হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক ডা.স্যামুয়েল হ্যানিম্যান তার শেষ জীবনে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন এই তথ্য সত্য কিন্তু তার ইসলাম গ্রহণের কথা অস্বীকার করছে সাম্প্রদায়িক খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীরা। সাম্প্রদায়িকতায় আক্রান্ত হয়ে সত্য চাপা দিতে অত্যন্ত পারদর্শী পশ্চিমা জগৎ যতদিন সম্ভব সম্রাট নেপোলিয়ান, মার্মাডিউক এবং পিকথল, মরিস বোকাইলি, নীল আর্মস্ট্রংসহ আরো অনেক মনীষীর
ইসলাম গ্রহণের সংবাদকে চাপা দিয়ে রেখেছিল। সত্য কোন দিনই হারিয়ে যায় না। কালের প্রবাহে কোন একদিন প্রকাশিত হয়ই।সম্ভবত সবচেয়ে বেশী সময় ধরে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের আবিষ্কৃর্তা ডা.স্যামুয়েল হ্যানিম্যানের ইসলাম
গ্রহণের সংবাদটি চাপা পড়ে আছে।
বিশিষ্ট গবেষক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান
অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা শাস্ত্রে লেখাপড়া করে ডাক্তার হন এবং অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি অনুযায়ী রোগীদের সেবা প্রদান করতেন।চিকিৎসা সেবারপাশাপাশি তিনি গবেষণা ও চিকিৎসা বিষয়ক বইয়ের অনুবাদ করেছেন। গবেষণার এক পর্যায়ে তিনি অ্যালোপ্যাথিতে ক্ষতিকর
সাইড অ্যাফেক্ট (পার্শপ্রতিক্রিয়া)
দেখতে পান।এতে তিনি অ্যালোপ্যাথিক
চিকিৎসা পদ্ধতি পরিত্যাগ করেন। সাইড অ্যাফেক্টের কারণ নির্ণয়ের গবেষণার
মাধ্যমে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সূত্র
আবিষ্কৃত হয়। পেরুভিয়ান কপিবা সিঙ্কোনা গাছের বাকল নিয়ে গবেষণা করতে করতে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার উদ্ভব হয়। সুস্থ
মানবদেহে ওষুধ প্রয়োগ করে ডা.স্যামুয়েল হ্যানিম্যান ওষুধের গুণাবলী পরীক্ষা করতেন। এ ধরনের গুণাবলী যখন কোন অসুস্থ ব্যক্তির মধ্যে দেখা যেত তখন তিনি তা প্রয়োগ করলে রোগটি সেরে যেত এটাকে বলে সদৃশ বিধান বা হোমিওপ্যাথি।
এভাবেই প্রাকৃতিক নিয়মে ওষুধ পরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োগ করার চিকিৎসা বিধান প্রতিষ্ঠা করেন বিজ্ঞানী ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান।চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে ১৭৯০ সালে মানবদেহে পরীক্ষামূলক
পদ্ধতির প্রয়োগ শুরু হয়। ডা.হ্যানিম্যান নিজের শরীরে প্রথম পরীক্ষা করলেন ‘সিঙ্কোনা’। এক কথায় আমরা বলতে পারি ১৭৯০ সনে হোমিওপ্যাথির যাত্রা।হ্যানিম্যান নিজের শরীরে ৯৯টি ওষুধ প্রয়োগ করেন। পৃথিবীর কনিষ্ঠতম চিকিৎসা পদ্ধতি হ’ল হোমিওপ্যাথি।ওষুধ পরীক্ষার পাশাপাশি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার নিয়ম-নীতি প্রকাশ করেন ১৮১০ সালে। অর্গানন নামে যার
পরিচিতি চিকিৎসক মহলে।তার জীবনের শেষ পর্যায়ে অর্গানন ৬ষ্ঠ
সংস্করণ সমাপ্ত করেন। বইটির আধুনিক ইংরেজী অনুবাদ প্রকাশিত হয় ১৮৮২
সালে হ্যানিম্যান ফাউন্ডেশন,আমেরিকা থেকে। হোমিওপ্যাথির জন্ম জার্মানীতে। বিকাশ ফ্রান্সে, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ব্রিটেনে ১৮০৫ সালে। প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘দি প্যারিস কলেজ অব হোমিওপ্যাথি’।ডা. হ্যানিম্যান সম্পর্কে ড. হুদহুদ মোস্তফার গবেষণা থেকে চাঞ্চল্যকর
তথ্য পাওয়া যায়।ড.হুদহুদ মোস্তফা এক নিবন্ধে লিখেছেন অনেক কথা। ১৯৯৮ সালে লন্ডনে এক সেমিনারে ডা. মোস্তফার সাক্ষাৎ ঘটে এক ইঞ্জিনিয়ারের সাথে। তার
নাম উইলিয়াম হ্যানিম্যান। বিজ্ঞানী ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যানেরই এক উত্তর-পুরুষ তিনি।বিশ্বাসে ক্যাথলিক খৃষ্টান।কথা প্রসঙ্গে তিনি জানালেন,হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান গবেষণার এক পর্যায়ে ইসলাম গ্রহণ করে মুসলমান হয়েগিয়েছিলেন এবং তিনি আমৃত্যু ইসলামী বিশ্বাসেই প্রতিষ্ঠিত
ছিলেন। যে কারণে তিনি নিজ জন্মভূমি, স্বজাতি, আত্মীয়-পরিজন ত্যাগ করে দ্বিতীয় স্ত্রী মাদাম ম্যালনীকে নিয়ে প্যারিসে হিজরত
করতে বাধ্য হয়েছিলেন। মাদাম ম্যালনীওস্বামীর সাথে ইসলাম ধর্ম
গ্রহণ করেছিলেন। হ্যানিম্যানের অনুসন্ধানস্পৃহা অত্যন্ত প্রবল ছিল। তিনি চিকিৎসা বিজ্ঞান সম্বন্ধে ব্যাপক জ্ঞান আহরণের জন্যবহু ভাষা শিক্ষা লাভ করেন।পুরাকালের বিভিন্ন সভ্যতার
যুগে চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে ব্যাপক
গবেষণা করতে গিয়ে ইসলামের স্বর্ণযুগের আবিষ্কার ওচিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে ভালভাবে জ্ঞান লাভের জন্য আরবী ভাষায়
দক্ষতা অর্জন, তদুপরি আরব বণিক ও
পরিব্রাজকদের কাছ থেকে মধ্যপ্রাচ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থার পাশাপাশি তাদের ধর্ম, সম্পর্কেও অবগত হন। আরবী ভাষায় দক্ষতার কারণে মহাগ্রন্থ আল-কুরআনও
তিনি অধ্যয়ন করেন।ক্রমে তিনি ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যান। এক শুভক্ষণে তিনি ইসলামের কালেমা পাঠ করে মনে প্রাণে মুসলমান হয়ে যান। এ ঘটনা জানাজানি হয়ে পড়লে হ্যানিম্যানের আত্মীয়-স্বজনরা তার প্রতি বিরূপ হয়ে পড়েন। চির পরিচিত পরিবেশ তার বিরুদ্ধে চলে যায়। শান্তি ও নিরাপত্তার স্বার্থে সব সহায় সম্পদ
উত্তরাধিকারী ও আত্মীয়-স্বজনদের
মধ্যে বিলিবণ্টন করে দিয়ে তিনি ইসলামে নবদীক্ষিত স্ত্রী মাদাম ম্যালানীকে নিয়ে প্যারিসের পথে হিজরত করেন। এ সময়টা ছিল১৮৩৫ সালের জুন মাস। তারা তাদের
জীবদ্দশায় আর কখনও জার্মানীতে ফিরে যাননি। হিজরত নবীদের সুন্নাত। ইসলাম গ্রহণের কারণে জার্মান বিজ্ঞানী হ্যানিম্যানকেও সেই সুন্নাতেরই অনুসরণ করতে হয়।ইঞ্জিনিয়ার উইলিয়াম হ্যানিম্যান আরোকিছু মহামূল্যবান তথ্য দিয়ে সবাইকে চিরকৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করেছেন।
প্রথমেই তিনি ডা.মোস্তফাকে বলেছিলেন লন্ডনস্থ হ্যানিম্যান মিউজিয়ামে যেতে।
ঠিকানা : হ্যানিম্যান মিউজিয়াম পাউইজ প্যালেস, গ্রেট আরমন্ড স্ট্রিট, লন্ডন, ডব্লিউসি।সেখানে হ্যানিম্যানের ব্যবহৃত বহু
জিনিসপত্র আছে। বই-পুস্তকের এক বিরাট সংগ্রহও আছে। এর মধ্যেমহাগ্রন্থ আল-কুরআন থেকে শুরু করে মুসলিম চিকিৎসা বিজ্ঞানী আবু আলী ইবনে সিনা বিরচিত আল-কানুন ফিত তিবসহ শতাধিক আরবী গ্রন্থ রয়েছে। ব্যবহৃত জিনিসপত্রের
মধ্যে রয়েছে মসজিদের নকশা করা জায়নামায, মূল্যবান পাথরের তসবীসহ, একটি টার্কিশ টুপি। ব্যবহৃত জায়নামাযে সেজদার চিহ্ন স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা যায়।
এসব নিদর্শন ড. মোস্তফার মনে গভীর
দাগ কাটে। বিজ্ঞানী হ্যানিম্যান সম্পর্কে তিনি লেখাপড়া ও অনুসন্ধান শুরু করেন। তার অনুসন্ধান ও গবেষণার চার বছর চলছে। বক্ষমান প্রবন্ধে তিনি এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যাদি সংক্ষেপে উল্লেখ করার চেষ্টা করেছেন। এ পর্যন্ত তিনি নিম্নলিখিত তথ্যগুলো সত্য ও বাস্তবতার ব্যাপারে নিশ্চিত। হয়েছেন
১. ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান তার কোন লেখায় খৃষ্টবাদের মূলমন্ত্র‘তৃতত্ত্ব’ (TRINITY) সম্পর্কে কখনও উল্লেখ করেননি; বরং এক সৃষ্টিকর্তা, God, Creator প্রভৃতি একক অর্থবোধক শব্দ ব্যবহার করেছেন।
২. রিচার্ড হ্যাল কর্তৃক লিখিত হ্যানিম্যানের জীবনী গ্রন্থ Samuel
Hahnemann : His Life and work-
এর দ্বিতীয় খন্ডের ৩৮৯ পৃষ্ঠায় এক রোগীকে লেখা পত্রে উল্লেখ করেন :
We feel then we are resting in
the friendship of the only One. Do
you desire any other religion?
There is none. Everything else is
a miserable low human conception full of superstition a true destruction of humanity.
তিনি একই পৃষ্ঠায় উল্লিখিত অপর এক
পত্রে লিখেছেন : I acknowledge
with sincere thankfulness the
infinite march of the One-great giver of all good. আবার একই
পুস্তকে ৩৮৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে :
I shall not become a catholic and
I would prefer not even to limit
myself in the creed of the
protestant but rather to hold with you to deism only a higher
sense is rather to hold with you
to deism only a higher sense is
taught by the Seet to that name,
as that is the faith which most
nearly satisfies?
এ স্বীকৃতি ইসলাম ছাড়া কি হ’তে পারে?
৩. ড. আর ই ডাজেন কর্তৃক সংগৃহীত
হ্যানিম্যান লেসার রাইটিংস গ্রন্থের ৫৭১, ৫৭৯ পৃষ্ঠায় আরবী লেখা উদ্ধৃতি দেয়া আছে।যা হ্যানিম্যানের আরবী ভাষায় গভীর পান্ডিত্যের প্রমাণ বহন করে।
৪. হ্যানিম্যানের ইসলাম গ্রহণ এবং জার্মানী ত্যাগের পর তিনি আর কখনও কোথাও তার পিতৃ প্রদত্ত নাম ক্রিশ্চিয়ানফ্রেডারিক আদ্য শব্দ দু’টি ব্যবহার করেননি। যে শব্দ দু’টো খৃষ্ট ধর্মাবলম্বী পরিচয় বহন করে। প্যারিসে হিজরতের পর চিঠিপত্রসহসর্বত্র কেবল ‘স্যামুয়েল হ্যানিম্যান’ লিখতেন। স্যামুয়েল ইসরাইল বংশীয় একজন নবীর নাম,যা একজন মুসলমানের নাম হিসাবেও গ্রহণযোগ্য। একথা তার খৃষ্টান ধর্ম
ত্যাগের আর একটি শক্তিশালী প্রমাণ।
৫. ব্রিটিশ মিউজিয়ামে সংরক্ষিত ম্যাগাজিনে ২৫৪ পৃষ্ঠায় স্পষ্ট ভাষায়
বর্ণিত হয়েছে : মাদাম ম্যালানী তার
স্বামী হ্যানিম্যানের মৃত্যুপূর্ব অছিয়তের কারণে কোন অুমসলিমকে তার
দাফনে অংশগ্রহণ করতে দেননি।
তিনি দাফনের দিনক্ষণ সবই গুপ্ত
রেখে কোন মুসলমানের সাক্ষাৎ
পাওয়ার আশায় অপেক্ষা করছিলেন।
হ্যানিম্যানের মৃত্যু ২ জুলাই ১৮৪৩ তারিখে। কোন মুসলমানের সাক্ষাৎ
না পেয়ে ম্যালানী নিজে তার
সমবিশ্বাসী (নবদীক্ষিত মুসলিম) দৃঢ়
প্রত্যয়ী দু’ব্যক্তির সহযোগিতায় মহান
চিকিৎসা বিজ্ঞানী হ্যানিম্যানকে মৃত্যুর
৯ দিন পর ১১ জুলাই কবরস্থ করেন। হ্যানিম্যানেরই
ইচ্ছা অনুযায়ী প্যারিসের অখ্যাত মাউন্ট মারাট্টির গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।এটি খৃষ্টানদের গোরস্থান হ’লেও একটু আলাদা। পূর্বেই উল্লেখ করেছি হ্যানিম্যান তার সমাজের প্রচলিতখৃষ্টান ধর্ম ত্যাগের কারণে জার্মানীতে পরিচিত পরিবেশ তার বিরুদ্ধে চলে যায়। নিরাপত্তা ও শান্তির সন্ধানে তিনি ১৮৩৫ সালের
জুন মাসে ৮০ বছর ২ মাস বয়সে তার পৈতৃক দেশ জার্মানী ত্যাগ করেন। আর
কখনও তিনি বা তার স্ত্রী ফ্রান্স থেকে জার্মানীতে ফিরে যাননি।
এতে প্রমাণিত হয় ইসলাম গ্রহণের
ফলে বিজ্ঞানী হ্যানিম্যান ও মাদাম
ম্যালানীর জীবনের শান্তি ও নিরাপত্তা জার্মানিতে কতটুকু বিপন্ন ছিল। সর্বাধুনিক ও অতি উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা হওয়া সত্ত্বেও পশ্চিমা বিশ্ব শুধু কি মুসলমানী গন্ধের কারণেই হোমিওপ্যাথিকে সহজভাবে গ্রহণ করতে পারছেন না?
৩. ড. আর ই ডাজেন কর্তৃক সংগৃহীত
হ্যানিম্যান লেসার রাইটিংস গ্রন্থের ৫৭১, ৫৭৯ পৃষ্ঠায় আরবী লেখা উদ্ধৃতি দেয়া আছে।যা হ্যানিম্যানের আরবী ভাষায় গভীর পান্ডিত্যের প্রমাণ বহন করে।
৪. হ্যানিম্যানের ইসলাম গ্রহণ এবং জার্মানী ত্যাগের পর তিনি আর কখনও কোথাও তার পিতৃ প্রদত্ত নাম ক্রিশ্চিয়ানফ্রেডারিক আদ্য শব্দ দু’টি ব্যবহার করেননি। যে শব্দ দু’টো খৃষ্ট ধর্মাবলম্বী পরিচয় বহন করে। প্যারিসে হিজরতের পর চিঠিপত্রসহসর্বত্র কেবল ‘স্যামুয়েল হ্যানিম্যান’ লিখতেন। স্যামুয়েল ইসরাইল বংশীয় একজন নবীর নাম,যা একজন মুসলমানের নাম হিসাবেও গ্রহণযোগ্য। একথা তার খৃষ্টান ধর্ম
ত্যাগের আর একটি শক্তিশালী প্রমাণ।
৫. ব্রিটিশ মিউজিয়ামে সংরক্ষিত ম্যাগাজিনে ২৫৪ পৃষ্ঠায় স্পষ্ট ভাষায়
বর্ণিত হয়েছে : মাদাম ম্যালানী তার
স্বামী হ্যানিম্যানের মৃত্যুপূর্ব অছিয়তের কারণে কোন অুমসলিমকে তার
দাফনে অংশগ্রহণ করতে দেননি।
তিনি দাফনের দিনক্ষণ সবই গুপ্ত
রেখে কোন মুসলমানের সাক্ষাৎ
পাওয়ার আশায় অপেক্ষা করছিলেন।
হ্যানিম্যানের মৃত্যু ২ জুলাই ১৮৪৩ তারিখে। কোন মুসলমানের সাক্ষাৎ
না পেয়ে ম্যালানী নিজে তার
সমবিশ্বাসী (নবদীক্ষিত মুসলিম) দৃঢ়
প্রত্যয়ী দু’ব্যক্তির সহযোগিতায় মহান
চিকিৎসা বিজ্ঞানী হ্যানিম্যানকে মৃত্যুর
৯ দিন পর ১১ জুলাই কবরস্থ করেন। হ্যানিম্যানেরই
ইচ্ছা অনুযায়ী প্যারিসের অখ্যাত মাউন্ট মারাট্টির গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।এটি খৃষ্টানদের গোরস্থান হ’লেও একটু আলাদা। পূর্বেই উল্লেখ করেছি হ্যানিম্যান তার সমাজের প্রচলিতখৃষ্টান ধর্ম ত্যাগের কারণে জার্মানীতে পরিচিত পরিবেশ তার বিরুদ্ধে চলে যায়। নিরাপত্তা ও শান্তির সন্ধানে তিনি ১৮৩৫ সালের
জুন মাসে ৮০ বছর ২ মাস বয়সে তার পৈতৃক দেশ জার্মানী ত্যাগ করেন। আর
কখনও তিনি বা তার স্ত্রী ফ্রান্স থেকে জার্মানীতে ফিরে যাননি।
এতে প্রমাণিত হয় ইসলাম গ্রহণের
ফলে বিজ্ঞানী হ্যানিম্যান ও মাদাম
ম্যালানীর জীবনের শান্তি ও নিরাপত্তা জার্মানিতে কতটুকু বিপন্ন ছিল। সর্বাধুনিক ও অতি উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা হওয়া সত্ত্বেও পশ্চিমা বিশ্ব শুধু কি মুসলমানী গন্ধের কারণেই হোমিওপ্যাথিকে সহজভাবে গ্রহণ করতে পারছেন না?
ড.মোস্তফা লিখেছেন বিজ্ঞানী হ্যানিম্যান সাহিত্যের যতদূর গভীরে আমি পৌঁছতে পেরেছি,ততটুকুর মধ্যে কোথাও আমি ইসলামের মহানবী (ছাঃ)-এর নীতি আদর্শের পরিপন্থী কোন কিছুই খুঁজে পাইনি।
বরং আমি উপলব্ধি করেছি হ্যানিম্যানের
রচনাবলী ও চিকিৎসা ব্যবস্থায় ইসলামী আদর্শের গভীর ছাপ বিদ্যমান। ইসলাম বলে, ‘নিশ্চয়ই আমার ছালাত, আমার কুরবানী, আমার জীবন, আমার মৃত্যু আল্লাহ রাববুল আলামীনের জন্য উৎসর্গিত’ (আন‘আম১৬২)।সেই সুরে সুর মিলিয়ে হ্যানিম্যানও বলে গেছেন, আমি আমার জীবনে কখনও স্বীকৃতি চাইনি, মানব কল্যাণে আমার আবিষ্কৃত সত্যের জন্য
আমি স্বার্থপরতামুক্তভাবে যার বিকাশ ঘটিয়েছি সমগ্র বিশ্বের জন্য,
যা সর্বোচ্চ সত্তার নিমিত্তে উৎসর্গিত। Life & Work of Hahnemann-By Richard Raehl. হ্যানিম্যানের প্রবাদ তুল্য উক্তি ‘রোগীকে চিকিৎসা কর রোগকে নয়’।
আল্লাহতা'লা উনাকে & আমাদের সকলকে কবুল করুন।-(আমিন)
(সংগ্রহিত ও সম্পাদিত)
আমার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিষয়ক সকল লেখা একসাথে পড়ুন।এপসটি ডাউনলোড করুন,আপডেট নিন।আমার মোবাইল এপস লিঙ্ক ঃ
https://play.google.com/store/apps/details?
বরং আমি উপলব্ধি করেছি হ্যানিম্যানের
রচনাবলী ও চিকিৎসা ব্যবস্থায় ইসলামী আদর্শের গভীর ছাপ বিদ্যমান। ইসলাম বলে, ‘নিশ্চয়ই আমার ছালাত, আমার কুরবানী, আমার জীবন, আমার মৃত্যু আল্লাহ রাববুল আলামীনের জন্য উৎসর্গিত’ (আন‘আম১৬২)।সেই সুরে সুর মিলিয়ে হ্যানিম্যানও বলে গেছেন, আমি আমার জীবনে কখনও স্বীকৃতি চাইনি, মানব কল্যাণে আমার আবিষ্কৃত সত্যের জন্য
আমি স্বার্থপরতামুক্তভাবে যার বিকাশ ঘটিয়েছি সমগ্র বিশ্বের জন্য,
যা সর্বোচ্চ সত্তার নিমিত্তে উৎসর্গিত। Life & Work of Hahnemann-By Richard Raehl. হ্যানিম্যানের প্রবাদ তুল্য উক্তি ‘রোগীকে চিকিৎসা কর রোগকে নয়’।
আল্লাহতা'লা উনাকে & আমাদের সকলকে কবুল করুন।-(আমিন)
(সংগ্রহিত ও সম্পাদিত)
আমার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিষয়ক সকল লেখা একসাথে পড়ুন।এপসটি ডাউনলোড করুন,আপডেট নিন।আমার মোবাইল এপস লিঙ্ক ঃ
https://play.google.com/store/apps/details?
ডাঃ ইয়াকুব আলী সরকার
ইভা হোমিও হল
বাইপাইল আশুলিয়া সাভার ঢাকা।
মোবাইল নং ০১৭১৬৬৫১৪৮৮
গভঃ রেজিঃ নং ২৩৮৭৬।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন