Successful techniques for cancer homeopathic treatment |
ক্যান্সার বা কর্কটরোগ কি ও এর লক্ষণ সমুহঃ
অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজন সংক্রান্ত রোগসমূহের সমষ্টি। এখনও পর্যন্ত এই রোগে মৃত্যুর হার অনেক বেশি।এর কারণ প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার রোগ সহজে ধরা পড়ে না, ফলে শেষ পর্যায়ে গিয়ে ভালো কোন চিকিৎসা দেয়াও সম্ভব হয় না। বাস্তবিক অর্থে এখনও পর্যন্ত ক্যান্সারের চিকিৎসায় পুরোপুরি কার্যকর কোনও ওষুধ আবিষ্কৃত হয় নি। ক্যান্সার সারানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পরলে এই রোগ সারানোর সম্ভাবনা অনেকাংশ বেড়ে যায়। ২০০ প্রকারেরও বেশি ক্যান্সার রয়েছে। প্রত্যেক ক্যান্সারই আলাদা আলাদা এবং এদের চিকিৎসা পদ্ধতিও আলাদা। বর্তমানে ক্যান্সার নিয়ে প্রচুর গবেষণা হচ্ছে এবং এ সম্পর্কে নতুন নতুন অনেক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
কারণঃ ঠিক কি কারণে ক্যান্সার হয় সেটা এখনও নিশ্চিত নয়।তবে সাধারণ কিছু কারণ খুঁজে পাওয়া গেছে।সাধারণত বয়স যত বাড়তে থাকে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও তত বাড়তে থাকে, কারণ এ সময়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। এক হিসেবে দেখা যায় যত মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় তাদের শতকরা ৭০ ভাগেরই বয়স ৬০ বছরের ওপর।খাবার এবং জীবণ যাপনের ধারার সাথে ক্যান্সারের গভীর সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছে গবেষকরা। যেমন,ধুমপান বা মদ্যপানের সাথে ফুসফুস মুখ ও কন্ঠনালী এবং যকৃত বা লিভারের
ক্যান্সারের যোগাযোগ রয়েছে।তেমনই ভাবে পানসুপারি,জর্দা,মাংশ,অতিরিক্তলবন চিনি,ইত্যাদি খাবারের সাথেও ক্যান্সারের যোগসূত্র রয়েছে।যারা সাধারণত শারীরিক পরিশ্রম কম করে তাদের মধ্যেও ক্যান্সারের প্রবণতাটা বেশি।ক্যান্সারের সাথে জিনগত সম্পর্ক রয়েছে বলেও প্রমাণ পাওয়া গেছে।এই কারণে পরিবারের কারো যদি ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা থাকে তাহলে অন্যদেরও ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকখানি বেড়ে যায়। রাসায়নিক পদার্থের সাথে ক্যান্সারের অনেক বড় একটা সম্পর্ক রয়েছে। যেমন, মেসোথেলিওমিয়া-তে (এক ধরনের দূর্লভ ক্যান্সার, এতে ফুসফুসের চারপাশ এবং পেটের দিকের কোষগুলো আক্রান্ত হয়) আক্রান্তদের ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই এসবেস্টস ধাতুর সংস্পর্শে আসার কারণে এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন।সাধারণত জাহাজ তৈরির শিল্পের সাথে যারা জড়িত তাদের এই ধাতুর সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনাটা বেশি থাকে। এই কারণেই অনেক দেশে এই ধাতুর ব্যবহার নিষিদ্ধ।একইভাবে রঙের কারখানা, রাবার বা গ্যাসের কাজে যারা নিয়োজিত তারা এক ধরনের বিশেষ রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আসার কারণে মুত্রথলিব ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। পরবর্তীতে অনেক দেশে এসব রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহারও নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। পরিবেশগত কারণের অন্যতম একটা হচ্ছে সূর্য।রোদে বেশিক্ষণ থাকার কারণে ত্বকের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।তেজস্ক্রিয়তার কারণেও বিভিন্ন ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
লক্ষণসমুহঃএকেক ক্যান্সারের জন্য একেক ধরনের লক্ষণ বা উপসর্গ থাকে।তবে সাধারণ কিছু লক্ষণ হচ্ছে:
ক্যানসারের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সঙ্কেত:
অ্যান্টি-ক্যানসার ওষুধসমুহ(anti-cancerous remedies) ঃ
* ক -গ্রুপের-আর্জেন্টাম নাইট,আর্সেনিক এল্বা,আর্স আয়োড,অ্যাসাফোটিডা,অরাম মেট,অরাম মিউর নেট,বিসমাথ,ব্রোমিয়াম,ক্যাল্কেরিয়া আর্স,কার্বলিক এসিড,কার্বন সালফ,কার্ব ভেজ,কার্ব এনি,চেলিডোনিয়াম,হোয়াংনান,হাইড্রাসটিস,আয়োডিয়াম,ক্রিয়োজোট,ল্যাকেসিস,ল্যাপিস,লাইকোপোডিয়াম,ম্যাগমিউর,ফসফরাস,ফািইটোলক্কা,রেডিয়াম,স্কিরিনাম,সেম্পারভিয়াম,সিকেলি,সাইলেসিয়া,সিফিলিনাম,ট্যারেন্টুলা,থুজা,ভিস্কাম এল্বা,এক্স-রে ইত্যাদি।
*খ -গ্রুপের -অ্যাকোনাইটরেডিক্স,অ্যালুমেনা,অ্যাপিস,অ্যামব্রাগ্রেসিয়া,অ্যানথ্রাসিনাম,অ্যান্টিম ক্লোরাইড,আর্জেন্টাম মেট,অ্যাসটারিয়াস,অরাম আর্স,অরাম মিউর,ক্যাল্কেরিয়া সালফার, চায়না, সিস্টাস,ক্লেমেটিস,ক্রোটেলাস,ফুলিগোলিগ,গেলিয়াম,জেরানিয়াম,গ্রাফাইটিস,হ্যামামেলিস,ইগ্নেশিয়া,আইরিস ভার্স,কেলি আর্স,কেলি বাইক্রম,কেলি কার্ব,কেলি সাইন,কেল আয়োড,কেলি ফস,কেলি সালফ,মর্ফিয়া, মিউরেক্স,মার্ক আয়োডফ্লে,নেট্রামকার্ব,ক্রোকোডাইলনে ট্রামমিউর,প্লাম্বাম, আয়োড,সোরিনাম,রেডিয়াম, রবিনিয়া,রুটা,স্ক্রুফুলেরিয়া,সিপিয়া,স্টাফিসেগ্রিয়া,সালফার,জিঙ্কাম ইত্যাদি।
*অন্ডকোষের থলিতে (উপত্বকজাত)ক্যানসারঃকার্বো এনি,ফসফরিক এসিড ইত্যাদি।
*অন্ত্রে ক্যানসারঃলোবেলিয়া ইরিনাস ইত্যাদি।
*অন্ত্রের নিম্নে ক্যানসার –লাইকোপোডিয়াম,রুটা,টেরেক্সাকাম,নাইট্রিকঅ্যাসিড,ফসফরাস,
সাইলিসিয়া,সালফার থুজা ইত্যাদি।
*পুরুষাঙ্গে ক্যানসার –আর্সেনিক,বেলেডোনা,কার্বনিয়ামসালফ,ব্রোমিয়াম,ফসফরাস,সাইলেসিয়া থুজা ইত্যাদি।
*ফুসফুসে ক্যানসার –আর্সেনিক এল্বা,আর্স আয়োড,ব্রোমিয়াম,কার্বো ভেজ,ক্রোটন,কেলি আয়োড,সিকেলি,থেরিডিয়ন ইত্যাদি।
*মুখে ক্যানসার –ক্রিয়োজোট,মার্ক কর,নাইট্রিক অ্যাসিড ইত্যাদি।
*স্তনে ক্যানসার –অ্যালুমিনা,এপিস,আর্জ.নাইট,আর্নিকা,অরাম,আর্স,নেট্রামকোকোডাইল,ওলিয়াম অ্যানি,মার্কুরিয়াস,কোনিয়াম,হিপার,গ্রফাইটিস,ম্যাগফস,কেলিফস,সাইলেসিয়া,টেরেন্টুলা ইত্যাদি।
* ক্যানসারের রক্তস্রাব,ব্যাথা ও জ্বালা নিবারনে-আর্সেনিক,সিন্নামোনাস,জেরেনিয়াম,হোয়াংনান ইত্যাদি।
* আঘাতের ফলে আহত স্হানে ক্যানসার-বেলিস পে,কোনিয়াম।
* উন্মুক্ত ক্যানসার-এপিস,কার্বলিক অ্যাসিড,ইচিনেশিয়া।
* উপত্বকজাত যেকোনও অর্বুদ-আর্জেন্টাম নাইট,আর্সেনিক এল্বা,আর্স আয়োড, বেলেডোনা,বিউফো,ক্লামেটিস,কোনিয়াম,হাইড্রাসটিস,কেলিসালফ,ল্যাকেসিস,লাইকোপোডিয়াম,ফসফরাস,ফাইটোলক্কা,র্যানান স্যাক,সিপিয়া,সাইলেসিয়া খুজা ইত্যাদি।
*কঠিন যেকোনও অর্বুদ-(একটি আসল প্রকৃতির,শক্ত গ্রন্হিময় অর্বুদ বা ক্যানসারে পরিণত হয়)-অ্যালুমেনা,অ্যানার্কাডিয়াম,আর্জেন্টাম মেট,আর্নিকা,কার্ব এনি,কার্বভেজ, কোনিয়াম,গ্রাফাইটিস,হাইড্রসটিস,ল্যাপিস,ফসফরাস,ফাইটোলক্কা,সিপিয়া,সাইলিসিয়া,সালফার ইত্যাদি।
*কালোবর্ণের অর্বুদ-আর্জেন্টাম নাইট,কার্ডুয়াস,ল্যাকেসিস,ফসফরিক এসিড ইত্যাদি।
*কিডনিরোগে ঃ(পরোক্ষভাবে স্হানিক ধংস সৃষ্টি করে বা ধীরে ধীরে যক্ষারোগে আক্রমণ হয়ে চামরার বিনাশ সাধনকারী অবস্হা)-আর্সেনিক এল্বা,আর্স আয়োড,ব্যারাইটাকার্ব, কার্বলিক এসিড,কার্বোনিয়াম সালফ,গ্রাফাইটিস,হাইড্রাসটিস,কেলি বাইক্রম,ক্রিয়োজোট, লাইকোপোডিয়াম,নেট্রাম মিউর,রাস টক্স,সা্ইলেসিয়া থুজা ইত্যাদি।
*কিডনি গোলাকার ভাবেঃ ঃ-সিপিয়া।
*মস্তিষ্কে অর্বুদ-অ্যাসেটিক এসিড,আর্সেনিক এল্বা,আর্স আয়োড,ক্যাল্কেরিয়া কার্ব,কার্বলিক এসিড,কার্ব এনি,কস্টিকাম,কেলি আয়োড,ফসফরাস,সাইলেসিয়া,সালফার,থুজা ইত্যাদি।
*সারকামা(এক মাংসল উপবৃদ্বি বা সংযোগ কলার ক্যানসার)-আর্সেনিক এল্বা, ব্যারাইটা কার্ব,কার্ব এনি,ল্যাকেসিস,ফসফরাস,সাইলেসিয়া,থুজা ইত্যাদি।
*সারকোমা,হাড়ের ক্যানসার-ক্যালকেরিয়া ফ্লোর,হেক্লা লাভা,সিফিলিনাম ইত্যাদি।।
*নাসিকার সারকোমা ঃ আর্সেনিক এলবম,আর্স আয়োড ইত্যাদি।
*আন্ত্রিক প্রদেশে ক্যানসার ঃঅ্যাপিস,আর্সেনিক,বেলেডোনা,কার্বোভেজ, গ্রফাইটিস, হিপার,হাইড্রাসটিস,ল্যাকেসিস ইত্যাদি।
*চোখের কনীকায় ক্যানসার –হাইড্রাস্টিস,ল্যাকেসিস,ফাইটোলক্কা,থুজা ইত্যাদি।
*জরায়ু ক্যানসার-অ্যালুমিনা,অ্যানাকার্ডিয়াম,অ্যাপিস,আর্জেন্টামমেট,আর্সেনিক এল্বা,অরাম মেট,ব্রোমিয়াম,ক্যান্হারিস,ল্যাকেসিস,কেলিবাইক্রম,লাইকোপোডিয়াম,নেট্রাম মিউর, সাইলিসিয়া ইত্যাদি।
*গলায় ক্যানসার –কার্বো এনি,ল্যাকেসিস,লিডাম,ট্যারেন্টুলা ইত্যাদি।
*ঠোটে ধুমপায়ীদের ক্যানসার –কোনিয়াম ।
*ক্যানসারের যন্রনা কমাতে - অ্যাকোনাইট রেডিক্স,এসিড ফস,এপিস,আর্সেনিক এলবম,ব্রাইয়োনিয়া,সাইট্রিকএসিড,কোনিয়াম, হিপার,গ্রফাইটিস,ম্যাগফস,কেলিফস,সাইলেসিয়া,টেরেন্টুলা ইত্যাদি।
* ক্যানসারের রক্তস্রাব,ব্যাথা ও জ্বালা নিবারনে ঃআর্সেনিক, সিন্নামোনাস,জেরেনিয়াম,হোয়াংনান ইত্যাদি।
* আঘাতের ফলে আহত স্হানে ক্যানসার-বেলিস পে,কোনিয়াম।
* উন্মুক্ত ক্যানসার-এপিস,কার্বলিক অ্যাসিড,ইচিনেশিয়া।
* উপত্বকজাত যেকোনও অর্বুদঃ আর্জেন্টাম নাইট,আর্সেনিক এল্বা, আর্স আয়োড, বেলেডোনা,বিউফো,ক্লিমেটিস, কোনিয়াম,হাইড্রাসটিস, কেলিসালফ,ল্যাকেসিস,লাইকোপোডিয়াম,ফসফরাস,ফাইটোলক্কা,র্যানান স্যাক,সিপিয়া,সাইলেসিয়া খুজা ইত্যাদি।
*কঠিন যেকোনও অর্বুদ-(একটি আসল প্রকৃতির,শক্ত গ্রন্হিময় অর্বুদ বা ক্যানসারে পরিণত হয়)-অ্যালুমেনা,অ্যানার্কাডিয়াম,আর্জেন্টাম মেট,আর্নিকা,কার্ব এনি,কার্ব ভেজ,কোনিয়াম, গ্রাফাইটিস,হাইড্রসটিস, ল্যাপিস,ফসফরাস,ফাইটোলক্কা,সিপিয়া,সাইলিসিয়া,সালফার ইত্যাদি।
*কালোবর্ণের অর্বুদ-আর্জেন্টাম নাইট,কার্ডুয়াস,ল্যাকেসিস,ফসফরিক এসিড ইত্যাদি।
বোরিক রেপার্টরির সাহায্যে ক্যান্সারের একক ঔষধ নির্বাচন কৌশলঃ
উপসংহার ঃক্যান্সারের শারীরিক চিকিৎসার পাশাপাশি রোগীদের মানসিক চিকিৎসার ব্যাপারে জোর দেয়া প্রয়োজন।ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর রোগীরা বেশ মানসিক কষ্টের মধ্যে দিয়ে যান,অনেকে মানসিক ভাবে ভেঙ্গেও পরেন।এই কারণে অনেক সময়ে তাদের অবস্থা বেশি গুরুতর না হলেও অনেকে দ্রুত মারা যান।ফলে তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের সেবা দেয়ার ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেয়া চিকিৎসকের কাজ।উন্নত দেশগুলোতে এ ধরনের সেবা দেয়ার জন্য বিভিন্ন সংগঠনও আছে।এর মধ্যে একটি হচ্ছে ক্যান্সার আক্রান্তদের একটি গ্রুপ গঠন করেছেন।যেখানে তারা নিজেদের অভিজ্ঞতা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করতে পারেন।এর পাশাপাশি যোগ,মেডিটেশন ইত্যাদির মাধ্যমেও রোগীদের মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার শিক্ষা দেয়া হয়।এর পাশাপাশি মানসিক স্বস্তির জন্য কেউ যদি ধর্মীয় বা সামাজিক কোন কাজে নিয়োজিত হতে চান সে ব্যাপারেও তাদেরকে উৎসাহ দেয়া হয়।
খাদ্য অব্যাস ঃন্যাশনাল ক্যান্সার সেন্টার সিঙ্গাপুর (N.C.C.S) ও Sing Health দলের সদস্য বিশেষজ্ঞরা, ক্যান্সার হবার আগে, সময়ে ও পরে কি খাবার খাওয়া উচিত তার কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রয়োজনীয় খাদ্য নিম্নরূপঃশাকসবজিঃভিটামিন এবং ফাইবারের জন্য টমেটো,গাজর,ডাল, কুমড়া এবং শালগম. টমেটো,পার্সলে পাতা (প্রোস্টেট ক্যান্সার রোগীদের জন্য বিশেষভাবে ভালো)ব্রকলি, ফুলকপি ও বাঁধাকপি মত ক্রুসীফেরাস সবজি উদ্ভিদ।রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে জন্য করলা,ক্যালসিয়াম ও লৌহ জন্য সবুজ শাক সবজি,ফল,ভিটামিন সি এর জন্য কমলালেবু ইত্যাদি।ভিটামিন এবং ফাইবারের জন্য-কলা, কিউই,পীচ,আম,নাশপাতি এবং স্ট্রবেরি।শক্তি বৃদ্ধির জন্য-পেয়ারা, ডুমুর,আলুবোখারা এবং কিশমিশ,প্রোটিন, চর্বিহীন মাংস,মাছ,হাঁস-মুরগি,ডিম,ডেইরিপণ্য,বাদাম,শুকনো মটরশুটি এবং ছোলা,মাছ এবং সয়া সস খাবার(প্রোস্টেট ক্যান্সার রোগীদের জন্য বিশেষভাবে ভালো) শর্করা রাইস, নুডলস,সমগ্র শস্য রুটি এবং পাস্তা ভুট্টা,আলু, মটরশুটি এবং দুগ্ধজাত খাবার,মধু-ব্যাকটেরিয়া বিরোধী এবং ফাংগাস বিরোধী বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ যা সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ক্যান্সার রোগীর যেসব খাবার ত্যাগ করতে হবেঃ ডুবা তেলে ভাজা,গ্রীল বা ভাজা মুরগী,লবণ,মিষ্টি বা তৈলাক্ত খাবার,লাল মাংস,আচার,জ্যাম, জেলি, অ্যালকোহল,ধূমপাম,তামাকজাত দ্রব্য ইত্যাদি।
আমার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিষয়ক সকল লেখা একসাথে পড়ুন।এপসটি ডাউনলোড করুন,আপডেট নিন।
আমার মোবাইল এপস লিঙ্ক ঃ
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.aslamconsole.android.evahomeohall&fbclid=IwAR3mHp4BauqONW3oiO3eVCVTaCqrsPvcY5Z4qq3826ps_Avf6-wN-SixmEg
ডাঃ ইয়াকুব আলী সরকার।
অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজন সংক্রান্ত রোগসমূহের সমষ্টি। এখনও পর্যন্ত এই রোগে মৃত্যুর হার অনেক বেশি।এর কারণ প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার রোগ সহজে ধরা পড়ে না, ফলে শেষ পর্যায়ে গিয়ে ভালো কোন চিকিৎসা দেয়াও সম্ভব হয় না। বাস্তবিক অর্থে এখনও পর্যন্ত ক্যান্সারের চিকিৎসায় পুরোপুরি কার্যকর কোনও ওষুধ আবিষ্কৃত হয় নি। ক্যান্সার সারানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পরলে এই রোগ সারানোর সম্ভাবনা অনেকাংশ বেড়ে যায়। ২০০ প্রকারেরও বেশি ক্যান্সার রয়েছে। প্রত্যেক ক্যান্সারই আলাদা আলাদা এবং এদের চিকিৎসা পদ্ধতিও আলাদা। বর্তমানে ক্যান্সার নিয়ে প্রচুর গবেষণা হচ্ছে এবং এ সম্পর্কে নতুন নতুন অনেক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
কারণঃ ঠিক কি কারণে ক্যান্সার হয় সেটা এখনও নিশ্চিত নয়।তবে সাধারণ কিছু কারণ খুঁজে পাওয়া গেছে।সাধারণত বয়স যত বাড়তে থাকে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও তত বাড়তে থাকে, কারণ এ সময়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। এক হিসেবে দেখা যায় যত মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় তাদের শতকরা ৭০ ভাগেরই বয়স ৬০ বছরের ওপর।খাবার এবং জীবণ যাপনের ধারার সাথে ক্যান্সারের গভীর সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছে গবেষকরা। যেমন,ধুমপান বা মদ্যপানের সাথে ফুসফুস মুখ ও কন্ঠনালী এবং যকৃত বা লিভারের
ক্যান্সারের যোগাযোগ রয়েছে।তেমনই ভাবে পানসুপারি,জর্দা,মাংশ,অতিরিক্তলবন চিনি,ইত্যাদি খাবারের সাথেও ক্যান্সারের যোগসূত্র রয়েছে।যারা সাধারণত শারীরিক পরিশ্রম কম করে তাদের মধ্যেও ক্যান্সারের প্রবণতাটা বেশি।ক্যান্সারের সাথে জিনগত সম্পর্ক রয়েছে বলেও প্রমাণ পাওয়া গেছে।এই কারণে পরিবারের কারো যদি ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা থাকে তাহলে অন্যদেরও ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকখানি বেড়ে যায়। রাসায়নিক পদার্থের সাথে ক্যান্সারের অনেক বড় একটা সম্পর্ক রয়েছে। যেমন, মেসোথেলিওমিয়া-তে (এক ধরনের দূর্লভ ক্যান্সার, এতে ফুসফুসের চারপাশ এবং পেটের দিকের কোষগুলো আক্রান্ত হয়) আক্রান্তদের ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই এসবেস্টস ধাতুর সংস্পর্শে আসার কারণে এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন।সাধারণত জাহাজ তৈরির শিল্পের সাথে যারা জড়িত তাদের এই ধাতুর সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনাটা বেশি থাকে। এই কারণেই অনেক দেশে এই ধাতুর ব্যবহার নিষিদ্ধ।একইভাবে রঙের কারখানা, রাবার বা গ্যাসের কাজে যারা নিয়োজিত তারা এক ধরনের বিশেষ রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আসার কারণে মুত্রথলিব ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। পরবর্তীতে অনেক দেশে এসব রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহারও নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। পরিবেশগত কারণের অন্যতম একটা হচ্ছে সূর্য।রোদে বেশিক্ষণ থাকার কারণে ত্বকের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।তেজস্ক্রিয়তার কারণেও বিভিন্ন ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
লক্ষণসমুহঃএকেক ক্যান্সারের জন্য একেক ধরনের লক্ষণ বা উপসর্গ থাকে।তবে সাধারণ কিছু লক্ষণ হচ্ছে:
- *খুব ক্লান্ত বোধ করা।
- *ক্ষুধা কমে যাওয়া।
- *শরীরের যে কোনজায়গায় চাকা বা দলা দেখা দেয়া।
- *দীর্ঘস্থায়ী কাশি বা গলা ভাঙ্গা।
- *মলত্যাগে পরিবর্তন আসা ডাইরিয়া,কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা মলের সাথে রক্ত যাওয়া।
- *জ্বর রাতে ঠান্ডা লাগা বা ঘেমে যাওয়া।
- *অস্বাভাবিকভাবে ওজন কমা।
- *অস্বাভাবিক রক্তপাত হওয়া।
- *ত্বকের পরিবর্তন দেখা যাওয়া।
ক্যানসারের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সঙ্কেত:
অ্যান্টি-ক্যানসার ওষুধসমুহ(anti-cancerous remedies) ঃ
* ক -গ্রুপের-আর্জেন্টাম নাইট,আর্সেনিক এল্বা,আর্স আয়োড,অ্যাসাফোটিডা,অরাম মেট,অরাম মিউর নেট,বিসমাথ,ব্রোমিয়াম,ক্যাল্কেরিয়া আর্স,কার্বলিক এসিড,কার্বন সালফ,কার্ব ভেজ,কার্ব এনি,চেলিডোনিয়াম,হোয়াংনান,হাইড্রাসটিস,আয়োডিয়াম,ক্রিয়োজোট,ল্যাকেসিস,ল্যাপিস,লাইকোপোডিয়াম,ম্যাগমিউর,ফসফরাস,ফািইটোলক্কা,রেডিয়াম,স্কিরিনাম,সেম্পারভিয়াম,সিকেলি,সাইলেসিয়া,সিফিলিনাম,ট্যারেন্টুলা,থুজা,ভিস্কাম এল্বা,এক্স-রে ইত্যাদি।
*খ -গ্রুপের -অ্যাকোনাইটরেডিক্স,অ্যালুমেনা,অ্যাপিস,অ্যামব্রাগ্রেসিয়া,অ্যানথ্রাসিনাম,অ্যান্টিম ক্লোরাইড,আর্জেন্টাম মেট,অ্যাসটারিয়াস,অরাম আর্স,অরাম মিউর,ক্যাল্কেরিয়া সালফার, চায়না, সিস্টাস,ক্লেমেটিস,ক্রোটেলাস,ফুলিগোলিগ,গেলিয়াম,জেরানিয়াম,গ্রাফাইটিস,হ্যামামেলিস,ইগ্নেশিয়া,আইরিস ভার্স,কেলি আর্স,কেলি বাইক্রম,কেলি কার্ব,কেলি সাইন,কেল আয়োড,কেলি ফস,কেলি সালফ,মর্ফিয়া, মিউরেক্স,মার্ক আয়োডফ্লে,নেট্রামকার্ব,ক্রোকোডাইলনে ট্রামমিউর,প্লাম্বাম, আয়োড,সোরিনাম,রেডিয়াম, রবিনিয়া,রুটা,স্ক্রুফুলেরিয়া,সিপিয়া,স্টাফিসেগ্রিয়া,সালফার,জিঙ্কাম ইত্যাদি।
ক্যানসারজাত অসুস্হতায় সদৃশ ঔষধ নির্বাচন গাইড ঃ
*চামড়ার ক্ষত বা ঘা -অ্যামব্রাগ্রেসিয়া,অ্যানথ্রাসিনাম,আর্সেনিক এল্বা,আর্স আয়োড,আর্স সালফ ফ্লেবম,অ্যাস্টেরিয়াস,অরাম সালফ,বিউফো,ক্যাল্কেরিয়া সালফ,কার্বলিক এসিড,কার্ব এনি,কার্বোভেজ,কার্বন
সালফ,কোনিয়াম,ক্রোটন,ফেরাম,গ্রালিয়াম,গ্রাফাইটিস,হিপার,ল্যাকেসিস,লাইকোপোডিয়াম,লাইসিন,মার্কুরিয়াস,মিলিফোলিয়াম,নাইট্রিক এসিড,পেট্রোলিয়াম,ফসফরিক এসিড,ফসফরাস,ফাইটোলক্কা,রাসট্ক্স,সিপিয়া,সাইলিসিয়া,স্টাফিসেগ্রিয়া,সালফার,থুজা ইত্যাদি।
*অন্ডকোষের ক্যান্সার –আর্নিকা,কার্বো এনি,ক্লিমেটিস,ফুলিগো-লিগ্রি,ল্যাকেসিস,সাইলিসিয়া থুজা ইত্যাদি।
*চামড়ার ক্ষত বা ঘা -অ্যামব্রাগ্রেসিয়া,অ্যানথ্রাসিনাম,আর্সেনিক এল্বা,আর্স আয়োড,আর্স সালফ ফ্লেবম,অ্যাস্টেরিয়াস,অরাম সালফ,বিউফো,ক্যাল্কেরিয়া সালফ,কার্বলিক এসিড,কার্ব এনি,কার্বোভেজ,কার্বন
সালফ,কোনিয়াম,ক্রোটন,ফেরাম,গ্রালিয়াম,গ্রাফাইটিস,হিপার,ল্যাকেসিস,লাইকোপোডিয়াম,লাইসিন,মার্কুরিয়াস,মিলিফোলিয়াম,নাইট্রিক এসিড,পেট্রোলিয়াম,ফসফরিক এসিড,ফসফরাস,ফাইটোলক্কা,রাসট্ক্স,সিপিয়া,সাইলিসিয়া,স্টাফিসেগ্রিয়া,সালফার,থুজা ইত্যাদি।
*অন্ডকোষের ক্যান্সার –আর্নিকা,কার্বো এনি,ক্লিমেটিস,ফুলিগো-লিগ্রি,ল্যাকেসিস,সাইলিসিয়া থুজা ইত্যাদি।
*অন্ডকোষের থলিতে (উপত্বকজাত)ক্যানসারঃকার্বো এনি,ফসফরিক এসিড ইত্যাদি।
*অন্ত্রে ক্যানসারঃলোবেলিয়া ইরিনাস ইত্যাদি।
*অন্ত্রের নিম্নে ক্যানসার –লাইকোপোডিয়াম,রুটা,টেরেক্সাকাম,নাইট্রিকঅ্যাসিড,ফসফরাস,
সাইলিসিয়া,সালফার থুজা ইত্যাদি।
*পুরুষাঙ্গে ক্যানসার –আর্সেনিক,বেলেডোনা,কার্বনিয়ামসালফ,ব্রোমিয়াম,ফসফরাস,সাইলেসিয়া থুজা ইত্যাদি।
*ফুসফুসে ক্যানসার –আর্সেনিক এল্বা,আর্স আয়োড,ব্রোমিয়াম,কার্বো ভেজ,ক্রোটন,কেলি আয়োড,সিকেলি,থেরিডিয়ন ইত্যাদি।
*মুখে ক্যানসার –ক্রিয়োজোট,মার্ক কর,নাইট্রিক অ্যাসিড ইত্যাদি।
*স্তনে ক্যানসার –অ্যালুমিনা,এপিস,আর্জ.নাইট,আর্নিকা,অরাম,আর্স,নেট্রামকোকোডাইল,ওলিয়াম অ্যানি,মার্কুরিয়াস,কোনিয়াম,হিপার,গ্রফাইটিস,ম্যাগফস,কেলিফস,সাইলেসিয়া,টেরেন্টুলা ইত্যাদি।
* ক্যানসারের রক্তস্রাব,ব্যাথা ও জ্বালা নিবারনে-আর্সেনিক,সিন্নামোনাস,জেরেনিয়াম,হোয়াংনান ইত্যাদি।
* আঘাতের ফলে আহত স্হানে ক্যানসার-বেলিস পে,কোনিয়াম।
* উন্মুক্ত ক্যানসার-এপিস,কার্বলিক অ্যাসিড,ইচিনেশিয়া।
* উপত্বকজাত যেকোনও অর্বুদ-আর্জেন্টাম নাইট,আর্সেনিক এল্বা,আর্স আয়োড, বেলেডোনা,বিউফো,ক্লামেটিস,কোনিয়াম,হাইড্রাসটিস,কেলিসালফ,ল্যাকেসিস,লাইকোপোডিয়াম,ফসফরাস,ফাইটোলক্কা,র্যানান স্যাক,সিপিয়া,সাইলেসিয়া খুজা ইত্যাদি।
*কঠিন যেকোনও অর্বুদ-(একটি আসল প্রকৃতির,শক্ত গ্রন্হিময় অর্বুদ বা ক্যানসারে পরিণত হয়)-অ্যালুমেনা,অ্যানার্কাডিয়াম,আর্জেন্টাম মেট,আর্নিকা,কার্ব এনি,কার্বভেজ, কোনিয়াম,গ্রাফাইটিস,হাইড্রসটিস,ল্যাপিস,ফসফরাস,ফাইটোলক্কা,সিপিয়া,সাইলিসিয়া,সালফার ইত্যাদি।
*কালোবর্ণের অর্বুদ-আর্জেন্টাম নাইট,কার্ডুয়াস,ল্যাকেসিস,ফসফরিক এসিড ইত্যাদি।
*কিডনিরোগে ঃ(পরোক্ষভাবে স্হানিক ধংস সৃষ্টি করে বা ধীরে ধীরে যক্ষারোগে আক্রমণ হয়ে চামরার বিনাশ সাধনকারী অবস্হা)-আর্সেনিক এল্বা,আর্স আয়োড,ব্যারাইটাকার্ব, কার্বলিক এসিড,কার্বোনিয়াম সালফ,গ্রাফাইটিস,হাইড্রাসটিস,কেলি বাইক্রম,ক্রিয়োজোট, লাইকোপোডিয়াম,নেট্রাম মিউর,রাস টক্স,সা্ইলেসিয়া থুজা ইত্যাদি।
*কিডনি গোলাকার ভাবেঃ ঃ-সিপিয়া।
*মস্তিষ্কে অর্বুদ-অ্যাসেটিক এসিড,আর্সেনিক এল্বা,আর্স আয়োড,ক্যাল্কেরিয়া কার্ব,কার্বলিক এসিড,কার্ব এনি,কস্টিকাম,কেলি আয়োড,ফসফরাস,সাইলেসিয়া,সালফার,থুজা ইত্যাদি।
*সারকামা(এক মাংসল উপবৃদ্বি বা সংযোগ কলার ক্যানসার)-আর্সেনিক এল্বা, ব্যারাইটা কার্ব,কার্ব এনি,ল্যাকেসিস,ফসফরাস,সাইলেসিয়া,থুজা ইত্যাদি।
*সারকোমা,হাড়ের ক্যানসার-ক্যালকেরিয়া ফ্লোর,হেক্লা লাভা,সিফিলিনাম ইত্যাদি।।
*নাসিকার সারকোমা ঃ আর্সেনিক এলবম,আর্স আয়োড ইত্যাদি।
*আন্ত্রিক প্রদেশে ক্যানসার ঃঅ্যাপিস,আর্সেনিক,বেলেডোনা,কার্বোভেজ, গ্রফাইটিস, হিপার,হাইড্রাসটিস,ল্যাকেসিস ইত্যাদি।
*চোখের কনীকায় ক্যানসার –হাইড্রাস্টিস,ল্যাকেসিস,ফাইটোলক্কা,থুজা ইত্যাদি।
*জরায়ু ক্যানসার-অ্যালুমিনা,অ্যানাকার্ডিয়াম,অ্যাপিস,আর্জেন্টামমেট,আর্সেনিক এল্বা,অরাম মেট,ব্রোমিয়াম,ক্যান্হারিস,ল্যাকেসিস,কেলিবাইক্রম,লাইকোপোডিয়াম,নেট্রাম মিউর, সাইলিসিয়া ইত্যাদি।
*গলায় ক্যানসার –কার্বো এনি,ল্যাকেসিস,লিডাম,ট্যারেন্টুলা ইত্যাদি।
*ঠোটে ধুমপায়ীদের ক্যানসার –কোনিয়াম ।
*ক্যানসারের যন্রনা কমাতে - অ্যাকোনাইট রেডিক্স,এসিড ফস,এপিস,আর্সেনিক এলবম,ব্রাইয়োনিয়া,সাইট্রিকএসিড,কোনিয়াম, হিপার,গ্রফাইটিস,ম্যাগফস,কেলিফস,সাইলেসিয়া,টেরেন্টুলা ইত্যাদি।
* ক্যানসারের রক্তস্রাব,ব্যাথা ও জ্বালা নিবারনে ঃআর্সেনিক, সিন্নামোনাস,জেরেনিয়াম,হোয়াংনান ইত্যাদি।
* আঘাতের ফলে আহত স্হানে ক্যানসার-বেলিস পে,কোনিয়াম।
* উন্মুক্ত ক্যানসার-এপিস,কার্বলিক অ্যাসিড,ইচিনেশিয়া।
* উপত্বকজাত যেকোনও অর্বুদঃ আর্জেন্টাম নাইট,আর্সেনিক এল্বা, আর্স আয়োড, বেলেডোনা,বিউফো,ক্লিমেটিস, কোনিয়াম,হাইড্রাসটিস, কেলিসালফ,ল্যাকেসিস,লাইকোপোডিয়াম,ফসফরাস,ফাইটোলক্কা,র্যানান স্যাক,সিপিয়া,সাইলেসিয়া খুজা ইত্যাদি।
*কঠিন যেকোনও অর্বুদ-(একটি আসল প্রকৃতির,শক্ত গ্রন্হিময় অর্বুদ বা ক্যানসারে পরিণত হয়)-অ্যালুমেনা,অ্যানার্কাডিয়াম,আর্জেন্টাম মেট,আর্নিকা,কার্ব এনি,কার্ব ভেজ,কোনিয়াম, গ্রাফাইটিস,হাইড্রসটিস, ল্যাপিস,ফসফরাস,ফাইটোলক্কা,সিপিয়া,সাইলিসিয়া,সালফার ইত্যাদি।
*কালোবর্ণের অর্বুদ-আর্জেন্টাম নাইট,কার্ডুয়াস,ল্যাকেসিস,ফসফরিক এসিড ইত্যাদি।
বোরিক রেপার্টরির সাহায্যে ক্যান্সারের একক ঔষধ নির্বাচন কৌশলঃ
CANCER -- Acet. ac., Ananth., Ant. chlor., Apis, Ars., Ars. br., Ars. iod., Aster., Aur. ars., Aur. m. n., Bapt., Bism., Brom., Calc. c., Calc. iod., Calc. ox., Calend., Carb. ac., Carbo an., Carbon s., Carcinos., Choline, Cic., Cinnam., Cistus., Condur., Con., Cupr. ac., Eosin., Euphorb., Form. ac., Formica, Fullgo, Galium ap., Guaco, Graph., Ham., Hoang n., Hydr., Iod., Kali ars., Kali cy., Kali iod., Kreos., Lach., Lapis alb., Lyc., Maland., Med., Phos., Phyt., Radium, Rumex ac., Sang., Semperv. t., Scirrhin., Sedum rep., Sep., Sil., Symphyt., Sul., Taxus, Thuya.
Antrum [of] -- Aur., Symphyt.
Bone [of] -- Aur. iod., Phos., Symphyt.
Bowel, lower [of] -- Ruta.
Breast [of] (See Female Sexual System.) -- Ars. iod., Bar. iod., Brom., Bufo, Carbo an., Carcinos., Condur., Con., Form. ac., Graph., Hydr., Phyt., Plumb. iod., Nat. cacodyl., Scirrhin.
Cæcum [of] -- Ornithog.
Glandular structures [of] -- Hoang nan.
Omentum [of] -- Lob. erin.
Stomach [of] (See Stomach.) -- Acet. ac., Ars., Bism., Cadm. s., Condur., Form. ac., Hydr., Kreos., Ornithog., Phos., Sec.
Uterus [of] (See Female Sexual System.) -- Aur. m. n., Carbo an., Carcinos., Fuligo, Hydr., Iod., Lapis alb., Nat. cacodyl., Nit. ac., Sec.
To relieve pains -- Alveloz., Apis, Anthrac., Ars., Aster., Bry., Calc. ac., Calc. c., Calc. ox., Carcinos., Ced., Cinnam., Condur., Con., Echin., Euphorb., Hydr., Mag. p., Morph., Op., Ova t., Phos. ac., Sil.
উপসংহার ঃক্যান্সারের শারীরিক চিকিৎসার পাশাপাশি রোগীদের মানসিক চিকিৎসার ব্যাপারে জোর দেয়া প্রয়োজন।ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর রোগীরা বেশ মানসিক কষ্টের মধ্যে দিয়ে যান,অনেকে মানসিক ভাবে ভেঙ্গেও পরেন।এই কারণে অনেক সময়ে তাদের অবস্থা বেশি গুরুতর না হলেও অনেকে দ্রুত মারা যান।ফলে তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের সেবা দেয়ার ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেয়া চিকিৎসকের কাজ।উন্নত দেশগুলোতে এ ধরনের সেবা দেয়ার জন্য বিভিন্ন সংগঠনও আছে।এর মধ্যে একটি হচ্ছে ক্যান্সার আক্রান্তদের একটি গ্রুপ গঠন করেছেন।যেখানে তারা নিজেদের অভিজ্ঞতা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করতে পারেন।এর পাশাপাশি যোগ,মেডিটেশন ইত্যাদির মাধ্যমেও রোগীদের মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার শিক্ষা দেয়া হয়।এর পাশাপাশি মানসিক স্বস্তির জন্য কেউ যদি ধর্মীয় বা সামাজিক কোন কাজে নিয়োজিত হতে চান সে ব্যাপারেও তাদেরকে উৎসাহ দেয়া হয়।
খাদ্য অব্যাস ঃন্যাশনাল ক্যান্সার সেন্টার সিঙ্গাপুর (N.C.C.S) ও Sing Health দলের সদস্য বিশেষজ্ঞরা, ক্যান্সার হবার আগে, সময়ে ও পরে কি খাবার খাওয়া উচিত তার কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রয়োজনীয় খাদ্য নিম্নরূপঃশাকসবজিঃভিটামিন এবং ফাইবারের জন্য টমেটো,গাজর,ডাল, কুমড়া এবং শালগম. টমেটো,পার্সলে পাতা (প্রোস্টেট ক্যান্সার রোগীদের জন্য বিশেষভাবে ভালো)ব্রকলি, ফুলকপি ও বাঁধাকপি মত ক্রুসীফেরাস সবজি উদ্ভিদ।রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে জন্য করলা,ক্যালসিয়াম ও লৌহ জন্য সবুজ শাক সবজি,ফল,ভিটামিন সি এর জন্য কমলালেবু ইত্যাদি।ভিটামিন এবং ফাইবারের জন্য-কলা, কিউই,পীচ,আম,নাশপাতি এবং স্ট্রবেরি।শক্তি বৃদ্ধির জন্য-পেয়ারা, ডুমুর,আলুবোখারা এবং কিশমিশ,প্রোটিন, চর্বিহীন মাংস,মাছ,হাঁস-মুরগি,ডিম,ডেইরিপণ্য,বাদাম,শুকনো মটরশুটি এবং ছোলা,মাছ এবং সয়া সস খাবার(প্রোস্টেট ক্যান্সার রোগীদের জন্য বিশেষভাবে ভালো) শর্করা রাইস, নুডলস,সমগ্র শস্য রুটি এবং পাস্তা ভুট্টা,আলু, মটরশুটি এবং দুগ্ধজাত খাবার,মধু-ব্যাকটেরিয়া বিরোধী এবং ফাংগাস বিরোধী বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ যা সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ক্যান্সার রোগীর যেসব খাবার ত্যাগ করতে হবেঃ ডুবা তেলে ভাজা,গ্রীল বা ভাজা মুরগী,লবণ,মিষ্টি বা তৈলাক্ত খাবার,লাল মাংস,আচার,জ্যাম, জেলি, অ্যালকোহল,ধূমপাম,তামাকজাত দ্রব্য ইত্যাদি।
আমার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিষয়ক সকল লেখা একসাথে পড়ুন।এপসটি ডাউনলোড করুন,আপডেট নিন।
আমার মোবাইল এপস লিঙ্ক ঃ
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.aslamconsole.android.evahomeohall&fbclid=IwAR3mHp4BauqONW3oiO3eVCVTaCqrsPvcY5Z4qq3826ps_Avf6-wN-SixmEg
ডাঃ ইয়াকুব আলী সরকার।
ইভা হোমিও হল
বাইপাইল,আশুলিয়া,সাভার,ঢাকা।
মোবাইল নং ০১৭১৬৬৫১৪৮৮।
গঃ রেজি নং ২৩৮৭৬।
বাইপাইল,আশুলিয়া,সাভার,ঢাকা।
মোবাইল নং ০১৭১৬৬৫১৪৮৮।
গঃ রেজি নং ২৩৮৭৬।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন