বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক বিদ্যাসাগর।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হিসেবে ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর, মানুষের ফ্রি চিকিৎসা দিতেন। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাকে সমর্থন করতেন। বাংলাভাষী এপার বাংলা ওপার বাংলার মেহনতি মানুষের স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার জন্য হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করতেন। তার প্রতি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক সমাজ ঋণী। তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।
হোমিওপ্যাথি ও বিদ্যাসাগর
১৮৬৬ সাল।বিখ্যাত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক বেরিনী সাহেব তখন কলকাতায়।বেরিনী সাহেবের সাথে তখন যথেষ্ট সখ্যতা বউবাজারের বাঙালি ডাক্তার রাজেন্দ্রনাথ দত্তের।রাজেন ডাক্তার বিদ্যাসাগর মহাশয়ের মাথাব্যথা কমিয়েছিলেন হোমিওপ্যাথির দ্বারা । ফলে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার ওপর একটা আস্থা তৈরি হয়।একদিন অসুস্থ দ্বারকানাথ মিত্রকে দেখে একই গাড়িতে ফিরছেন ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকার ও বিদ্যাসাগর। মহেনবাবু তখন শহর কলকাতার নামকরা অ্যালোপ্যাথি ডাক্তার।
 তিনি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা জানতেন। হোমিওপ্যাথি আর অ্যালোপ্যাথি কোনটা শ্রেষ্ঠ? এনিয়ে শুরু হল দুজনের আলোচনা।দেখতে দেখতে আলোচনা তর্কের আকার নিল। অবশেষে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের যুক্তি মেনে নিলেন মহেনবাবু, শুরু করলেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা। কিছুদিনের মধ্যেই ইংরেজ ডাক্তার বেরিনী সাহেবকে অনেক পেছনে ফেলে দিলেন ডাক্তার মহেন্দ্রলাল।অল্পদিনেই মহেনবাবুর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার প্রচার ও প্রসার এত বৃদ্ধি পেল যে বেরিনী সাহেবকে চলে যেতে হল কলকাতা ছেড়ে।
বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ছোটো মেয়ের কঠিন রোগ সেরেছিল হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার ফলে। বিদ্যাসাগর মহাশয় ঠিক করেন তিনি নিজে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শিখবেন।সুকিয়া স্ট্রিটের ডাক্তার চন্দ্রমোহন বোসের কাছ থেকে তিনি হোমিওপ্যাথি শিক্ষা নিতে থাকেন।শব ব্যবচ্ছেদ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে শেখার জন্য বিদ্যাসাগর মহাশয় কিছু নরকঙ্কাল সংগ্রহ করেন।হোমিওপ্যাথি বিষয়ে একাধিক বই কেনেন।বানিয়ে ফেলেন আস্ত একখানা লাইব্রেরি।বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বই এর খুব যত্ন ছিল।প্রতিটি বই যত্ন করে বাঁধিয়ে রাখতেন। একবার বিদ্যাসাগর মহাশয়ের লাইব্রেরিতে এক ধনী বন্ধু এসেছেন। তিনি বললেন -" আপনি কি পাগল ! এসব পুস্তক বাঁধিয়ে রাখার কি প্রয়োজন ছিল? " বিদ্যাসাগর উত্তরে বললেন -"একগাছি দড়ি দিয়েও তো আপনি আপনার ঘড়িটি বেঁধে রাখতে পারতেন, এত টাকা দামের সোনার চেন দিয়ে বেঁধে রাখবার কি প্রয়োজন।আপনি তো আরও বড় পাগল।"
বিদ্যাসাগর শেষজীবনের অনেকখানি সময় কাটিয়েছিলেন আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম কারমাঁটারে। বিদ্যাসাগর মহাশয় সেখানেও গরীব মানুষদের চিকিৎসা করতেন বিনে পয়সায়।রাতবিরেতে ছুটে যেতেন তাঁর হোমিওপ্যাথির ব্যাগ হাতে।বিদ্যাসাগর তাদের কাছে হয়ে উঠেছিলেন 'ডাক্তার বিদ্যাসাগর'।
(সংকলিত)
তথ্যসূত্র- কলকাতা টিভি
আমার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিষয়ক সকল লেখা একসাথে পড়ুন।এপসটি ডাউনলোড করুন,আপডেট নিন।আমার মোবাইল এপস লিঙ্ক ঃ

https://play.google.com/store/apps/details?

ডাঃ ইয়াকুব আলী সরকার
ইভা হোমিও হল
বাইপাইল আশুলিয়া সাভার ঢাকা।
মোবাইল নং ০১৭১৬৬৫১৪৮৮।
গভঃ রেজিঃ নং ২৩৮৭৬।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন