মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৮

ডাঃ আশরাফুল হক স্যারের হোমিওপ্যাথিক দর্শন ও অভিজ্ঞান।


দর্শণ ও অভিজ্ঞাণ :
** ক্যান্সার রোগীর মারাত্মক কোষ্ঠবদ্ধতা চলতে থাকলে, রোগী প্রায়‌ই বাঁচেনা।

** বসন্ত ও আমাশয় রোগে জিহ্বা কালো হলে, রোগীর মৃত্যু নির্দেশ করে।

** জিহ্বার ডগা লাল টকটকে হলে, মানুষ কর্তৃত্বপরায়ণ হয় : ( সালফার)।

** জিহ্বা একদিকে কাত হয়ে থাকলে,  মাথার সমস্যা নির্দেশ করে।

** জিহ্বা নীল হলে, শরীরে রক্ত চলাচল ব্যাহত নির্দেশ করে।

** কোন কারণ ছাড়া মারাত্মক দুর্বলতা অনুভব করলে, যক্ষ্মা, ক্যান্সার বা কিডনি রোগ হতে পারে।

** মারাত্মক ধরণের রোগীর নাড়ীর ৭ম বা ৯ম বিট ফেল করলে, অনুমান করবেন রোগী ৭দিন বা ৯দিন বাঁচতে পারে।

** যাদের কথায় আক্রমণাত্মক ভাব ও কড়া ঝাঁজ থাকে তারা সাধারনত বেশিরভাগ সেক্সি হয়।

** লিভারের রোগে মন বিষণ্ণ থাকে, হৃৎপিন্ডের রোগে মন উদ্বিগ্ন থাকে, পাকস্থলীর রোগে মন ক্রুদ্ধ থাকে।

** যারা কড়া মিষ্টি ও কড়া লবণ খায়, কড়া গরমকাতর হয়।
তারা সাধারনত যে কোন কাজে তাড়াহুড়া করে, টেনশন করে, খুঁতখুঁতে হয়, সর্বক্ষেত্রে ব্যস্ত, হঠকারি, মাথা গরম টাইপের হয়। (আর্জেন্ট-নাইট, মেডোরিণাম)।

** যারা খাদ্যের মধ্যে অতিরিক্ত লবণ খায় তাদের অধিকাংশকেই পিত্ত পাথুরীতে আক্রান্ত হতে দেখা যায়।

** মানব মনে চারটি শক্তি থাকে, ইচ্ছাশক্তি, স্নেহ-ভালবাসার শক্তি, বুদ্ধিশক্তি ও স্মৃতিশক্তি কিন্তু সিপিয়ার রোগীকে দেখলে মনে হয় স্নেহ ভালবাসার শক্তি যেন ঘুনে ধরে নষ্ট করে ফেলেছে।

** ফেনা ফেনা কফ হলে ফুসফুস ও কিডনি রোগের ইঙ্গিত দেয়।

** তরুণীদের জরায়ু হতে অনিয়মিত ও অস্বাভাবিক রক্তস্রাব হলে ক্যান্সারের ইঙ্গিত বহন করে।

** তরুণী মেয়েদের স্তনের বোঁটা শুকিয়ে গেলে অনুমান করবেন ওভারিতে কোন সমস্যা হয়েছে।

** মেয়েদের স্তনের বোঁটা থেকে রক্তমিশ্রিত রস বের হতে থাকলে বুঝবেন ক্যান্সারের লক্ষণ।

** কোন রোগীর নখের মাঝখানে গাঢ় কালচে লম্বা দাগ থাকলে ও শরীরে টিউমার থাকলে ঐ টিউমারে ক্যান্সার হয়।

** বৃদ্ধ বয়সে একসাথে চোখ হলুদ হলে ও পেটে পানি জমলে বুঝবেন লিভার ক্যান্সার হয়েছে।

** দীর্ঘদিন কারও মাথাব্যথা হলে যক্ষ্মা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

** যদি কারো পুরাতন মাথাব্যথা কোন কারণে চাপা পড়ে, তাহলে তার যক্ষ্মা হবার সমূহ সম্ভাবনা থাকে।

** বুকের সর্বনিম্ন হাড়ের বরাবর, পিঠের দিকে ব্যথা হলে বুঝবেন কিডনিতে পাথর হয়েছে।

** পালসেটিলার শিশুরা যদি কান্না করে, তাহলে কোলে নিয়ে ধীরে ধীরে চললে কান্না থামে, খুশি হয়, কারণ পালসেটিলার রোগের গতি ধীর।

** আর্সেনিকের শিশুরা যদি কান্না করে, তাহলে কোলে নিয়ে দ্রুত চললে কান্না থামে, শান্ত হয়, কারণ আর্সেনিকের গতি দ্রুত।

**  যদি পালসেটিলার কোন স্ত্রী রোগীর বিশেষত ১৮ বছরের বেশি বয়সের রোগীদের মাম‌্স হয়, তবে অবশ্যই তার সর্দি-ঠান্ডা লাগে।

** পালসেটিলার স্ত্রী রোগীদের যে পাশে মাম‌্স হয় সে পাশের স্তনগ্রন্থি ফোলে ও প্রদাহ হয়, পরে অন্য পাশের স্তনগ্রন্থি ফোলে ও প্রদাহ হয়।

** পালসেটিলার পুরুষ রোগীদের যে পাশে মাম্‌স হয় সে পাশের অন্ডকোষ ফোলে ও প্রদাহ হয়, পরে অন্য পাশের অন্ডকোষ ফোলে ও প্রদাহ হয়।

** মার্ক-সল এর রোগীদের
শীতকালে অলসতা, জ্বরভাব।
গ্রীষ্মকালে উদ্বেগ অস্থিরতা,
বর্ষাকালে মন খারাপ, মন ভোলা, উদাসীন ও জ্বরভাব থাকে।

** রাগ, শোক, হতাশা, প্রেমের কষ্ট, বা কাল্পনিক দুঃখের উপর ভিত্তি করে অসুস্থ হলে, নির্জনে বসে চিন্তা করে, একা থাকতে চায়, এমন রোগীরা দশ মিনিটের মধ্যে কয়েকবার দীর্ঘশ্বাস ফেললে ইগ্নেশিয়া প্রায় নিশ্চিত ঔষুধ।

** যদি বাবা-মা বিশেষ করে যদি কোন মা গরমকাতর হয়, পিপাসা বেশি, ঘাম বেশি হয়, পাখার বাতাস খুব পছন্দ করে, তবে তাদের সন্তান বিকলাঙ্গ বা নির্বোধ হয়ে জন্ম নিতে পারে। এদের ক্ষেত্রে সন্তান ধারণের পূর্বে মেডোরিনাম প্রয়োগ কল্যাণকর।

** যে সকল শিশু বিছানায় প্রস্রাব করে, প্রস্রাবে খুব দুর্গন্ধ, ঘুমের মধ্যে অবিরত পা নাড়ে, দুষ্ট ও চঞ্চল প্রকৃতির হয়, সাধারণত এই সকল ছেলে মেয়ে বড় হলে লেখাপড়ায় অমনোযোগী হয়, খুব যৌনচাহিদার প্রবৃত্তি জন্মে।
ছেলে হলে মদপানে নেশা জন্মে, আর মেয়ে হলে ব্যথাযুক্ত মাসিক স্রাব, জরায়ু ও ওভারিতে টিউমার হওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।
সুতরাং এদের ভবিষ্যৎ বিপদ থেকে রক্ষা পেতে মেডোরিণাম উচ্চশক্তি প্রয়োগ করা উচিত।

** নাকের সর্দিরোগ পুরনো হলে, ঘ্রাণশক্তি ও জিহ্বার স্বাদ লোপ পায় কিন্তু তরুণ সর্দিতে শুধু ঘ্রাণশক্তি লোপ পায়।

** অচির রোগে রোগী যা খেতে চায়, সেটাই রোগ আরোগ্যকারী খাদ্য, তবে ক্রিয়া নষ্টকারী খাদ্য বাদে।

** সালফারের চর্মপীড়া চাপা দিলে বারবার অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়।

** সোরিণামের চর্মপীড়া চাপা দিলে সামান্য ঠান্ডাতে বারবার টনসিল প্রদাহ হয়।

** সিফিলিনাম এর সামান্যতম লক্ষণকে চাপা দিলে পরিপূর্ণ লক্ষণযুক্ত যক্ষ্মার আবির্ভাব হয়।

** সোরা বারবার একই রূপে রোগ আক্রমণ করে।

** সিফিলিটিক প্রবণতা মন ও স্নায়ুকেন্দ্রকে বিশৃংখল করাসহ সমস্ত শরীরকে দুর্বল ও বিকল করে।

** সাইকোসিস প্রবণতা শরীর ও মন-কে জটিল ও কুটিল করে তুলে।

** টিউবারকুলার প্রবণতা বারবার বিভিন্নরূপে নিজ লক্ষণ বিকাশ করে।

** রোগী উড়ে বেড়ানোর স্বপ্ন দেখলে বুঝবেন টিকার প্রতিক্রিয়া বা কুফল হয়েছে।

** চিররোগ ধীরে ধীরে আরোগ্য হয়, হঠাৎ,  দ্রুত আরোগ্য হলে বুঝবেন ওষুধ নির্বাচন ভুল হয়েছে।

** মাথায় বা কপালে হাত রেখে ঘুমানো লিভারে রক্ত জমার লক্ষণ : (তবে শিশুদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)।

** বিজ্ঞ হোমিওপ্যাথদের মতে উন্মাদ রোগের অন্যতম কারণ যক্ষ্মা দোষ।

** ডা. কেন্ট বলেন যাদের উন্মাদরোগ বা অন্য কোন জটিল রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাদের মনে ভীষণ অস্থিরতা দেখা দেয়।

** কখনো গরমকাতর আবার কখনো শীতকাতর ক্ষয়দোষের নির্দেশক লক্ষণ।

** অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করলে তাতে সমস্যা হয় না কিন্তু নরমাল পানি পান করলে সমস্যা হয়, ইহা যক্ষ্মার লক্ষণ।

** যে সকল মানুষদের পায়খানার বেগে সকালে ঘুম ভেঙে বিছানা ত্যাগ করে, দ্রুত পায়খানায় যেতে হয়, বুঝবেন তারা যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হতে যাচ্ছে।

** সোরার শিশুরা অস্থির প্রকৃতির হয়।
** সিফিলিসযুক্ত শিশুরা আক্ষেপ প্রবণ হয়।
** সাইকোসিসের শিশুরা উদারাময় প্রবণতাযুক্ত হয়।

ত্রুটি হলে সমালোচনা নয়, শুধরিয়ে দেবেন।  সবাইকে ধন্যবাদ।

ডা. মোহা. আশরাফুল হক
প্রভাষক
সাভার হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ
যুগ্ন-মহাসচিব, কেন্দ্রীয় কমিটি।
হোমিওপ্যাথিক কল্যাণ সোসাইটি।
আমার ইউটিউব চ্যানেল
Bela homoeo hall
ফোন : ০১৬৭৩০০১২৩৭

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন