Homeopathic treatment for pox |
Pox বা বসন্তরোগ কি ?
Pox or বসন্তরোগ একটি সংক্রামক রোগ। বসন্ত দু’প্রকার।
যথা ১)জলবসন্ত বা চিকেন ফক্স এবং
২)গুটিবসন্ত বা স্মল পক্স। জলবসন্তের আবার দু’টি
প্রকার ভেদ আছে।
- ক)সিম্পল টাইপ জলবসন্ত এবং
- খ)একিউট টাইপ জলবসন্ত।
ক) সিম্পল টাইপ জলবসন্তের লক্ষণ - সিম্পল টাইপ জল বসন্তে জ্বরের উত্তাপ তেমন হয় না, প্রায়ই ৯৮-১০০
ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। সামান্য জ্বর হয়ে সারা শরীরে অল্প পরিমাণ গুটি বের
হয়ে যায়।গুটি বেরিয়ে গেলে জ্বর ছেড়ে যায়। গুটি বের হবার পর শুকোবার আগে আবার
একটু জ্বর আসতে পারে।সিম্পল টাইপ জল বসন্ত তেমন কষ্টকর নয়।
খ) একিউট টাইপ জলবসন্তের লক্ষণ
এটি তুলনামূলক কষ্টদায়ক এবং এতে নানা লক্ষণ
প্রকাশ পায়। যেমন- জ্বর ১০৩/১০৪ ডিগ্রি হয়। রোগী প্রলাপ বকতে পারে বা আচ্ছন্নের
মত পড়ে থাকতে পারে। জ্বর আসার সময় শরীরে কম্প সৃষ্টি হতে পারে,জ্বর সহজে ছাড়তে
চায় না। জ্বরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁকে ঝাঁকে গুটিকা গুলো প্রকাশ
লাভ করে। এগুলো দেখতে অনেকটা মটর দানার মত।অগ্রভাগ চ্যাপ্টা না হয়ে অপেক্ষাকৃত
উঁচু এবং কিছুটা সূঁচালো। ৩-৪ দিন পর গুটিকা গুলোতে পানি জমে এবং ফোস্কার মত
দেখায়। তারপর ধীরে ধীরে পুঁজ হতে শুরু করে।গুটি বের হলে জ্বর কমে যায়। অনেক সময়
শুকোবার আগে আবার জ্বর বৃদ্ধি পায় ও রোগীর কষ্ট হয়।কোন কারণে গুটি গলে গেলে বা
ঘষা লাগলে তাতে ঘা হয় এবং খুব ব্যথা হয়। তাই যাতে ঘষা না লাগে এবং ঘা না হয় সে
দিকে অবশ্য দৃষ্টি রাখা কর্তব্য।জলবসন্তে শরীর চুলকায় এবং মামড়িগুলো তাড়াতাড়ি
উঠে যায়। এই রোগে আক্রান্তদের শরীরের চামড়ায় কোন রকম গভীর ও স্থায়ী ক্ষত চিহ্ন
থাকে না। প্রথমে দাগ সৃষ্টি হলেও আস্তে আস্তে তা সেরে যায়।
গুটি বসন্তের লক্ষণ
গুটি বসন্তের ভাইরাস দেহে প্রবেশ করার পর ১০/১২
দিন পর্যন্ত প্রচ্ছন্নভাবে থাকতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ১০-১৫ দিনের মধ্যেই
রেগের আত্মপ্রকাশ ঘটে।গুটি বসন্তের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ গুলো নিম্নরূপ
প্রথমে খুব কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে।জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে মাথা ধরা, মুখ
লাল হওয়া, অবসাদগ্রস্ততা,কোমর, গা, হাত, পা প্রভৃতিতে ব্যথা হয়। জ্বর সাধারণতঃ
১০৩/ ১০৪ ডিগ্রি হয়। জ্বর বেশি হলে প্রলাপ বা আচ্ছন্ন ভাব দেখা যায়। তিন চার দিন
জ্বরে ভোগার পর গায়ে গুটি বের হতে শুরু হয়। গুটি বেশি হয় মুখে, হাতের কনুই থেকে
নীচের অংশে এবং পায়ের হাঁটু থেকে নীচের অংশে। মুখ, হাত ও পায়ের গুটি আগে বের হয়
তারপর অন্যান্য জায়গায়। ভাল করে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, শরীরের নরম স্থানের
চাইতে শক্ত স্থানে গুটি বেশি হয়।১২ থেকে ১৫ ঘন্টার মধ্যে সারা শরীরে গুটি বেরিয়ে
যায়। গুটিগুলো প্রথমে লাল ফুস্কুড়ির মত দেখায়।মৃদু ভাবে হাত বুলালে এ গুলো শক্ত
দানার মত মনে হয়।গুটি বের হবার ২দিন পর এগুলো ফেঁপে উঠে এবং পানি ভরা ফোস্কার মত
দেখায়। এই সব ফোস্কা কিন্তু নিটোল। এগুলোর অগ্রভাগ বা মাথা একটু চাপা বা টোল
খাওয়ার মত হয়। এই টোল খাওয়া লক্ষণটি হল আসল বসন্তের একটির গুরুত্বপূর্ণ চিহ্ন।
২-৩ দিন পর গুটিগুলো আস্তে আস্তে পাকতে শুরু করে। এর ভেতরের জলীয় অংশ ক্রমে
অস্বচ্ছ ও গাঢ় হয়ে পুঁজে পরিণত হয়। গুটি সব বের হয়ে যাবার পর জ্বর কমে
আসে।রোগী একটু সুস্থ বোধ করে। কোমর ও শরীরের ব্যথা কমে আসে। পুঁজ হলে নুতন করে
আবার জ্বর হয় এবং কষ্টদায়ক সব লক্ষণ আবার দেখা দেয়। গুটির মধ্যকার বিষাক্ত
পদার্থ এসে রক্তে মেশে। তার ফলে নানা উপসর্গ দেখা দিয়ে থাকে। কখনো কখনো
কাশি,গলাব্যথা স্বরভঙ্গ লক্ষণও দেখা যায়।রোগ মারাত্মক না হলে ১২-১৩ দিন পর থেকে
গুটি শুকাতে শুরু করে। ১৬-১৮ দিন থেকে খোসা উঠতে থাকে এবং ২১ দিনের মধ্যে
পরিষ্কাভাবে শুকিয়ে যায়।
বসন্ত একটি মারত্মক সংক্রামক ব্যাধি। যদি কারো
বসন্তরোগ ধরা পড়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। যারা রোগীর সেবা করেন বা দেখাশুনা করেন
তাদের প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে হবে। যদি ঘরে শিশু থাকে তাহলে অধিকতর সতর্ক থাকতে
হবে। কোন মতেই এ রোগ নিয়ে অবহেলা করা যাবে না। রোগ মারাত্মক হলে অনেক সময় রোগীর
মৃত্যু হতে পারে।
বসন্ত রোগের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধ নির্বাচন গাইড
এপিস মেল
- বিসর্পের ন্যায় লালিমা ও স্ফীতিসহ সর্ব শরীরে জ্বালা ও
টাটানি, রোগী শরীরে কাপড় রাখতে পারে না, সর্বদাই ঠান্ডায় থাকিতে চায়।
মুখমন্ডল ও চোখের পাতা স্ফীত হয়, গলায় বেদনা, শ্বাসকষ্ট,
পিপাসাহীনতা,স্বল্পমুত্র, হঠাৎ চীৎকার করা।
- এন্টিম টার্ট
- এই ঔষধটি শরীরে পরিক্ষিত হইবার সময় পরীক্ষকের দেহে বসন্তের ন্যায় উদ্ভেদের বিনাষ হয়েছিল। এই জন্য ইহাকে বসন্তের অমোঘ ঔষধ বলা হয়। বুকে উচ্চ ঘড় ঘড় শব্দ, কাশিলে কিছুই উঠে না, মুখমন্ডল নিলাভ।কপালে শীতল ঘর্ম, তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্হা। বসন্তের প্রতিষেধক রুপেও ইহার খ্যাতি আছে।
- আর্সেনিক এলবাম
- কালো বর্ণ বা রক্তস্রাবী। সর্বাঙ্গে জ্বালা,অত্যাদিক
অবসন্নতা সহ অস্হিরতা, উদ্বেগ, দুর্গন্ধযুক্ত উদরাময় রক্ময় ঘাম,অত্যাদিক
পিপাসা,জ্বল পান করা মাত্র বমি,উপসর্গাদি রাত্রি ১২টার পর বৃদ্ধি পায়।
- ব্যাপ্টিসিয়া
- বসন্ত রোগে টাইফয়েড লক্ষণে উপযোগী।
- বেলেডোনা
- প্রথমাবস্হায় প্রযোজ্য। অত্যাদিক জ্বর,মস্তিস্কের
রক্ত-প্রাধান্য সহ প্রবল শিরঃবেদনা,আলো অসহনীয়তা, মুখমন্ডল ও চক্ষু আরক্ত
নিদ্রালুতা ভাব সহ নিদ্রাহীনতা, শিশু দের প্রথম দিকে বেলেডোনা প্রয়োজন।
- ব্রায়োনিয়া এলবম
- প্রথমাবস্হায় উদ্ভেদ গুলি অতি ধীরে ধীরে প্রকাশ পাইতে
থাকিলে ইহা উপকারী। অত্যাদিক শিরোবেদনা, শুস্ক কাশি, প্রবল পিপাসা, কোষ্ট
বদ্বতা, রোগী চুপচাপ শুইয়া থাকিতে চায়। নড়াচড়ায় বৃদ্ধি হয়। রোগের পরিণত
অবস্হায় নিউমোনিয়া প্রভৃতি উপসর্গে নিজ বিশিষ্ট লক্ষণে ইহা উপযোগী।
- ক্যাম্ফার
- উদ্ভেদ গুলি হঠাৎ বসিয়া বা শুকাইয়া গিয়া নাড়ী ক্ষীণ ও বিলুপ্ত
প্রায় হয় এবং সর্বাঙ্গের শীতলতা সও্বেও রোগী গাত্রাবরণ রাখিতে পারে না।
- কার্বোভেজ
- উদ্ভেদগুলি বসিয়া যাইবার উপক্রমে হিমাঙ্গ অবস্হায় হাতে ও
পা পর্যন্ত বরোফের ন্যায় শীতলতা,অত্যাদিক অবসন্নতা সহ ক্ষুদ্র ও শুন্যগর্ভ
নাড়ী, শ্বাসক্লেশ, স্বরভঙ্গ, হৃৎপিন্ডের পক্ষাঘাত। সর্বাঙ্গে জ্বালা ও বাতাস
পাইবার ইচ্ছা। ইহা রক্তস্রাবী বসন্তেও উপযোগী,অন্ত্র,মাড়ী ও নাসিকা হইতে
রক্তস্রাব হয়।
- ক্যান্হারিস
- রক্তস্রাবী গুটিকাযুক্ত বসন্ত,প্রস্রাবে জ্বালা সহ
রক্তমুত্র।
- হেলিবোরাস
- বসন্ত রোগে মেনিজাইটিসের উপসর্গে এপিস সহতুলনীয়। মাথা
ধরা,হঠাৎ চীৎকার করা,অসাড়ে মলমুত্র ত্যাগ, শরীরাংশবিশেষ আক্ষেপ। রোগীর
সম্পূর্ণ অজ্ঞান অবস্থা, কিন্তু পানি দিলে আগ্রহের সাথে হা করে ও চামচ
কামড়াইয়া ধরে।
- হিপার সাল্ফ
- এটি বসন্ত গুটির পূঁজপূর্ণ অবস্থায় উপযোগী। কাশি শীতল
বাতাসে বৃদ্ধি ও রাত্রে অত্যধিক স্পর্শাতিসহ্যতা।
- হাইড্রাষ্টিস ক্যান
- শরীরের রক্তসল্পতা, ফোলা ও অত্যাধিক চুলকানি সহ গলায়
তিব্র ব্যথা ইত্যাদি লক্ষণে প্রযোজ্য। এটি চামড়ায় দাগ পড়া নিবারণ করে।
- হাইয়োসিয়ামাস
- বসন্ত রোগে সান্নিপাতিক অবস্থায় উপযোগী
- ক্যালি বাইক্রম
- পূঁজ পূর্ণ অবস্থায় সময়ে সময়ে আবশ্বক হয় চোখ লাল ও
আঠাযুক্ত শ্লেষ্মাময়, কর্নীয়ার মদ্ধে ক্ষত,কাসি সহ দড়িদড়া পীতাভ শ্লেষ্মা
উত্তোলণ। এতৎসহ যদি জ্বর বিকেলে বা মধ্য রাতে বৃদ্ধি পায় তবে ক্যালি আর্স
অধিকতর উপযোগী। এটি অতি তাড়াতাড়ি গুটিকা শুষ্ক ও মামড়ি ঝরে পড়তে সাহায্য করে।
- ল্যাকেসিস
- রক্তস্রাবী বসন্ত। বিভিন্ন্ স্থাণে রক্তক্ষরণ। ঘোর নীলাভ
গুটিকাস্ফোটক, অত্যাধিক অবসাদ,সল্প ও দুর্গন্ধময় প্রস্রাব,জিহ্বা বের করতে
মুখমধ্যে দাঁতের নীচে আটকিয়ে যায় ও কাঁপে। ঘুমের পর উপসর্গের বৃদ্ধি।অবসাদ ও
রক্তস্রাবের প্রাবল্য অত্যাধিক হলে এবং তৎসহ ন্যাবা বর্তমান থাকলে ক্রোটেলাস
প্রযোজ্য।
- ম্যালান্ড্রিনাম
- ইহা অশ্বক্ষুরের গ্রীজ নামক প্রদাহিত রোগের বিষ থেকে
প্রস্তুত এবং বসন্তের প্রতিষেধক রুপে প্রতিষ্ঠিত। এর বসন্ত রোগ আরোগ্য করার
ক্ষমতাও বহু জন অভিগ্যতায় স্বীকৃত। ইহা রোগ কালীন জ্বর প্রতিরোধ করে রোগ
নিরাময় ত্বরান্বীত করে।
- মার্ক সল
- পূঁজ পূর্ণ অবস্থায় প্রয়োজন হয়।সর্বাঙ্গময় উদ্ভেদ,
চুলকানি, গলায় ব্যথা, প্রচুর লাল স্রাব,বৃহৎ,থলথলে, দস্তাংঙ্কীত জিহ্বা।
বসন্ত রোগ সহ রক্তামাশয়।সিফিলিস ধাতু।
- ফস্ফরাস
- রক্তস্রাব প্রবণ ধাতু। গুটিকার মধ্যে
রক্তস্রাব।ব্রঙ্কাইটিস, নিউমনিয়া প্রভৃতি সহ শুষ্ক, কঠিন কাসি, ফুসফুস থেকে
রক্তপাত, সান্নিপাতিক অবস্হায় ফসফরাস উপযোগী।
- এসিড ফস
- উদ্ভেদ গুলি পুঁজপূর্ণ না হইয়া বড় বড় ফোস্কার মত থেকে
যায়,তা ফেটে সেখান হতে ক্ষয়কারী অবস্হায় পানি ঝড়তে থাকে তা হলে এসিড ফস
উপযোগী।
- রাসটক্স
- বসন্তে গোটা কুঞ্চিত হয়ে নীলাভ দেখায়,সর্বাঙ্গে বিশেষত
কোমরে ভীষণ বেদনা হয়,অস্হিরতা, শুষ্ক কাঁশি হয়, জিহ্বার অগ্রভাগ লাল, প্রচুর
পিপাসা, প্রলাপ ইত্যাদি দেখা দিলে রাসটক্স উপযোগী।
- স্যারাসেনিয়া
- এই ঔষধ বসন্ত সারাতে দ্রুত কা্র্যকর। অন্যান্য সদৃশ ঔষধের
সাথেও প্রয়োগ করা যায়, এবং প্রতিষেধক হিসেবেও প্রয়োগ হয়।
- ষ্ট্র্যামোনিয়াম
- বসন্ত রোগের বিকার অবস্হায় ষ্ট্র্যামোনিয়ামের লক্ষণ
সমষ্টিতে প্রয়োজন হয়।
- সালফার
- প্রতিক্রিয়ার অভাবে পুঁজপূর্ন অবস্হায় মস্তিস্ক আক্রান্ত
হওয়ার উপক্রম হলে সালফার উপযোগী।নাক থেকে রক্ত ক্ষরণ, প্রবল পিপাসা,সর্বাঙ্গে
প্রবর জ্বালা ও চুলকানি, মুক্ত বাতাসের আকাঙ্ক্ষা,মল মূত্রতে দুর্গন্দ,
প্রাতকালিন উদরাময় হলে সালফার উপযোগী।
- থুজা
- পুঁজপূর্ণ অবস্হায় থুজা উপযোগী। উদরাময়সহ সজোরে মলত্যাগ,
প্রস্রাবে জ্বালা, সন্ধিতে বেদনা ও স্ফিত, শীরঃবেদনা, বসন্তের দাগ নিবারনে
বিশেষ উপযোগী। মূল আরক দশ ফোটা এক আউন্স ালিভ অয়েলে মিশিয়ে বাহ্য প্রয়োগ করা যায়।
- ভ্যাক্সিনিনাম ও ভেরিওলিনাম
- এই দুইটি ঔষধ বসন্তের প্রতিষেধক হিসেবে প্রসিদ্ধ।বসন্ত রোগের তীব্রতা হ্রাস করিতেও খুব কার্য্কর। এই দুইটি ঔষধ প্রয়োগে বসন্তের গুরি ক্ষত দ্রুত আরোগ ও দাগ নিবারনেও কাজ করে। আন্যান্ন বসন্তের সদৃশ ঔষধের সাথের প্রয়োগ করা যায়।
বসন্তরোগের বাইয়োকেমিক চিকিৎসা
বসন্ত রোগের প্রথম অবস্হায় জ্বর, গায়ে বেদনা
অবস্হায় ফেরম ফস প্রয়োগজরুরী। বসন্তের গুটি বাগির হইতে বিলম্ব হরে সাথে কেলি মিউর
প্রয়োগে বসন্তের গুটি বাহির হয়ে দ্রুত আরোগ্য হয়। বসন্তের গুটি কিছু বাহির হয়ে আর
বাহির না হলে বা উঠিতে বিলম্ব হলে কেলি সাল্ফ সেবনে গুটি দ্রুত বাহির হয়ে আরোগ্যের
দিকে অগ্রসর হয়। বসন্তের গুটিতে পুঁজ উৎপন্ন হলে ক্যালকেরিয়া সালফ প্রয়োগে গুটির
পুঁজ শোষিত হয়ে দ্রুত আরোগ্য হয়।
উপসংহার
বসন্তরোগীর গায়ের কাপড়, বিছানাপত্র পরিস্কার
পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরী। অতিরিক্ত ঠান্ডা যাতে না লাগে সে দিকে খেয়াল রাখা উচিত।
রোগীর জ্বর থাকলে ভাত দেয়া ঠিক নয়।দুধ, সাগু,বার্রি, লেবুর রস দেয়া প্রয়োজন। রোগীর
জন্য কোন প্রকার এলার্জিক খাদ্য দেয়া যাবে না। নিমের পাতা গরম পানিতে সিদ্ধ করে
সেই পানিতে শরীর মুছে দেয়া প্রয়োজন।
ডাঃ ইয়াকুব আলী সরকার
ইভা হোমিও হল
বাইপাইল, আশুলিয়া, সাভার,ঢাকা।
গভঃ রেজিস্ট্রেশন নং ২৩৮৭৬
মোবাইল নং ০১৭১৬৬৫১৪৮৮।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন