৫০ সহস্রতমিক পদ্ধতির ব্যবহার। |
নিউ পটেন্সি (৫০ সহস্রতমিক পটেন্সি) কেন ব্যবহার করবেন ?
হানেমানের মতে রোগীতে প্রয়োগকৃত হোমিওপ্যাথিক ওষুধের মাত্রা যতক্ষণ কাজ করবে ততক্ষণ পর্যন্ত আর কোন মাত্রা প্রয়োগ করা যাবে না। একিউট ডিজিজ ঐ মাত্রাতে প্রায়ই ভাল হয়ে যায়। আর ক্রনিক ডিজিজের ক্ষেত্রেও ধীরগতিতে এমনটা অনেকসময় ঘটে। এতে রোগী ভাল হতে ৪০/৫০/৬০/১০০ দিন পর্যন্ত লেগে যায় । এটা ছিল হানেমানের পূর্ব অভিজ্ঞতা। [§ 247]
একই মাত্রায় বার বার ওষুধ প্রয়োগ করলে রোগীর ভাইটাল ফোর্স বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখায়, রোগী আরো অসুস্থ হয়ে যায়। এ সম্পর্কে হানেমানের উপলব্ধি নিম্নরূপ -
- রোগীর আরোগ্য ত্বরান্বিত করার জন্য ওষুধের একই শক্তির অপরিবর্তিত মাত্রা পুণ: প্রয়োগ করা অগ্রহনযোগ্য। স্বল্প সময়ের ব্যবধানে বার বার তো নয়ই, এমনকি দ্বিতীয়বার প্রয়োগ করাও গ্রহযোগ্য নয়।
- পর্ববর্তী মাত্রা রোগীর ভাইটাল ফোর্সের প্রত্যাশিত পরিবর্তন করে ফেলেছে, ফলে একই ধরনের সৃদশ্য গতিশিল ওষুধ অপরিবর্তিত মাত্রায় প্রয়োগ করলে সেটি ভাইটাল ফোর্সের পূর্বের অবস্থা আর পায় না।
- ভাইটাল ফোর্স একই শক্তির ওষুধকে বিনা বাধায় গ্রহণ করতে পারে না। ফলে ওষধের অন্যান্য লক্ষণ যেগুলো রোগীর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ ছিল না সেগুলো রোগীর দেহে প্রকাশ পায় এবং রোগী আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পরে [§ 248]
এখন আপনি যদি রোগীকে দ্রুত সুস্থ করতে চান তবে আপনাকে ঘন ঘন ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে কিন্তু একই শক্তিতে ওষুধ ঘন ঘন প্রয়োগ করলে আবার রোগী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাহলে উপায় কি?
উপায় হলো ওষুধকে শক্তি পরিবর্তিত মাত্রায় প্রয়োগ করা। সেক্ষেত্রে আপনাকে ওষুধ পানিতে দ্রবীভূত করে সজোরে ঝাঁকি দিয়ে ওষুধের শক্তি বাড়িয়ে নিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।
হানেমান ৬ষ্ঠ সংস্করণ অর্গানন বের করার আগেই শততমিক ওষুধ পানিতে গুলে শক্তি পরিবর্তন নীতিতে রোগীতে প্রয়োগ করেছেন। আপনারা হানেমানের ক্রনিক ডিজিজ বইয়ের তৃতীয় সংস্করনের ভূমিকা পড়লে সেটা জানতে পারবেন।
হানেমান পানিতে গুলে ওষুধ প্রয়োগ নিয়ে গবেষণা করতে করতে নতুন শক্তির ওষুধ আবিস্কার করলেন।যাকে তিনি নিউ পটেন্সি বলেছেন, যা বর্তমানে ৫০ সহস্রতমিক শক্তি হিসেবে পরিচিত। হানেমান বলেছেন নতুন শক্তির ওষুধে রোগী আগের চেয়ে অর্ধেক,এক চতুর্থাংশ বা তার চেয়েও কম সময়ে
আরোগ্য লাভ করবে।যা চিকিৎসক ও রোগী উভয়ের জন্য মঙ্গলকর।দ্রুত সময়ে রোগী ভাল করার জন্য যা করা দরকার
১. অত্যন্ত সতর্কতার সাথে ওষুধ নির্বাচন করতে হবে যাতে সেটি রোগীর সাথে যথার্থ সাদৃশ্যপূর্ণ হয়। (Select with all circumspection, the aptly homeopathic medicine.)
২. নতুন শক্তির ওষুধ উচ্চ শক্তিতে পানিতে গুলে প্রয়োগ করতে হবে। (Use a highly potentized [fifty-millesimal] dose, dissolved in water.)
৩. রোগীতে যথাসম্ভব ক্ষুদ্রতম মাত্রা যা রোগীর জন্য যথাযথ হবে তা প্রয়োগ করতে হবে। (Administer a properly small dose of this to the patient.)
৪. নির্দিষ্ট সময় অন্তর রোগীকে পানিতে মিশ্রিত ওষুধ যথাযথ মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে। অভিজ্ঞতা অনুসারে চিকিৎসক নির্দিষ্ট সময় পরপর ওষুধ প্রয়োগ করবেন যেটি রোগীর জন্য উপযুক্ত হবে। (Give a dose of the solution at intervals that experience has shown to be the most distinctly appropriate for the best possible acceleration of the treatment.) [§ 246]
৫. প্রতিবার ওষুধ প্রয়োগের পূর্বে ওষুধের শক্তিকে অবশ্যই পরিবর্তিত (বাড়িয়ে নিতে হবে) করে নিতে হবে। [§ 246] সেজন্য শিশিকে ৮/১০/১২ বার ঝাঁকি দিয়ে নিবেন। [§ 248]
** এভাবে একই সুনির্বাচিত ওষুধ প্রতিদিন, প্রয়োজনে মাসের পর মাস প্রয়োগ করা যায়। এমন কি উচ্চ শক্তির ওষুধও ব্যবহার করা যায়। তাতে ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকে না (I teach here, no shock takes place, even with more frequent repetition of the doses, no matter how highly potentized the medicine may be, with ever so many succussions.)।
তবে রোগীর সংবেদনশীলতার উপর ভিত্তি করে পানিতে গুলোনা ওষুধের মাত্রা বিভিন্ন রকম হতে পারে।
বি.দ্র: অর্গানন ভালভাবে বুঝতে চাইলে মূল অর্গানন পড়া দরকার। কিন্তু জার্মানী ভাষা যেহেতু আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব না (কারো কারো পক্ষে সম্ভব হতে পারে), তাই অর্গাননের কয়েকটি ইংরেজী অনুবাদ সামনে নিয়ে পড়বেন। সেক্ষেত্রে William Boericke, Jost Kunzli, teven Decker Birdcage (edited by Wenda Brewster O'Reilly) বইগুলো মিলিয়ে পড়বেন। সাথে বাংলা ত্রিগুনাথ ও হরিমোহন চৌধুরীর বইগুলো সাথে রাখবেন। আমার নিকট ত্রিগুনাথের বাংলা অনুবাদ বেশি পছন্দ।
রোগীকে দ্রুত আরোগ্য দেয়ার জন্য ডাঃ হানেমান ঘন ঘন ওষুধ প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। কিন্তু একই শক্তিতে বারবার ওষুধ প্রয়োগ করলে ভাইটাল ফোর্স তা সহ্য করতে পারে না বিশেষ করে যখন ওষুধের ক্রিয়া চলতে থাকে। এ অবস্থায় যদি একই শক্তির ওষুধ আবার প্রয়োগ করা হয় তবে পূর্বের সফলভাবে ক্রিয়াশিল ওষুধের কার্যকারিতা অনেকটা নষ্ট হয়ে যায় বা নতুন লক্ষন প্রকাশ পায়, আরোগ্যকে বাধাগ্রস্ত করে।
হানেমান তাই শক্তিকৃত ওষুধ পানিতে দ্রবিভূত করে বিভক্ত মাত্রায় (divided dose) রোগীকে প্রয়োগ করতে লাগলেন। শক্তিকৃত ওষুধের একটি বড়ি ৭ থেকে ২০ টেবিল চামচ পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে লাগলেন এবং এভাবে ওষুধ প্রয়োগে সুফল লাভ করলেন।
তরুণ রোগে এবং খুব তীব্রভাবে আক্রান্ত তরুণ রোগে ২, ৪, ৬ ঘন্টা পরপর ওষুধ প্রয়োগ করা যায়। আর যেখানে রোগীর অবস্থা খুবই নাজুক অবস্থায় পৌঁছায় সেখানে প্রতি ঘন্টায়, বা আধা ঘন্টা পরপর ওষুধ প্রয়োগ করা যায়। বড়দের ক্ষেত্র ১ টেবিল চামচ মাত্রায়, আর শিশুদের ও অতি দুর্বল রোগীদের জন্য ১বা ২ চা চামচ বা ১ কফি চামচ পরিমান ওষুধ খাওয়াতে হবে।
আর চিররোগের ক্ষেত্রে মাত্রা ১ চামচ করে অন্তত প্রত্যেক দ্বিতীয় দিনে একবার, সচারাচর প্রতিদিন এক মাত্রা খাওয়ানো যাবে।
প্রতিবার ওষুধ খাওয়ানোর আগে পানিতে মিশ্রিত ওষুধ যে বোতলে রাখা হয় সেটি ৫/৬ ঝাঁকি দিয়ে নিতে হবে।
সিরিয়াস ক্রনিক রোগী ভাল করতে এভাবে বারবার ওষুধ প্রয়োগ করা জরুরী। এতে রোগী ক্রমান্বয়ে ভাল অনুভব করতে থাকে।
হানেমান এ পদ্ধতিতে ওষুধ খাওয়ানোকে তার "ক্রনিক ডিজিজ" বইয়ে সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি বলেছেন, যা তিনি অভিজ্ঞতায় লাভ করেছেন।
তিনি সেন্টিসিমাল ওষুধ পানিতে গুলে এভাবে প্রয়োগ করেছেন।পরবর্তিতে তিনি ৫০ সহস্রতমিক ওষুধ আবিস্কার করেন, যা সবচেয়ে ভাল।
হানেমানের সর্বশেষ আবিষ্কৃত ওষুধ কিভাবে রোগীকে প্রস্তুত করে দিবেন?
এর আগে আমরা আলোচনা করেছি যে রোগীকে সত্ত্বর আরোগ্য করার লক্ষ্যে হোমিওপ্যাথিক শক্তিকৃত ওষুধ পানিতে মিশিয়ে শক্তি পরিবর্তন করে ঘন ঘন প্রয়োগ করতে হয়। সেক্ষেত্রে ৫০ সহস্রতমিক ওষুধ অন্যান্য পদ্ধতির চেয়ে উৎকৃষ্টভাবে কাজ করে।
নিউ পটেন্সির ওষুধ কিভাবে রোগীর জন্য প্রস্তুত করবেন।
মেডিসিনাল সলিউশন প্রস্তুত করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে -
১. ওষুধের মিশ্রণ তৈরি করতে আপনি কি পরিমান পানি নিবেন সে ব্যাপারে হানেমান কোন পরিমান কে নির্দিষ্ট করেন দেন নি। তবে তিনি ৪০, ৩০, ২০, ১৫, বা ৮ টেবিল চামচ পানি নিতে বলেছেন [২৪৮ নং সূত্রের পাদটীকা দেখুন]।
সে পানিতে নির্বাচিত ওষুধের ১ টি ছোট বড়ি (১ টির বেশি বড়ি কদাচিৎ প্রয়োজন হয়) মিশ্রিত করবেন। সেখান থেকে রোগীকে ১ বা কয়েক চা চামচ ওষুধের মিশ্রণ খাওয়াতে হবে।
* টেবিল চামচ বিভিন্ন রকম আছে।
1 US Tablespoon = 14.7868 mL
1 Imperial (UK) Tablespoon = 17.7582 mL
1 Metric Tablespoon = 15 mL
1 Australian Tablespoon = 20 mL
আমরা যদি আমেরিকান পরিমাপে হিসেব করি তাহলে ৮ টেবিল চামচের পরিমান হবে ১১৮.২৯ মিলি, আর ব্রিটিশ পরিমাপে হবে ১৪২.০৭ মিলি। সেক্ষেত্রে ৪ আউন্সের বোতলে ওষুধের মিশ্রণ তৈরি করা যেতে পারে। আর ৪০ টেবিল চামচ পানির পরিমাণ হবে ৫৯১.২৭ মিলি (U.S) বা ৭১০.৩৩ মিলি (UK)। সেক্ষেত্রে ১ লিটারের পানির বোতল ব্যবহার করতে হবে :)।
** ওষুধের মিশ্রণের পরিমান কখন কম করবেন কখন বেশি করবেন সেটা রোগীর সেনসিটিভিটি/সংবেদনশীলতার উপর নির্ভর করবে।
রোগীকে বড় বড় বোতলে ওষুধের মিশ্রণ প্রদান করা বেশ ঝামেলাপূর্ণ। সে সমস্যা দূর করার জন্য আমরা রোগীকে ৭/৮ টেবিল চামচ পানিতে ওষুধ মিশিয়ে দিতে পারি। সেক্ষেত্রে ৪ আউন্সের বোতল ব্যবহার করা সুবিধাজনক হবে। আমরা ৪ আউন্স এর বোতলের মধ্যে রাখা ৭/৮ টেবিল চামচ পানিতে ১ টা অনুবটিকা মিশিয়ে বোতলটি রোগীকে দিয়ে দিতে পারি। রোগী যেভাবে ওষুধ খাবে –
বোতলকে ৮/১০/১২ বার ঝাঁকি দিয়ে নিতে হবে।
# সেখান থেকে ১ টেবিল চামচ ওষুধের মিশ্রন আবার আরেকটি গ্লাসে রাখা ৭/৮ টেবিল চামচ পানিতে মিশিয়ে নিতে হবে।
# তারপর গ্লাসের পানিকে ভালভাবে আলোড়িত করতে হবে।
# ভালভাবে আলোড়িত করার পর সেখান থেকে ১ ডোজ (১ চা চামচ, বা কয়েক চা চামচ) রোগীকে খাওয়াতে হবে।
রোগী যদি খুব বেশি উত্তেজনাপ্রবণ ও সংবেদনশীল হন (usually excited & sensitive) তাহলে ১ম গ্লাসের (যাতে ৭/৮ টেবিল ওষুধের মিশ্রণ আছে) ১ চা চামচ ওষুধযুক্ত পানি আবার আরেকটি ৭/৮ টেবিল চামচ পানিপূর্ণ গ্লাসে মিশাতে হবে। ভালভাবে নাড়িয়ে সেখান থেকে রোগীকে ১ চামচ বা তার চেয়ে বেশি রোগীকে খাওয়াতে হবে।
কিছু রোগী আছে যারা অত্যন্ত বেশি সংবেদনশীল। তাদের জন্য প্রয়োজনে একই নিয়ম অনুসরণ করে ৩য় গ্লাস বা ৪র্থ গ্লাস থেকে ওষুধ খাওয়াতে হতে পারে। [২৪৮ নং সূত্রের পাদটীকা]।
** যদি রোগীকে শুধু শক্তিকৃত ওষুধের ১ টা অনুবটিকা দিয়ে দেয়ার প্রয়োজন হয় যেমন রোগী দূরে কোথাও যাবে যেখানে ওষুধের বহন করা সমস্যা তাদের জন্য ১টা অনুবটিকা সুগার অফ মিল্ক –এ চূর্ণ করে দিতে হবে এবং রোগী সুবিধাজনক স্থানে উপরের মতো করে ওষুধ বানিয়ে নিতে পারে।
রোগীকে যদি মুখে ওষুধ খাওয়ানো সম্ভব না হয়।তবে ঘ্রাণের সাহায্যে ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে।
# তখন ছোট শিশি নিবেন, ১ ড্রাম শিশি নেয়া যায়।
# এক ড্রাম পানি মিশ্রিত রেক্টিফাইড স্পিরিটে (dilute alcohol) ১ টি অনুবটিকা ঝাঁকি দিয়ে দিয়ে মিশিয়ে নিবেন।
# রোগী ২/৩/৪ দিন পরপর সেখান থেকে ওষুধের ঘ্রাণ নিবে।
প্রতিবার ঘ্রাণ নেয়ার পূর্বে শিশিটি ৮ থেকে ১০ বার খুব ভালভাবে ঝাঁকি দিয়ে নিতে হবে।
২. প্রতিবার ওষুধ খাওয়ানোর আগে বোতলটি ৮, ১০ বা ১২ বার ঝাঁকি দিতে হবে। আর ওষুধ যদি ঘ্রাণ নেয়ার জন্য ১ ড্রাম শিশির মধ্যে এলকোহল মিশ্রিত পানিতে মেশানো তবে ঘ্রাণ নেয়ার আগে শিশিটি ৮ থেকে ১০ বার ঝাঁকি দিতে হবে।
৩. ওষুধ পানিতে দ্রবিভূত করার আগে সুগার অফ মিল্ক এর সাথে চূর্ণ করে নিবেন (সূত্র ২৭২)।
৪. ওষুধের মিশ্রন যাতে জীবানু দ্বারা বিকৃত না হয়ে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ওষুধের দ্রবণকে অবিকৃত রাখতে কিছু পরিমান স্পিরিট/সূরাসার বোতলে মিশিয়ে দিবো। যদি স্পিরিট না পাওয়া যায় তবে এক টুকরা কাঠ কয়লা ব্যবহার করা যায়। কাঠ কয়লা সূতা দিয়ে বেঁধে বোতলের মধ্যে ঝুলিয়ে রাখতে হবে এবং বোতলটি ঝাঁকি দেয়ার সময় বের করে নিতে হবে।
৫. সম্প্রতি দেখা দেয়া মধ্যম তীব্রতার রোগীদের (a moderate recent case of illness) জন্য ওষুধের একটা ক্ষুদ্র অনুবটিকা শুষ্ক অবস্থায় জিহ্বায় প্রয়োগ করা যায় – তবে সেটা হবে প্রথম মাত্রা (সূত্র ২৭২)। কিন্তু সেটা সুবিধাজনক নয়। পানির সাথে মিশিয়ে দেয়া অনেক বেশি সুফলদায়ক।
৬. ওষুধ কতদিন পরপর দিবেন?
# দীর্ঘসময় ধরে ভোগা রোগীদের জন্য প্রতিদিন বা ১ দিন পরপর ওষুধ দিতে হবে।
# একিউট ডিজিজের ক্ষেত্রে ২ থেকে ৬ ঘন্টা পরপর দেয়া যায়।
# খুব জরুরী অবস্থায় প্রতি ঘন্টায় বা আরো ঘন ঘন ওষুধ প্রয়োগ করা যায়।
৭. ওষুধ মিশ্রিত বোতলটি যদি ৭ দিন বা ১৫ দিনে শেষ হয়ে যায় এবং রোগীর মধ্যে ঐ ওষুধের লক্ষণ থাকে তবে ঐ ওষুধের উচ্চতর শক্তির ১ বা (কদাচিৎ) একাধিক অনুবটিকা দিয়ে পরবর্তী মিশ্রণ প্রস্তুত করতে হবে।
# সুনির্বাচিত ওষুধ ক্রনিক ডিজিজ এর ক্ষেত্রে প্রতিদিন খাওয়ালে চিকিৎসার শেষের দিকে হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি দেখা দেয়। রোগীর লক্ষণরাজী যেটা কমে গিয়েছিল সেটা আবার কিছুটা বৃদ্ধি পায়।এটা আসলে মেডিসিনাল সিম্পটমস। সে সময় ওষুধের মাত্রা কমিয়ে দিয়ে দীর্ঘদিন পরপর প্রয়োগ করতে হয়। আরো ওষুধের প্রয়োজন আছে কিছু বুঝার জন্য ওষুধ প্রয়োগ কিছুদিন বন্ধ রাখতে হয়। তাতে দেখা যায় ওষুধজনিত লক্ষণগুলো কিছুদিনের মধ্যেই দূর হয়ে যায় এবং রোগীর স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার হয়।
১. অত্যন্ত সতর্কতার সাথে ওষুধ নির্বাচন করতে হবে যাতে সেটি রোগীর সাথে যথার্থ সাদৃশ্যপূর্ণ হয়। (Select with all circumspection, the aptly homeopathic medicine.)
২. নতুন শক্তির ওষুধ উচ্চ শক্তিতে পানিতে গুলে প্রয়োগ করতে হবে। (Use a highly potentized [fifty-millesimal] dose, dissolved in water.)
৩. রোগীতে যথাসম্ভব ক্ষুদ্রতম মাত্রা যা রোগীর জন্য যথাযথ হবে তা প্রয়োগ করতে হবে। (Administer a properly small dose of this to the patient.)
৪. নির্দিষ্ট সময় অন্তর রোগীকে পানিতে মিশ্রিত ওষুধ যথাযথ মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে। অভিজ্ঞতা অনুসারে চিকিৎসক নির্দিষ্ট সময় পরপর ওষুধ প্রয়োগ করবেন যেটি রোগীর জন্য উপযুক্ত হবে। (Give a dose of the solution at intervals that experience has shown to be the most distinctly appropriate for the best possible acceleration of the treatment.) [§ 246]
৫. প্রতিবার ওষুধ প্রয়োগের পূর্বে ওষুধের শক্তিকে অবশ্যই পরিবর্তিত (বাড়িয়ে নিতে হবে) করে নিতে হবে। [§ 246] সেজন্য শিশিকে ৮/১০/১২ বার ঝাঁকি দিয়ে নিবেন। [§ 248]
** এভাবে একই সুনির্বাচিত ওষুধ প্রতিদিন, প্রয়োজনে মাসের পর মাস প্রয়োগ করা যায়। এমন কি উচ্চ শক্তির ওষুধও ব্যবহার করা যায়। তাতে ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকে না (I teach here, no shock takes place, even with more frequent repetition of the doses, no matter how highly potentized the medicine may be, with ever so many succussions.)।
তবে রোগীর সংবেদনশীলতার উপর ভিত্তি করে পানিতে গুলোনা ওষুধের মাত্রা বিভিন্ন রকম হতে পারে।
বি.দ্র: অর্গানন ভালভাবে বুঝতে চাইলে মূল অর্গানন পড়া দরকার। কিন্তু জার্মানী ভাষা যেহেতু আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব না (কারো কারো পক্ষে সম্ভব হতে পারে), তাই অর্গাননের কয়েকটি ইংরেজী অনুবাদ সামনে নিয়ে পড়বেন। সেক্ষেত্রে William Boericke, Jost Kunzli, teven Decker Birdcage (edited by Wenda Brewster O'Reilly) বইগুলো মিলিয়ে পড়বেন। সাথে বাংলা ত্রিগুনাথ ও হরিমোহন চৌধুরীর বইগুলো সাথে রাখবেন। আমার নিকট ত্রিগুনাথের বাংলা অনুবাদ বেশি পছন্দ।
রোগীকে দ্রুত আরোগ্য দেয়ার জন্য ডাঃ হানেমান ঘন ঘন ওষুধ প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। কিন্তু একই শক্তিতে বারবার ওষুধ প্রয়োগ করলে ভাইটাল ফোর্স তা সহ্য করতে পারে না বিশেষ করে যখন ওষুধের ক্রিয়া চলতে থাকে। এ অবস্থায় যদি একই শক্তির ওষুধ আবার প্রয়োগ করা হয় তবে পূর্বের সফলভাবে ক্রিয়াশিল ওষুধের কার্যকারিতা অনেকটা নষ্ট হয়ে যায় বা নতুন লক্ষন প্রকাশ পায়, আরোগ্যকে বাধাগ্রস্ত করে।
হানেমান তাই শক্তিকৃত ওষুধ পানিতে দ্রবিভূত করে বিভক্ত মাত্রায় (divided dose) রোগীকে প্রয়োগ করতে লাগলেন। শক্তিকৃত ওষুধের একটি বড়ি ৭ থেকে ২০ টেবিল চামচ পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে লাগলেন এবং এভাবে ওষুধ প্রয়োগে সুফল লাভ করলেন।
তরুণ রোগে এবং খুব তীব্রভাবে আক্রান্ত তরুণ রোগে ২, ৪, ৬ ঘন্টা পরপর ওষুধ প্রয়োগ করা যায়। আর যেখানে রোগীর অবস্থা খুবই নাজুক অবস্থায় পৌঁছায় সেখানে প্রতি ঘন্টায়, বা আধা ঘন্টা পরপর ওষুধ প্রয়োগ করা যায়। বড়দের ক্ষেত্র ১ টেবিল চামচ মাত্রায়, আর শিশুদের ও অতি দুর্বল রোগীদের জন্য ১বা ২ চা চামচ বা ১ কফি চামচ পরিমান ওষুধ খাওয়াতে হবে।
আর চিররোগের ক্ষেত্রে মাত্রা ১ চামচ করে অন্তত প্রত্যেক দ্বিতীয় দিনে একবার, সচারাচর প্রতিদিন এক মাত্রা খাওয়ানো যাবে।
প্রতিবার ওষুধ খাওয়ানোর আগে পানিতে মিশ্রিত ওষুধ যে বোতলে রাখা হয় সেটি ৫/৬ ঝাঁকি দিয়ে নিতে হবে।
সিরিয়াস ক্রনিক রোগী ভাল করতে এভাবে বারবার ওষুধ প্রয়োগ করা জরুরী। এতে রোগী ক্রমান্বয়ে ভাল অনুভব করতে থাকে।
হানেমান এ পদ্ধতিতে ওষুধ খাওয়ানোকে তার "ক্রনিক ডিজিজ" বইয়ে সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি বলেছেন, যা তিনি অভিজ্ঞতায় লাভ করেছেন।
তিনি সেন্টিসিমাল ওষুধ পানিতে গুলে এভাবে প্রয়োগ করেছেন।পরবর্তিতে তিনি ৫০ সহস্রতমিক ওষুধ আবিস্কার করেন, যা সবচেয়ে ভাল।
হানেমানের সর্বশেষ আবিষ্কৃত ওষুধ কিভাবে রোগীকে প্রস্তুত করে দিবেন?
এর আগে আমরা আলোচনা করেছি যে রোগীকে সত্ত্বর আরোগ্য করার লক্ষ্যে হোমিওপ্যাথিক শক্তিকৃত ওষুধ পানিতে মিশিয়ে শক্তি পরিবর্তন করে ঘন ঘন প্রয়োগ করতে হয়। সেক্ষেত্রে ৫০ সহস্রতমিক ওষুধ অন্যান্য পদ্ধতির চেয়ে উৎকৃষ্টভাবে কাজ করে।
নিউ পটেন্সির ওষুধ কিভাবে রোগীর জন্য প্রস্তুত করবেন।
মেডিসিনাল সলিউশন প্রস্তুত করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে -
১. ওষুধের মিশ্রণ তৈরি করতে আপনি কি পরিমান পানি নিবেন সে ব্যাপারে হানেমান কোন পরিমান কে নির্দিষ্ট করেন দেন নি। তবে তিনি ৪০, ৩০, ২০, ১৫, বা ৮ টেবিল চামচ পানি নিতে বলেছেন [২৪৮ নং সূত্রের পাদটীকা দেখুন]।
সে পানিতে নির্বাচিত ওষুধের ১ টি ছোট বড়ি (১ টির বেশি বড়ি কদাচিৎ প্রয়োজন হয়) মিশ্রিত করবেন। সেখান থেকে রোগীকে ১ বা কয়েক চা চামচ ওষুধের মিশ্রণ খাওয়াতে হবে।
* টেবিল চামচ বিভিন্ন রকম আছে।
1 US Tablespoon = 14.7868 mL
1 Imperial (UK) Tablespoon = 17.7582 mL
1 Metric Tablespoon = 15 mL
1 Australian Tablespoon = 20 mL
আমরা যদি আমেরিকান পরিমাপে হিসেব করি তাহলে ৮ টেবিল চামচের পরিমান হবে ১১৮.২৯ মিলি, আর ব্রিটিশ পরিমাপে হবে ১৪২.০৭ মিলি। সেক্ষেত্রে ৪ আউন্সের বোতলে ওষুধের মিশ্রণ তৈরি করা যেতে পারে। আর ৪০ টেবিল চামচ পানির পরিমাণ হবে ৫৯১.২৭ মিলি (U.S) বা ৭১০.৩৩ মিলি (UK)। সেক্ষেত্রে ১ লিটারের পানির বোতল ব্যবহার করতে হবে :)।
** ওষুধের মিশ্রণের পরিমান কখন কম করবেন কখন বেশি করবেন সেটা রোগীর সেনসিটিভিটি/সংবেদনশীলতার উপর নির্ভর করবে।
রোগীকে বড় বড় বোতলে ওষুধের মিশ্রণ প্রদান করা বেশ ঝামেলাপূর্ণ। সে সমস্যা দূর করার জন্য আমরা রোগীকে ৭/৮ টেবিল চামচ পানিতে ওষুধ মিশিয়ে দিতে পারি। সেক্ষেত্রে ৪ আউন্সের বোতল ব্যবহার করা সুবিধাজনক হবে। আমরা ৪ আউন্স এর বোতলের মধ্যে রাখা ৭/৮ টেবিল চামচ পানিতে ১ টা অনুবটিকা মিশিয়ে বোতলটি রোগীকে দিয়ে দিতে পারি। রোগী যেভাবে ওষুধ খাবে –
বোতলকে ৮/১০/১২ বার ঝাঁকি দিয়ে নিতে হবে।
# সেখান থেকে ১ টেবিল চামচ ওষুধের মিশ্রন আবার আরেকটি গ্লাসে রাখা ৭/৮ টেবিল চামচ পানিতে মিশিয়ে নিতে হবে।
# তারপর গ্লাসের পানিকে ভালভাবে আলোড়িত করতে হবে।
# ভালভাবে আলোড়িত করার পর সেখান থেকে ১ ডোজ (১ চা চামচ, বা কয়েক চা চামচ) রোগীকে খাওয়াতে হবে।
রোগী যদি খুব বেশি উত্তেজনাপ্রবণ ও সংবেদনশীল হন (usually excited & sensitive) তাহলে ১ম গ্লাসের (যাতে ৭/৮ টেবিল ওষুধের মিশ্রণ আছে) ১ চা চামচ ওষুধযুক্ত পানি আবার আরেকটি ৭/৮ টেবিল চামচ পানিপূর্ণ গ্লাসে মিশাতে হবে। ভালভাবে নাড়িয়ে সেখান থেকে রোগীকে ১ চামচ বা তার চেয়ে বেশি রোগীকে খাওয়াতে হবে।
কিছু রোগী আছে যারা অত্যন্ত বেশি সংবেদনশীল। তাদের জন্য প্রয়োজনে একই নিয়ম অনুসরণ করে ৩য় গ্লাস বা ৪র্থ গ্লাস থেকে ওষুধ খাওয়াতে হতে পারে। [২৪৮ নং সূত্রের পাদটীকা]।
** যদি রোগীকে শুধু শক্তিকৃত ওষুধের ১ টা অনুবটিকা দিয়ে দেয়ার প্রয়োজন হয় যেমন রোগী দূরে কোথাও যাবে যেখানে ওষুধের বহন করা সমস্যা তাদের জন্য ১টা অনুবটিকা সুগার অফ মিল্ক –এ চূর্ণ করে দিতে হবে এবং রোগী সুবিধাজনক স্থানে উপরের মতো করে ওষুধ বানিয়ে নিতে পারে।
রোগীকে যদি মুখে ওষুধ খাওয়ানো সম্ভব না হয়।তবে ঘ্রাণের সাহায্যে ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে।
# তখন ছোট শিশি নিবেন, ১ ড্রাম শিশি নেয়া যায়।
# এক ড্রাম পানি মিশ্রিত রেক্টিফাইড স্পিরিটে (dilute alcohol) ১ টি অনুবটিকা ঝাঁকি দিয়ে দিয়ে মিশিয়ে নিবেন।
# রোগী ২/৩/৪ দিন পরপর সেখান থেকে ওষুধের ঘ্রাণ নিবে।
প্রতিবার ঘ্রাণ নেয়ার পূর্বে শিশিটি ৮ থেকে ১০ বার খুব ভালভাবে ঝাঁকি দিয়ে নিতে হবে।
২. প্রতিবার ওষুধ খাওয়ানোর আগে বোতলটি ৮, ১০ বা ১২ বার ঝাঁকি দিতে হবে। আর ওষুধ যদি ঘ্রাণ নেয়ার জন্য ১ ড্রাম শিশির মধ্যে এলকোহল মিশ্রিত পানিতে মেশানো তবে ঘ্রাণ নেয়ার আগে শিশিটি ৮ থেকে ১০ বার ঝাঁকি দিতে হবে।
৩. ওষুধ পানিতে দ্রবিভূত করার আগে সুগার অফ মিল্ক এর সাথে চূর্ণ করে নিবেন (সূত্র ২৭২)।
৪. ওষুধের মিশ্রন যাতে জীবানু দ্বারা বিকৃত না হয়ে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ওষুধের দ্রবণকে অবিকৃত রাখতে কিছু পরিমান স্পিরিট/সূরাসার বোতলে মিশিয়ে দিবো। যদি স্পিরিট না পাওয়া যায় তবে এক টুকরা কাঠ কয়লা ব্যবহার করা যায়। কাঠ কয়লা সূতা দিয়ে বেঁধে বোতলের মধ্যে ঝুলিয়ে রাখতে হবে এবং বোতলটি ঝাঁকি দেয়ার সময় বের করে নিতে হবে।
৫. সম্প্রতি দেখা দেয়া মধ্যম তীব্রতার রোগীদের (a moderate recent case of illness) জন্য ওষুধের একটা ক্ষুদ্র অনুবটিকা শুষ্ক অবস্থায় জিহ্বায় প্রয়োগ করা যায় – তবে সেটা হবে প্রথম মাত্রা (সূত্র ২৭২)। কিন্তু সেটা সুবিধাজনক নয়। পানির সাথে মিশিয়ে দেয়া অনেক বেশি সুফলদায়ক।
৬. ওষুধ কতদিন পরপর দিবেন?
# দীর্ঘসময় ধরে ভোগা রোগীদের জন্য প্রতিদিন বা ১ দিন পরপর ওষুধ দিতে হবে।
# একিউট ডিজিজের ক্ষেত্রে ২ থেকে ৬ ঘন্টা পরপর দেয়া যায়।
# খুব জরুরী অবস্থায় প্রতি ঘন্টায় বা আরো ঘন ঘন ওষুধ প্রয়োগ করা যায়।
৭. ওষুধ মিশ্রিত বোতলটি যদি ৭ দিন বা ১৫ দিনে শেষ হয়ে যায় এবং রোগীর মধ্যে ঐ ওষুধের লক্ষণ থাকে তবে ঐ ওষুধের উচ্চতর শক্তির ১ বা (কদাচিৎ) একাধিক অনুবটিকা দিয়ে পরবর্তী মিশ্রণ প্রস্তুত করতে হবে।
# সুনির্বাচিত ওষুধ ক্রনিক ডিজিজ এর ক্ষেত্রে প্রতিদিন খাওয়ালে চিকিৎসার শেষের দিকে হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি দেখা দেয়। রোগীর লক্ষণরাজী যেটা কমে গিয়েছিল সেটা আবার কিছুটা বৃদ্ধি পায়।এটা আসলে মেডিসিনাল সিম্পটমস। সে সময় ওষুধের মাত্রা কমিয়ে দিয়ে দীর্ঘদিন পরপর প্রয়োগ করতে হয়। আরো ওষুধের প্রয়োজন আছে কিছু বুঝার জন্য ওষুধ প্রয়োগ কিছুদিন বন্ধ রাখতে হয়। তাতে দেখা যায় ওষুধজনিত লক্ষণগুলো কিছুদিনের মধ্যেই দূর হয়ে যায় এবং রোগীর স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার হয়।
লেখকঃDr.Mohammad Mohshinuzzaman (B.H.M.S)
ডা. মোহাম্মদ মহশীনুজ্জামান (বি.এইচ.এম.এস।)
হোমিওপ্যাথিক বিষয়ক আমার মোবাইল এপস ডাউনলোড করুন, নিয়মিত আপডেট নিন। আমার মোবাইল এপসের লিঙ্ক ঃ
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.aslamconsole.android.evahomeohall&fbclid=IwAR3mHp4BauqONW3oiO3eVCVTaCqrsPvcY5Z4qq3826ps_Avf6-wN-SixmEg
ডাঃ ইয়াকুব আলী সরকার।
ইভা হোমিও হল।
বাইপাইল,সাভার,ঢাকা।
মোবাইল নং ০১৭১৬৬৫১৪৮৮।
গভঃ রেজিঃ নং ২৩৮৭৬।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন