সোমবার, ৪ মে, ২০২০

হোমিওপ্যাথিক ঔষধ ব্যবহারের সতর্কতা ও নিষেধাজ্ঞা


হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারগনের অবশ্যপালনীয় সতর্কতা 


  • **কষ্টিকাম (Causticum) ঔষধটিকে কখনও ফসফরাসের (Phosphorus) আগে বা পরে ব্যবহার করবেন না। বিশেষত Sulphur, Silicea, Psorinum, Phosphorus, Lachesis, Kalicarb, Graphities, Carcinosinum, Zincum নামক ঔষধ গুলি ভুলেও উচ্চশক্তিতে খাবেন না। কেননা এতে রোগ বেড়ে যেতেপারে মারাত্মকভাবে এবং তাছাড়াও অন্য ধরণের বিরাট ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এজন্য প্রথমে নিম্নশক্তিতে (৩০, ২০০) ব্যবহার করে উপকৃত হলেই কেবল প্রয়োজনে উচ্চ শক্তিতে প্রয়োগ করতে পারেন।
  • **লাইকোপোডিয়াম (Lycopodium) নিম্নশক্তিতে দীর্র্ঘদিন ভুল প্রয়োগে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এমনকি মৃত্যু পযর্ন্ত হতে পারে।
  • **হ্যানিম্যানের মতে, সালফারের (Sulphur) পূর্বে ক্যালকেরিয়া কার্ব (Calcarea Carbonica) ব্যবহার করা উচিত নয়। (এতে শরীর মারাত্মক দুর্বল হয়ে যেতে পারে)।
  • **ক্যাল্কেরিয়া কার্ব - (Calcarea Carbonica) এবং ব্রায়োনিয়া (Bryonia alba) শত্রুভাবাপন্ন (inimical) ঔষধ। কাজেই এই দুটিকে কাছাকাছি সময়ে একটির আগে বা পরে অন্যটিকে ব্যবহার করা নিষেধ।
  • **মার্ক সল- (Mercurius sol)এবং সিলিশিয়া (Silicea) ঔষধ দুটির একটিকে অপরটি (কাছাকাছি সময়) আগে বা পরে ব্যবহার করা উচিত নয়।
  • ** নেট্রাম মিউর Natrum mur - জ্বরের উচ্চ তাপের সময় নেট্রাম মিউর (Natrum mur) ঔষধটি প্রয়োগ করা নিষেধ।
  • **ক্যাল্কেরিয়া কার্ব (Calcarea Carbonica) ঔষধটি সালফার বা নাইট্রিক এসিডের ( Nitricum acidum ) পূর্বে ব্যবহার করা নিষেধ।
  • **লিডাম ঃ( Ledum ) খেয়ে সৃষ্ট দুর্বলতার চিকিৎসায় চায়না ব্যবহার করা ক্ষতিকর।
  • **সালফার Sulphur - কোন রোগীর যদি নিদ্রাহীনতা থাকে তবে তাকে রাতের বেলা সালফার (Sulphur) দিতে পারেন।পক্ষান্তরে যেই রোগী ভালো ঘুমায়, তাকে সকাল বেলায় সালফার খাওয়ানো উচিত।কেননা রাতের বেলা সালফার দিলে তার ঘুমে অসুবিধা হতে পারে।
  • **নাক্স ভমিকা (Nux vomica)- রাতে এবং সালফার সকালে দিতে পারেন যদি তাদের সম্পূরক (complementary) ক্রিয়া প্রত্যাশা করেন।
  • **ফসফরাস  Phosphorus -  বাম ফুসফুসের ব্যথায় ফসফরাস (Phosphorus) ঔষধটি ঘন ঘন প্রয়োগ করা বিপজ্জনক।কেননা এতে রোগীর তাড়াতাড়ি যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
  • **মেডোরিনাম (Medorrhinum) ঔষধটি হৃৎপিন্ডের রোগীদেরকে কখনও উচ্চশক্তিতে দিতে নাই এতে করে তার হৃদরোগ বৃদ্ধি পেয়ে মৃত্যুর সম্ভাবনা আছে।প্রথমে ২০০ শক্তিতে প্রয়োগ করে তারপর সহ্য শক্তি অনুযায়ী উপরের শক্তি প্রয়োগ করা যেতে পারে।
  • **কলিনসোনিয়া ক্যান (Collinsonia Canadensis) ঔষধটি হৃৎপিন্ডের রোগীদের ক্ষেত্রে কখনও নিম্নশক্তিতে প্রয়োগ করতে নাই।
  • ** এপিস Apis, ল্যাক ডিফ্লোর Lac defloratum, গোসিপিয়াম Gossipium, পালসেটিলা  Pulsatilla, পাইনাস ল্যাম্প Pinus lamb, ভিস্কাম এল্বম Viscum album ইত্যাদি ঔষধ গর্ভবতীদের দেওয়া নিষেধ। কেননা এতে গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে।
  • **সাইলিসিয়া-  (Silicea )ঔষধটি কারো কোন অপারেশনের ছয় মাসের মধ্যে ব্যবহার নিষিদ্ধ। অন্যথায় সেখানে ঘা/পূঁজ হয়ে জোড়া ছুটে যেতে পারে।
  • **কয়েক দিন অচেতন রোগীদেরকে জিংকামমেট (Zincum metallicum) দিতে হয়। কিন্তু ভুলেও এক মাত্রার বেশী দিবেন না।
  • **জর্জ ভিথুলকাসের মতে, কোন রোগীর মধ্যে যদি কোন একটি ঔষধের ১০০ ভাগ লক্ষণ পাওয়া যায়, তবে সেই রোগীকে সেই ঔষধটি নিম্নশক্তিতে খাওয়ানো তাকে হত্যা করার সমতুল্য।


ডা. ইয়াকুব আলী সরকার।
ইভা হোমিও হল।
গভঃ রেজিঃ  নং ২৩৮৭৬
মো নং ০১৭১৬৬৫১৪৮৮,
বাইপাইল, সাভার, ঢাকা


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন