শুক্রবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৭

হৃদপিন্ড বিশেষজ্ঞ ডাঃ দেবি শেঠির চির তরুণ থাকার টিপস।

ডাঃ দেবি শেঠীর চির তরুণ থাকার টিপস।

ডা. দেবি প্রসাদ শেঠি নারায়ণ হেলথ এর চেয়ারম্যান ও উদ্যোক্তা।
দেবি শেঠি ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের দক্ষিণ কনাডা জেলার কিন্নিগলি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।নয় ভাইবোনের মধ্যে অষ্টম শেঠি মেডিকেলে পঞ্চম গ্রেডে পড়ার সময় তৎকালীন দক্ষিণ আফ্রিকার সার্জন কর্তৃক বিশ্বের প্রথম হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপনের কথা শুনে কার্ডিয়াক সার্জন হবার সিদ্ধান্ত নেন।
১৯৯১ সালে নয় দিন বয়সি শিশু রনি এর হৃৎপিণ্ড অপারেশন করেন যা ভারতের প্রথম সফল শিশু হৃৎপিণ্ড অস্ত্রোপচার। তিনি কলকাতায় মাদার তেরেসার ব্যক্তিগত চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এর কিছুকাল পর তিনি ব্যাঙ্গালোরে চলে যান এবং মণিপাল হার্ট ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি প্রায় ১৫,০০০ এর বেশি কার্ডিয়াক সার্জারি করেছেন।
ডাঃ দেবী শেঠীর চির তরুণ থাকার টিপস দিয়েছেন যা মেনে চললে আমাদের সকলের উপকারে আসবে,,,।
তার আরেকটি অমিয় বাণী "ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলুন, সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস রাখুন,হার্ট ভাল থাকবে"।
এমন অসংখ্য উপদেশ হতে কয়েকটি তুলে ধরলাম। আসুন আমরা সকলে মেনে চলার চেষ্টা করি।
১.খুব ধীরে ধীরে চেষ্টা করতে করতে কয়েক মাসের মধ্যে সকালে ঘুম থেকে উঠে চার গ্লাস পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন। এর পর বাথরুমে যান।
২.বাথরুম থেকে ফিরে এসে আরও এক গ্লাস পানি খান এবং তার পর খান দুধ ছাড়া খুব হালকা এক কাপ চা। আপনার ওজন বেশি হলে চিনি খাওয়া ছেড়ে দিন। চা কখনোই অতিরিক্ত গরম খাবেন না।
৩.সারা দিনে ৮ থেকে ১২ গ্লাস বাড়তি পানি খাবেন।
৪.পানি খাওয়ার নাম হচ্ছে হাইড্রোথেরাপি রা। জলচিকিৎসা মূলত এটি হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার বছরের প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসা। আধুনিক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে- ঘুম থেকে উঠে ধীরে ধীরে চার গ্লাস পানি খাওয়ার অভ্যাস করলে প্রায় ৩৬ ধরণের রোগ হয় না এবং হলেও
সেরে যায়।
৫.অপর পক্ষে, দুধহীন এবং দুধ-চিনি-হীন হালকা গরম চা হচ্ছে আড়াই হাজার বছর আগের একটি চায়নিজ হারবাল মেডিসিন । সেকালে এই চা দিয়ে হার্ট, ব্লাড প্রেসার (উচ্চ রক্তচাপ) ও পেটের নানা রকম রোগের চিকিৎসা করা হতো। আবার
আধুনিক বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে- চায়ে রয়েছে অ্যান্টিঅিডেন্ট, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে নিশ্চিত অবদান রাখে। এ ছাড়াও অন্য বহুগুণ রয়েছে চায়ে। তবে যে চা-টা প্রক্রিয়াজাত হয়নি, সে চায়ের গুন অপেক্ষাকৃত ভালো।
৬. ভিটামিন সি একটি বৈপ্লবিক খাদ্যপ্রাণ এর গুণাগুণ অসংখ্য। জানা গেছে, দিনে ১ হাজার মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খেলে মানুষ চির তরুণ থাকে।তবে ট্যাবলেট খেলে কিছুই উপকার পাওয়া যায় না।
প্রতিদিনই কমবেশী খেতে হবে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ তাজা ফলমূল। ভিটামিন সিও ক্যান্সার ঠেকাতে সাহায্য করে। আমলকি, সবধরনের লেবু, টমেটো, কমলা, পেয়ারা, নানা রকর টক স্বাদের ফলে
বিভিন্ন মাত্রায় ভিটামিন সি রয়েছে।
৭. ধূমপানসহ সকল ধরণের নেশা জাতীয় অভ্যাস ত্যাগ করুণ। কারণ নেশা মানুষকে সকল দিক দিয়ে ধ্বংস করে দেয়।
৮. রেডমিট অর্থাৎ গরু, মহিষ, খাসি, ভেড়া
ইত্যাদির মাংস খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে। ফার্মের মুরগিও চলবে না। শুধু চর্বিহীন বাচ্চা মুরগির মাংস খাওয়া চলতে পারে।
৯. প্রচুর পরিমাণে আধা-সেদ্ধ শাক-সবজি,
তরিতরকারি এবং খুব অল্প পরিমাণে ভাত-রুটি খাওয়া উচিত।ভাজাভুজি খাবেন না। অতিরিক্ত তেল, চর্বি, ঘি,মাখন খাবেন না। মসলার বিভিন্ন ভেষজ গুণ আছে,
তবুও রান্নায় খুব বেশি মসলা ব্যবহার করবেন না।
১০. সালাদ হিসাবে প্রতিদিন বেশি করে খাবেন কাঁচা লেটুস পাতা, পুদিনা পাতা, টমেটো ইত্যাদি।
.১১. বিধিনিষেধ না থাকলে সকালে খালি পেটে এক চামচ মধু খাবেন।
১২. ছোট-বড় সব ধরনের মাছ খাবেন। সমুদ্রের মাছ খাওয়া অভ্যাস করতে পারলে তো খুবই ভালো।কেননা, এটা মহৌষধ। গাদা-গাদা মাছের কাটা খাওয়া ঠিক নয়। ওতে পাকস্থলিতে পাথর হতে পারে।
১৩. সূর্যমূখী ফুলের বীজ হচ্ছে হার্টের ভেষজ ওষুধ। রান্নায় সূর্যমূখী তেল ব্যবহার করলে হার্টের সুরক্ষা যেমন হয়, তেমনি হার্টের অসুখ থাকলে তা সারাতে সাহায্য করে।
১৪. প্রতিদিন অল্প একটু টক দই খাওয়ার অভ্যাস করুন।টক দই উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে।

আমার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিষয়ক সকল লেখা একসাথে পড়ুন।এপসটি ডাউনলোড করুন,আপডেট নিন।আমার মোবাইল এপস লিঙ্ক ঃ

https://play.google.com/store/apps/details?

ডাঃ ইয়াকুব আলী সরকার
ইভা হোমিও হল।
বাইপাইল,সাভার,ঢাকা।
মোবাইল নং ০১৭১৬৬৫১৪৮৮।
গভঃ রেজিঃ নং ২৩৮৭৬।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন