রবিবার, ৯ জুলাই, ২০১৭

ড্রসেরার পরিচিতি ও প্রয়োগ লক্ষণ

Drosera(ড্রসেরা)  এর বিশিষ্ট লক্ষণ।


Drosera (ড্রসেরা)ঃ
ড্রসেরা সানডিট গাছ হইতে প্রস্তুত একটি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ।হুপিং কাশির শ্রেষ্ঠ ঔষধ বল্লেও ভুল হবে না।Whooping cough একটি সংক্রামক রোগ।অনবরত একনাগারে আক্ষেপ জনক কাশি।কাশি দিলে হুপ হুপ শব্দ হয়।কাশির ধমক একটার পর আরেকটা হতেই থাকে,শ্বাস নেওয়ার সময় পায়না।যতক্ষণ চটচটে শ্লেষ্মাময় সামান্য কফ বাহির করতে না পারে ততক্ষণ কাশি হতেই থাকে।এই লক্ষণের সাথে কক্কাস ক্যাকটাই এর সদৃশ।কাশির সাথে নাক দিয়ে রক্ত পড়ে এখানে ইন্ডিগোর সাদৃশ।রোগী কামানের তোপের মত মিনিটে মিনিটে কাশি রাতে হুপহুপ কাশি।কাশি যেন ফুসফুসের অনেক ভিতর হতে কাশি,গলাভাঙ্গা থাকে ও উচ্চ শব্দে কাশি।এখানে ভার্বাষ্কাম সদৃশ।এ কাশি মাঝ রাতের পর হাম রোগের পর দেখা দেয়।কাশি শরীরে ঝাকুনি দিয়ে ওয়াক উঠে ও বমি করে।বমির সাথে মণে হয় নাড়ীভুড়ী বের হয়ে যাচ্ছে।বমির সাথে কাশি ব্রাইয়োনিয়া ও কেলি কার্ব এর সদৃশ।রাতে বালিশে মাথা ছোয়ানোর সাথে সাথে কাশি হয়।

এই লক্ষণের সাথে বেলেডোনা,হায়োসিয়ামাস,রিউমেক্স এর সদৃশ।

যে রোগীর কাশি গরমে,পানি বা অন্য কিছু পান করার সময়,গান করার সময়, হাসিতে, কাঁদিতে, বিছানায় শয়নে ও মধ্যরাতে কাশির বৃদ্ধি।
কাশির সাথে চটচটে শ্লেষ্মাময় কফ সাথে রক্তবের হলে কুপ্রম মেট এর সদৃশ।রোগী মনে করে তার গলায় পাখির পালক গোজা আছে।এই কারনে কাশির উদ্রেক হয়।এপিডেমিক সময়ে এরুপ কাশিতে ড্রসেরা উপযোগী।
ধর্ম প্রচারক,পুরোহিত,এদের গলার মধ্যে যেন চেচে গেছে,শুকিয়ে গেছে,কর্কশ,গলা ভেঙ্গে গেছে,স্বর যন্ত্রের অনেক ভিতর থেকে আওয়াজ বাহির হয়।,স্বর বিকৃত,যেন গলা ফেটে গিয়াছে,অনেক কষ্টে কথা বলতে হয়।এই লক্ষণ অরাম ট্রি সদৃশ।স্বর যন্ত্রে সঙ্কোচন বোধ ও যেন পোকা হেঁটে বেড়াচ্ছে।
গলা চুলকায়,গলা বসে যায় ও হলদে বা সবুজ শ্লেষ্মা বাহির হয়।হুপিং কাশির পরে ক্ষয় রোগ হলে ড্রসেরা উপযোগী।সর্দির পরে বায়ু নালীতে ক্ষয় রোগ হলে কক্কাস ক্যাকটাই উপযোগী।ড্রসেরার সাথে নাক্সভম সম্বন্ধ অনুপুরক সালফারের ও সাম্বুকাসের পরে ড্রসেরা এবং ড্রসেরার পর ক্যালকেরিয়া,পালসেটিলা ও সালফার ফলপ্রদ।সাধারন কাশির পরে প্রয়োজনে সালফার ও ভেরেট্রাম এবং যক্ষা কাশিতে কোনিয়াম ফলপ্রদ।
ড্রসেরার পরে ক্যালকেরিয়া,সিনা,কোনিয়াম,পালসেটিলা,সালফার,ভেরেট্রাম।
হ্যানিম্যানের মতে প্রকৃত হুপিং কাশির চিকিৎসায় একমাত্রা ৩০ শক্তির ড্রসেরাই যথেষ্ট।দ্বিতীয় মাত্রার প্রয়োজন নেই।প্রথম মাত্রা প্রয়োগের ৭/৮ দিনের মধ্যেই রোগী সুস্হ্য হবে।ঘনঘন প্রয়োগে রোগের জটিলতা বৃদ্ধি পাবে।
কিন্তু আধুনিক অনেক চিকিৎসকই মনে করেন ৩০ শক্তির চেয়ে ১ম শক্তির ঔষধ প্রয়োগে দ্রুত কাজ করে।ক্রিয়ানাশকঃক্যাম্ফর।

ডাঃ ইয়াকুব আলী সরকার।
ইভা হোমিও হল।
বাইপাইল,সাভার,ঢাকা।
মোবাইল নং ০১৭২৬৬৫১৪৮৮।
গঃরেজি নং২৩৮৭৬।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন