শিশু রোগীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে সফলতার জন্য জরুরী গাইড নাইন:
বিশেষ বিশেষ লক্ষণের দিকে লক্ষ রেখে সঠিক ঔষধ নির্বাচন করতে সক্ষম
হলে শিশুর অনেক জটিল সমস্যার সমাধান হবে সহজেই।
শিশুরোগের হোমিওপ্যাথিক ঔষধ নির্বাচন সহায়ক গাইড
শিশু ঘুমের মধ্যে দাঁত কটমট করার জন্য সিনা অথবা ক্যানাবিস
ইন্ডিকা প্রয়োজন। মোটা শিশুদের অথবা পেট মোটা শিশুদের বেলায় ক্যালকেরিয়া কার্ব
উপযোগী।
শিশুদের শরীর বৃদ্ধি না হয়ে বামন হতে থাকলে থাইরোডিনাম অথবা
অরাম মেট প্রয়োজন।
শিশুরা বুকের দুধ খাওয়ার সময় যদি স্তনের বোটায় কামড় দেয়, তবে শিশুর কুপ্রম মেট প্রয়োজন। যদি তাতে কাজ না হয়, তবে পোডোফাইলাম ঔষধটি খাওয়াতে পারেন।
শিশুর হাঁটা শিখতে বা দাঁত ওঠতে দেরী হলে- ক্যালকেরিয়া কার্ব
উপযোগী।
শিশুর কথা শিখতে বা পড়াশোনা শিখতে দেরী হলে-বিশেষত যাদের পা মোটা, কিন্তু ঘাড় চিকন এবং লবণযুক্ত খাবার বেশী খায় সেই শিশুর বেলায় নেট্রাম
মিউর উপযোগী ঔষধ।
শিশু জন্ম থেকেই বোকা হলে ক্যালকেরিয়া ফস জরুরী প্রয়োজন।
পক্ষান্তরে শিশু গোঁয়ার্তুমী এবং দুষ্টুমিতে ওস্তাদ হলে মেডোরিনাম
উচ্চ শক্তি প্রয়োগ প্রয়োজন।
যেসব শিশুরা ঘরের ভেতর স্বৈরাচার কিন্তু বাইরে গেলে ভদ্রলোক, তাদেরকে লাইকোপোডিয়াম দেয়া জরুরী।
যেসব শিশু ঘরে-বাইরে সর্বত্র সমান দুষ্টুমি এবং শয়তানী করে তাদেরকে বেসিলিনাম দেযা
প্রয়োজন।যে মায়ের দুধ নোন্তা স্বাদ হওয়ার কারণে শিশু না খেতে চাইলেঃ ক্যালকেরিয়া
কার্ব অথবা ক্যালকেরিয়া ফস অথবা ফইটোলক্কা দিবেন এ সমস্যার সমাধান
হবে।
যেসব শিশু সর্বদা মায়ের আচঁল ধরে থাকে অর্থাৎ হাত ধরে থাকেঃ তাদের
যেকোন পেটের রোগে বিশমাথ ঔষধটি খাওয়াতে ভুলবেন না।
যেসব শিশু দেখতে বৃদ্ধদের মতো দেখায়,এবং
খাবার বেশী পছন্দঃ তাদের জন্য আর্জেন্ট নাই উপযোগী।
যাদের দেখতে থলথলে স্বাস্থ্য তাদের জন্যঃ ক্যালকেরিয়া কার্ব
উপযোগী।
যারা লবন প্রীয় ঃ তাদের জন্য নেট্রাম মিউর উপযোগী।
যেসব শিশু অপরিচিত মানুষের সামনে পায়খানা করতে পারে না, তাদের অধিকাংশ রোগ-ব্যাধি এমব্রাগ্রেসিয়া
ঔষধটি ব্যবহারে সেরে যাবে। এমনকি তাদের
এই অদ্ভূত স্বভাবটি পযর্ন্ত দূর হয়ে যাবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব শিশুদের মধ্যে কোষ্টকাঠিন্য,পাইলস
প্রভৃতি রোগের উৎপাত বেশী দেখা যায়।
যে শিশুর দুধ সহ্য হয় না ঃ খেলেই বমি করে দেয় লক্ষণে সাইলেসিয়া
বা ইথুজা প্রয়োজন হয়।
যে শিশু সারাক্ষণ ঘ্যান ঘ্যান করে আর কোলে ওঠে থাকতে চায়, তাকে কেমোমিলা দেয়া প্রয়োজন।
যে শিশু ক্রমশ শুকিয়ে যায় কিংবা ভাল খেয়েও শুকিয়ে গেলে, ক্যালকেরিয়া ফস দেয়া প্রয়োজন।
যে শিশু অন্ধকারকে ভয় পায়ঃ তাকে এক মাত্রা উচ্চ শক্তির মেডোরিনাম
খাওয়ান।
যে শিশু সর্বদাই ক্রুদ্ধ থাকে, মাত্রাতিরিক্ত ক্ষুধার্ত
স্টেফিসেগ্রিয়া প্রয়োজন।
যে শিশু গোসল করানোর সময় কান্নাকাটি করে- সালফার উপযোগী।
যে শিশুদের শরীর থেকে টক গন্ধ বের হল- ম্যাগ কার্ব, হিপার সাল্ফ, রিউম, এসিড সাল্ফ উপযোগী।
যে শিশুদের শরীরে দুর্গন্ধ বের হলে- সোরিনাম প্রয়োগ জরুরী।
শিশু বা বয়ষ্ক যে কোনো লোক কুকুরকে খুব ভয় পায়- ব্যাসিলিনাম প্রয়োগ
করা প্রয়োজন।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা একটি লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা। রোগীর সার্বলাক্ষণিক
বিবেচনায় ঔষধ নির্বাচন হয়। একটিমাত্র লক্ষণের দিকে খেয়াল করে নিজে নিজে ঔষধ খাবেন না।
একজন দক্ষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। আমার এ লেখা হোমিও ডাক্তার ভাইদের সহায়ক নোটবই
হিসেবে কাজ করবে এই প্রত্যাশায় লেখা।
ডা: ইয়াকুব আলী সরকার
ইভা হোমিও হল।
বাইপাইল,সাভার,ঢাকা।
গভঃ রেজিঃ নং ২৩৮৭৬।
মোবাইল নং ০১৭১৬৬৫১৪৮৮।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন