তিতা তিতা লাগে,সব খাবারই নোন্তা লাগে,ক্ষুধা আছে কিন্তু খেতে ইচেছ করে না,সবচেয়ে বেশী ক্ষুধা পায় সকাল ১১ টার পর বেশি,রাতে কম ইত্যাদি।
১০। ঘুমের অবস্থা কেমন ?
হাঁটুর মুরে ঘুমাই,ঘুমের মধ্যে পায়ে স্পর্শ করলে লাফ দিয়ে উঠি,ঘুমের সময় মুখ থেকে লালা ঝরে,ঘুমের মধ্যে অল্পতেই চমকে উঠি,অনেক ঘুমিয়েও ফ্রেস লাগে না , ভোরে ঘুম ভেঙ্গে যায়/ভাঙ্গে না,ঘুম বেশী,ঘুম স্বাভাবিক, ঘুম কম ইত্যাদি।
১১। কিসে কিসে ভয় পান ?
ধারালো অস্ত্র,উপর থেকে পড়ে যাওয়ার ভয়,ভয় পেলে পেটের ভেতর চন্‌ করে ওঠে,চিপা সংকীর্ণ জায়গা,চাকরি হারানো,গরীব হওয়া,বদ্ধ ঘর, ট্রেন, কলেরা,প্যারালাইসিস,ক্যান্সার,নীচের দিকে নামতে, আলপিন, ধারালো অস্ত্র,বজ্রপাত,চোর-ডাকাত,মৃত্যু,ভুত পেত্নী,কুকুর, সাপ, তেলাপোকা, টিকটিকি,উপরে ওঠে নীচে তাকাতে, অন্ধকার,লোক সমাগম,একা থাকতে ইত্যাদি।
১২। আপনার স্মরণশক্তি কেমন ?
ছোটখাট ব্যাপারে বেশী দুঃশ্চিনতা হয়,চিন্তা ছাড়া এক মুহূর্ত থাকতে পারি না,কথা বলার সময় লাইন হারিয়ে ফেলি,কোনো কিছুতে সহজে মনোনিবেশ করতে পারি না,চিন্তা করার শক্তি নাই,হঠাৎ করে স্মরণশক্তি অনেক কমে গেছে,প্রখর,স্বাভাবিক,দুর্বল ইত্যাদি।
১৩। মেজাজ-মর্জি কেমন ?
রাগলেও তা প্রকাশ করি না,আমার মতের বিরোধীতা সহ্য করতে পারি না , অল্পতেই ভীষন রেগে যাই,খিটখিটে,স্বাভাবিক,একেবারে ঠান্ডা, টেনশন করলে ডায়রিয়া হয়ে যায়, অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ না করে থাকতে পারি না ,মানুষের দুঃখ-কষ্ট দেখলে সহ্য করতে পারি না , অল্পতেই মনে কষ্ট পাই , মেজাজ-মর্জি ক্ষণে ক্ষণে পাল্টায় ইত্যাদি।
১৪। ঘামের অবস্থা কেমন ?
চামড়া তৈলাক্ত,হাত পা সর্বদা ঘামে ভিজে থাকে,শরীরের খোলা অংশ ঘামায়,মাথার ঘামে বালিশ ভিজে যায়,পায়ে দুর্গন্ধযুক্ত ঘাম,শয়ন করলে বেশী ঘামায়,শরীরের এক পাশে ঘামায় ,শরীরের উপরের অংশে বেশী ঘামায় , ঘামের গন্ধ টক,সামান্য পরিশ্রমেই প্রচুর ঘামায়,ঘুমের মধ্যে / এমনকি চোখ বন্ধ করলেও , মাথা এবং ঘাড়ে বেশী ঘামায় , ঘাম খুব বেশী ,স্বাভাবিক,ঘাম খুব কম ইত্যাদি।
১৫। কি ধরণের স্বপ্ন দেখেন ?
বিরক্তিকর,ডাকাত,দুর্ভাগ্যজনক,পানি,আগুন,উপর থেকে পতন,মৃত মানুষ,ভয়ঙ্কর,মাঠে ঘুরতেছি,ঝগড়া,গোলাগুলি,কঠোর পরিশ্রম, অস্থিরতাপূর্ণ,নোংরা,প্রাণবন্ত দুঃস্বপ্ন,এলোমেলো,স্বাভাবিক,দেখি না ইত্যাদি।
১৬। ভীষণ দুর্গন্ধ আছে ‍ কি ?
ঘামের গন্ধ মিষ্টি ধরণের,পায়খানা এবং ঘামের গন্ধ টক,পায়খানা/ প্রস্রাব/ বমিতে মাছের গন্ধ,নিঃশ্বাস ও কফের দূর্গন্ধ নিজের কাছেও অসহ্য ,ঋতুস্রাবে,ঘামে রসুনের গন্ধ,নিঃশ্বাসে ,প্রস্রাবে,পায়খানায় ইত্যাদি।
১৭। মাসিকের অবস্থা কেমন ?
মাসিকের পরিবর্তে স্তনে দুধ আসে ,মাসিক শুরু হলে অনেক সমস্যা চলে যায়,মাসিক নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই শুরু হয়ে যায়,মাসিকের পূর্বে বিষন্নতা ,স-ন্যদান কালে জরায়ু থেকে রক্তক্ষরণ হয়,প্রথম মাসিক দেরীতে শুরু হয়েছিল ,মাসিকের কয়েকদিন পূর্ব থেকে মাথাব্যথা শুরু হয়,মাসিকের শুরুতে ডায়েরিয়া দেখা দেয়,দুর্গন্ধযুক্ত,ব্যথাযুক্ত ঋতুস্রাব,সাদাস্রাব,বেশী স্রাব ,অল্প স্রাব ,একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে, অনিয়মিত,নিয়মিত ইত্যাদি।
১৮। ব্যথা-বেদনার হালচাল কেমন ?
ব্যথা ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করে,ছুরি মারার মতো,বিজলীর মতো, সামান্য ব্যথাতেই অজ্ঞান হয়ে যাই ,শক্ত বিছানায় শুতে পারি না ,সামান্য স্পর্শেও ব্যথা পাই ,ব্যথা ধীরে ধীরে বাড়ে এবং ধীরে ধীরে কমে ,ব্যথা অতি অল্প একটু জায়গায় ,আঙ্গুলের মাথায় সুই ফোটানোর মতো ব্যথা,ব্যথা তলপেট থেকে স্তনের দিকে ‍যায়,ডান কাঁধের নীচে ঝিমমারা ব্যথা,ব্যথা কোমর থেকে হাটুর দিকে যায়,ব্যথা হঠাৎ আসে হঠাৎ যায় ,ব্যথা হওয়ার কথা অথচ ব্যথা নেই ইত্যাদি।
১৯। পায়খানা-প্রস্রাবের বৃত্তান্ত ?
প্রস্রাবের গন্ধ গরুর চেনার মতো,হাঁচি,কাশি বা হাঁটার সময় প্রস্রাব বেরিয়ে যায় ,প্রস্রাবের গন্ধ কড়া/ঝাঁঝালো ,ছাগলের লেদির মতো পায়খানা,পায়খানায়/প্রস্রাবে ভীষণ জ্বালা-পোড়া আছে,ঘনঘন প্রস্রাব হয় ,কোষ্টকাঠিন্য/ পায়খানা শক্ত (দীর্ঘদিন যাবত) ইত্যাদি।
২০। শরীরে জ্বালা-পোড়া আছে কি ? ‍
পেটের ভেতরে,পায়ের তালুতে,হাতের তালুতে,মাথার তালুতে।
২১। হার্টের/ হৃৎপিন্ডের অবস্থা কেমন ?
মাঝে মধ্যে হার্টবিট মিস হয়,হার্টবিট খুবই কম/ধীরে ধীরে,বুক ধড়ফড়ানি,হার্টবিট খুবই দ্রুত,হার্টের ব্যাপারে সব সময় দুঃশ্চিন্তায় থাকি,অল্পতেই অজ্ঞান হয়ে যাই ইত্যাদি।
২২। মানসিক লক্ষণসমূহ ‍ কেমন ?
মানুষের সাথে,মিশুক/সামাজিক,কথায় কথায় ঝগড়া করার স্বভাব ,মানুষকে সন্দেহ করার অভ্যাস,উদাসীন/ বেখেয়ালী,কথা বলতে ইচ্ছে করে না,বেশী বেশী কথা বলার স্বভাব,ভবিষ্যতের ব্যাপারে হতাশা ,অনুশোচনা/অনুতাপ দগ্ধ হইতেছি,আবেগপ্রবণ,বিষন্নতা, মনে আনন্দ নাই ,এক পজিশনে বেশীক্ষণ থাকতে পারি না ,ভীষণ অস্থির ,অলস ,অত্যধিক চঞ্চল ,সহজে মিশতে পারি না,রোমান্টিক (রসিক) ধরনের মানুষ ,হিংসুটে ,বিখ্যাত হওয়ার ইচ্ছা,নেতৃত্বের জন্য পাগল,শান্তিপ্রিয়-ঝগড়া বিবাদ পছন্দ করি না ,প্রতিশোধ পরায়ণ ,টাকা উড়ানোর স্বভাব ,খরচের ব্যাপারে সাংঘাতিক হিসাবী ,এক মুহূর্ত কাজ না করে থাকতে পারি না ,সমাজের / পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা নেই ,বাড়ির জন্য সর্বদা মন কান্দে ,মনে হয় আমার সাংঘাতিক কোন রোগ হয়েছে,নিজেকে বড় এবং অন্যদের তুচ্ছ মনে হয়,বড় রকমের কষ্ট পেয়েছিলাম,ধর্মীয়, পার্টি, অনুষ্টান,সভা-সমিতি ইত্যাদি নিয়ে পড়ে থাকতে ভালো লাগে ,অত্যধিক মানসিক পরিশ্রম করি,অল্পতেই ভয় পেয়ে যাই ,নিজের বা অন্যের কৃতকর্মের পরিণতি নিয়ে ভীষণ দুশ্চিন্তা হয়,গান খুবই পছন্দ করি ,চাকরি বা পেশার চিন্তা,উচ্চ আওয়াজ ভীষণ অসহ্য লাগে ,প্রশ্নের উত্তর দিতে দেরি হয়ে যায় ,মনে হয় আর বাঁচব না,মনের মধ্যে অদ্ভূত-হাস্যকর সব চিন্তা আসে ,মনে হয় আমার আখেরাত বরবাদ হয়ে গেছে,দ্রুত হাঁটার অভ্যাস ,সহজে মত পাল্টে যায় ,সবকিছু স্বপ্নের মতো মনে হয় ,সবকাজেই তাড়াহুড়া করি,কথায় কথায় কেঁদে ফেলি,সান্ত্বনা দিলে উল্টো ক্ষেপে যাই ,সবকিছুতে গোপনীয়তার স্বভাব,পরকালের মুক্তি নিয়ে বেশী চিন্তা করি ভয় পেলে হাত পায়ে ক্বাঁপুনি দেখা দেয়,অন্যের ক্ষতি করার ইচ্ছা হয় , আত্মহত্যা করতে ইচছা হয় মাথায় গুলি করে/ উপর থেকে লাফ দিয়ে,অল্পতেই হাসি অল্পতেই কাঁদি,ঘনঘন পেশা পরিবর্তনের অভ্যাস ,জীবন এর প্রতি আগ্রহ কমে গেছে,মনে হয় সবাই আমাকে ঘৃণা করে ,চাঁদের আলোতে আবেগপ্রবন হয়ে পড়ি,মনে হয় সবাই আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করতেছে,মানুষ খুন করার ইচ্ছা হয় ,একা থাকতে ইচ্ছা করে ,অল্পতেই মনে কষ্ট পাই,মনের মধ্যে অনেক রাগ জমে আছে,কাজের প্রশংসা শুনতে খুবই পছন্দ করি,মনে হয় আমার রোগ কখনও ভালো হবে না,মনে হয় পাগল হয়ে যাব,সব ব্যাপারে কাওকে পরোয়া করি না ,ভবিষ্যতের অজানা অমঙ্গলের ভয় হয়,বিপরীত লিঙ্গের মানুষের প্রতি অনাসক্তি,স্ত্রীপুত্র স্বামী সন্তানের প্রতি দরদ কমে গেছে ,কোনো মানুষকেই সহ্য হয় না,কোন ব্যাপারেই আগ্রহ নাই,প্রশংসা শোনলে কান্না পায়,নাচে,লাফায়,হাসে, শীস বাজায়,অশ্লীল গান গাই,বিষ খাওয়ায়ে মেরে ফেলবে আশঙ্কা, কারো কোন অসুখ হয়েছে শুনলে মনে হয় আমার নিজেরই হয়েছে,একা থাকলে মনে হয় ঘরের কোণায় চোর-ডাকাত লুকিয়ে আছে ইত্যাদি।
২৩।কি কি অদ্ভূত লক্ষণ আছে ?
আলপিন নিয়ে ব্যস্ত অথবা ভয়ে থাকি,গতকালের ঘটনাকে মনে হয় অনেক দিন আগের ঘটনা নিজেকে গর্ভবতী, শিশুদের পছন্দ হয় না ,আমার ভেতরে দুইটি ইচ্ছা কাজ করে,একটি আদেশ করে অন্যটি নিষেধ করে , কে যেন আমাকে নির্দেশ দিচ্ছে এবং আমি তার কথা মতো চলতে বাধ্য হচ্ছি,মনে হয় আমার সাথে অন্য একজন (শিশু) শুয়ে আছে, অট্টহাসি-চীৎকার-হৈহুল্লোর করতে ইচ্ছে হয়, বুকে-পেটে জীবন্ত কিছু একটা নড়াচড়া করতেছে,মনে হয় পেটের ভেতরে বুদবুদ উঠতেছে ,শরীরটা মনে হয় টুকরা টুকরা হয়ে ঘরের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, মুখের ওপর মাকড়সার জালের মতো লাগে,মল মূত্র গোবর খাওয়ার স্বভাব,আমার চারদিকে সাপ দেখি,চামড়ার নীচে মনে হয় বালু আছে/পোকা হাঁটিতেছে,চেনা জায়গা হঠাৎ অচেনা লাগে,একবাক্য বারবার বলি,নিজেকে কোন ফেরেশতা বা জ্বিনের শির্ষ মনে হয়,সারাক্ষণ বকবক করি ইত্যাদি।
রোগীর অভিভাবকের মন্তব্য ঃ
২৪)ডাক্তারের দর্শন
২৫)ডাক্তারের অভিজ্ঞান
২৬)প্রেসক্রিপশন
***********************************************************
ডাঃ ইয়াকুব আলী সরকার
ডি.এইচ.এম.এস,ঢাকা।
গভঃ রেজিঃ নং২৩৮৭৬
মোবাইল নং ০১৭১৬৬৫১৪৮৮
ইভা হোমিও হল।
বাইপাইল,আশুলিয়া,সাভার,ঢাকা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন