নেফ্রোটিক সিন্ড্রম (কিডনি বিকল)কিডনি বিকল রোগ নেফ্রোটিক সিন্ড্রন সিম্পটম চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি।
পোটিন এবং ইউরিয়া যখন প্রস্রাবের সাথে বেশি পরিমাণে বের হয়ে যায় তখন তাকে নেফ্রোটিক সিনড্রোম বলে। সেই সাথে প্রস্রাবে এলবুমিনের পরিমাণ কমে যায় ও রক্তে কোলেষ্টেরোলের পরিমান বেড়ে যায়।
Nephrotic syndrome is a kidney disorder that causes your body to pass too much protein in your urine. Nephrotic syndrome is usually caused by damage to the clusters of small blood vessels in your kidneys that filter waste and excess water from your blood.
নেফ্রোটিক সিম্পটম একটি কিডনির ব্যাধি যা আপনার দেহকে আপনার মূত্রের সাথে অত্যধিক প্রোটিন বের হয়। নেফ্রোটিক সিম্পটম সাধারণত আপনার কিডনিতে ছোট ছোট রক্তনালী গুলির ক্লাস্টারগুলির ক্ষতি হয়ে থাকে যা আপনার রক্ত থেকে বর্জ্য এবং অতিরিক্ত পানি ফিল্টার করে।
লক্ষণ সমূহঃ-
১) সমস্ত শরীর এ পানি জমে।
২) প্রস্রাব কমে যায়।
৩) শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
৪) পেটে চাপ অনুভূত হয়।
৫) ক্ষুধা মন্দা, বমি ভাব।
৬) দুর্বলতা অনুভব ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
## হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ব্যবহৃত সদৃশঔষধ নির্বাচনঃ
১) প্যারিরা ব্রাভা
নেফ্রোটিক সিনড্রোমের অন্যতম ভাল ওষধ। বৃক্কে ব্যথা, বৃক্ক যেন ফুলে মোটা হয়ে গেছে এমন অনুভুতি। কুচকি থেকে জানু পর্যন্ত ব্যথা। কালো রক্তযুক্ত ঘন শ্লেষ্মা প্রস্রাবের দ্বারা দয়ে অনবরত নির্গত হয় । সব সময় প্রস্রাবের বেগ অথচ কোথ দিয়ে প্রস্রাব করতে হয়। লিঙ্গ মুন্ডে অসহনীয় ব্যথা। ইউরেথ্রার ভিতর জ্বালাকর চুলকানি।
২) সেনেসিও অরেয়াস
প্রস্রাব পরিমানে কম,ঘন হলুদ রং, মিউকাস সংযুক্ত, ব্যথাপূর্ন প্রস্রাব। প্রস্রাব গরম, ক্রমাগত প্রস্রাবের প্রবনতা, নেফোটিক সিনড্রোম ও নেফ্রাইটিস, মুত্রথলিতে অস্থিকর জ্বালা।
৩) সারসাপেরিলা
বৃক্কে বেদনা। সেই সঙ্গে নানাবিধ যৌন রোগ। প্রস্রাব শেষ হবার সাথে সাথে প্রস্রাব দ্বারে তীব্র যন্ত্রণা। ডান কিডনিতে ব্যথা, ব্যথা ডান জানু পর্যন্ত নেমে আসে। শিশুদের প্রস্রাব কমে যায় এবং খুব কষ্টযুক্ত।
৪) ক্যালি বাইক্রম
প্রস্রাব দ্বারে জ্বালা, প্রস্রাবের শেষে যেন মনে হয় ২/১ ফোটা প্রস্রাব ভিতরে রয়ে গেল, যা কিছুতেই বের হতে চায় না। কিডনি ছোট হয়ে আসে। প্রস্রাবের সাথে এলবুমিন বের হয়ে আসে।এপিথেলিয়াল সেল বের হয়।মিউকাস,পুজ ও রক্ত মিশ্রিত প্রস্রাব।
৫) মার্ক সল
ঘন ঘন প্রস্রাব প্রবনতা, প্রস্রাব পরিমাণে অল্প, ফুলে জ্বালা করে, বিশেষ করে প্রস্রাব করার মুহুর্তে।এলবুমিন সহ প্রস্রাব বের হয়। প্রস্রাব দুর্গন্ধময় অথচ রোগী প্রচুর পরিমাণে জল পান করে। ঘাম বেশি হয়।
এছাড়ারাও
১) ক্যালকেরিয়
২) আইয়োডিয়াম
৩) ক্যালি কার্ব,
৪) ফসফরাস,
৫) সিপিয়া,
৬) সাইলেসিয়া,
৭) স্পাইজেলিয়া,
৮) সালফার,
৯) থাইরোডিয়াম ইত্যাদি ঔষধ লক্ষণ দেখে নির্বাচন করতে হবে।
বায়োকেমিক ওষুধ
ক্যালকেরিয়া ফসফরিক-প্রস্রাবে অত্যাদিক ইউরিয়া। সেই সঙ্গে ফেরম ফস, নেট্রাম মিউর, কেলি মিউর একত্রে মিশিয়ে দিনে ৩/৪ বার গরম পানির সাথে খেতে দিতে হয়।
## মায়াজ মেট্রিক বিশ্লেষণ
সাইকোসিস ও সিফিলিটিক মায়াজম।
মেডোরিনাম ও টিউবারকুলিনাম মায়াজ মেট্রিক ঔষধ।
পথ্য
উত্তেজক খাদ্য, বেশি মশলাদার খাদ্য, ঘি, মাখন, পান, দোক্তা, জর্দা নিষিদ্ধ। লবন খেতে দেবেন না।পরিমিত জলপান করা উচিত। ডিম, খাসির মাংস না খাওয়াই ভাল।
********************************
ডাঃ ইয়াকুব আলী সরকার
ইভা হোমিও হল
ডি এইচ এম এস(ঢাকা)
এম এস এস রাষ্ট্রবিজ্ঞান
গভঃ রেজিঃ নং ২৩৮৭৬
মোবাইল নং ০১৭১৬৬৫১৪৮৮।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন