Acid phosphoricum homeopathic remedy. |
এসিড - ফস
উৎস : খনিজ।
মায়াজম : সোরা (+) সিফিলিস (++) সাইকোসিস (+)
কাতরতা : শীতকাতর (++) গরমকাতর (+)
ধরণ : পলিক্রেস্ট, একিউট, ক্রণিক ও ব্যক্তিলক্ষণ কেন্দ্রিক ঔষধ।
আক্রান্ত দিক : শরীরের উপর অংশ বাম, নিচের অংশ ডান দিক আক্রান্ত হয়।
ওষুধের নামের মধ্যেই ওষুধের মূল লক্ষণসমূহ অন্তর্নিহিত যথা :
Acid - Phos
A : Absent minded : অমনোযোগী।
C : Company Aversion to : সঙ্গী অপছন্দ।
I : Indolence : অলস।
D : Despair : হতাশা।
P : Passionate : কামুক।
H : Homesickness : গৃহকাতরতা।
0 : Obstinate : একগুঁয়ে।
S : Slowness : ধীরগতি।
মূল থিম : এসিড-ফসের মূল থিম হচ্ছে উদ্দাম ও সংগ্রামের পর অবসন্নতা।
আকৃতি : মুখ মন্ডলে কালাে রেখা, বিবর্ণ, চোখ বসে যাওয়া, কাঁচের মতো চকচকে চেহারা।
এর রােগীদের ছোটবেলা হতে স্বাস্থ্য সবল এবং দ্রুত বর্ধিত হয় কিন্তু যৌবনে এসে শরীরের মূল পদার্থ ক্ষয়, শারীরিক, মানসিক পরিশ্রম বা মনােকষ্টের কারণে স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যায়।
মানসিক লক্ষণ : চুপ চাপ একাকী বসে বা শুয়ে থাকতে চায়। উৎসাহহীন ও উদাস হয়ে বসে চিন্তা করে। নিরাশ, নিদ্রাহীন।
উঠবার শক্তি হলেও উঠতে মন চায়না। মন বিষন্ন হয়ে থাকে। পড়াশুনা, ব্যবসা, কাজ কর্ম করতে পারেনা। জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা, উদাসীনতা, সঙ্গী অপছন্দ, চুপচাপ থাকতে ইচ্ছা করে। অলস হয়ে যায়। কোন কিছুতে মনযােগ দিতে পারেনা,
প্রশ্নকারীর দিকে তাকিয়ে থাকে, কি বলবে বুঝতে পারেনা। কথা বার্তা বলতে বিরক্ত হয়। পড়তে বসলে অন্যমনস্ক হয়ে যায়।
একা থাকতে চায়, কথা বলতে অনীহার কারনে সংক্ষিপ্ত উত্তর দেয়। তাকে প্রশ্নের জবাব দিতে বাধা দিলে রাগ হয়। দুর্বলতার কারণে একটু বিরক্ত করলে রাগ হয়। ইহার রােগীরা অর্ন্তমুখী।
মাথা নত করে লজ্জিততাবে নীচের দিকে তাকিয়ে থাকে। এরা সাধারণত শান্তশিষ্ট, ভদ্র। এদের অনুভূতি হচ্ছে কেউ তাকে ভালবাসেনা, গন্য করেনা। ফলে সে অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়, যাতে প্রতিদানে অন্যরা তাকে ভালবাসে। কিন্তু যখন অন্যের ভালবাসা পেতে ব্যর্থ হয় তখন সে ঝগড়াটে হয়, বুদ্ধি কমে যায়। অবসাদ বা অবসন্নতা দেখা দেয়।
রোগ লক্ষণ : জ্বর ধীরে ধীরে বৃদ্ধি হয়, বেশী মাত্রায় আক্রান্ত হলে, দুর্বলতা, পেট ফাঁপা, দাঁতে ময়লা, অচেতন হয়ে পড়ে
থাকে, সম্পুর্ন তন্দ্রাচ্ছন্নভাব বা উদাস ভাব।
ইহার রােগীর দিনের চেয়ে রাতে প্রসাব বেশী হয়। প্রসাব দুধের মতো সাদা, ঘন ঘন প্রসাব হয়। জননেন্দ্রীয় এত দূর্বল হয় যে, মলত্যাগের সময় বীর্য বের হয়।
প্রায় পাতলা পায়খানা হয় কিন্তু পায়খানার জন্য শরীর দূর্বল হয় না বরং পায়খানা বন্ধ হলে দূর্বল হয়, এমন কি যক্ষা পর্যন্ত হয় উদরাময় হলে অসুখ উপশম হয়।
সকালে, সন্ধ্যায়, রাতে, পানীয় পানের পর, আহারের পর, ঠান্ডা খাবার খেলে, ঘুমের পর, ডানপাশে শুলে মলবেগ খুব বৃদ্ধি পায়। এর উদরাময় জলের মতো পাতলা ও প্রচুর পরিমাণে হয় তবে তাতে কোন গন্ধ থাকে না।
মলত্যাগে অনেক কষ্টের উপশম হয়, মনে শান্তি আসে। মল ত্যাগকালে প্রচুর বায়ু নিঃসরন হয়।
এসিড দিয়ে তৈরী যত ঔষধ আছে, তার প্রায় সব এসিডের রােগীরাই দুর্বলতার শিকার হয়। বিশেষত কোমর হতে নিচদিক বেশি।
দ্রুত বর্ধনশীল ছেলে মেয়েদের জন্য দারুণ ওষুধ। যে সমস্ত মানুষ ছোট বেলা হতে স্বাস্থ্য সবল এবং দ্রুত বর্ধিত হয়ে যৌবনে পা দিতে না দিতেই অতিরিক্ত হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ, ঋতুস্রাব, সহবাস, অতিরিক্ত শুক্রস্রাব, গােপন প্রেমে ব্যর্থতা, কঠিন রােগভোগ, দীর্ঘদিন শারীরিক, মানসিক পরিশ্রমের ফলে মন ও শরীর দৃর্বল হয়, স্বাস্থ্য নষ্ট হয়, চুপচাপ একাকী বসে বা শুয়ে থাকতে চায়।
ক্লান্ত হয়ে পড়ে। গোপন প্রেমে ব্যর্থ হয়ে নানান অসুখে আক্রান্ত হয়। সামান্য ঘুমালে সুস্থ্যবােধ করে।
একবার বিশ্রাম নিলে আর উঠবার শক্তি হয়না, উঠার শক্তি হলেও উঠতে মন চায়না। শােক, দূঃখের কারণে কপালের দুই পাশের চুল উঠে যায়। লিখতে গেলে ঘুম পায়, উত্তর দিতে দিতে নিদ্রালুভাবে আছন্ন হয়ে পড়ে। তাদের জন্য এসিড-ফস দারুণ উপকারী।
যে কোন কষ্ট থেকে অসুস্থ হতে পারে।
ডায়রিয়ায় মল যত বেশী হয়, প্রসাবও ততো বেশী হয়। জরায়ু হতে শব্দ করে বায়ু বের হয়। মলের সংগে আস্ত খাবার বের হয়। ঠিকমত হজম হয়না।
এসিড-ফস সাধারনত পিপাসাহীন। জ্বরে ঘর্মের সাথে পিপাসা, উদারাময়ে পিপাসা, ডায়াবেটিসে পিপাসা। জিহ্বার মধ্যে লাল হয়ে থাকে। নাক হতে কালাে রক্তস্রাব হয়। গান শুনলে দাঁত ব্যথা বাড়ে। কমলা খেলে উদরাময় হয়।
পড়ালেখা করার কারনে মাথা ব্যথা হয়। অতিরিক্ত বীর্যক্ষয় কিম্বা রক্ত ক্ষরণের কারনে শারীরিক ও মানসিক ভাবে দুর্বল রোগীদের কোমর ব্যথায় দ্রত ফল দেয়। সহবাসের সময় বা পরে কোমর ব্যথা।
কাশি : কথা বললে, শুইলে, বাতাশ লাগলে, সন্ধ্যায় ও রাতে বাড়ে। তাই বুক ঢেকে রাখে। এরা ঠান্ডা পছন্দ না করলেও মাথা ও পেটে ঠান্ডা ভালাে বাসে।
কফ পুঁজের মতো দুর্গন্ধযুক্ত ও লবণের স্বাদযুক্ত। পেট ফাঁপে, শব্দ করে পেট ডাকে। সহবাসকালে হটাৎ করে লিঙ্গ শিথিল হয়ে যায়।
জ্বরের মধ্যে নাক খুঁটতে দেখলে এসিড-ফসের কথা মনে করবেন।
পছন্দ : দুধ, রসালাে ফল, ঠান্ডা পানীয়, ভাল খাদ্য, ঝাল, দুধ, বিশেষ করে ঠান্ডা দুধ, গরম খাদ্য, খােলা বাতাস পছন্দ।
অপছন্দ : রুটি, কফি, খােলা বাতাস।
অপথ্য : টক, গরম খাবার, কফি।
রোগের কারণ : ফল, টকফল, কমলা, লুচি, সুখ, দুঃখ, তরল পদার্থের ক্ষয়।
পরিপুরক : চায়না, ফসফরাস।
শত্রু : কষ্টিকাম, নাক্স-ভুমিকা।
বৃদ্ধি : অতিরিক্ত বীৰ্যক্ষরণ, অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণ, শােক, দুঃখ, ব্যর্থ প্রেম', বামপাশে শুলে, গরমদুধ পানে। গরম, গরম বাতাস, ঘরের গরমে বৃদ্ধি।
উপশম : অল্প নিদ্রায়, চাপনে, সঞ্চালনে, গরমে। চুপচাপ থাকলে, নির্জনে থাকলে, সান্ত্বনায়, যৌন সংযমে ও স্লান করলে ভালো থাকে।
ডা. মােহাঃ আশরাফুল হক
প্রভাষক
সাভার হােমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ, সাভার, ঢাকা।
পরিচালক
হোমিওপ্যাথি ডায়নামিক কনসেপশন, সাভার, ঢাকা।
ফোন : ০১৭১৮৫২০৩০৬
m
উত্তরমুছুনchul popra potirod e valo kaj hoice
উত্তরমুছুন